অনুপম হায়াৎ
জাতির পিতা মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের (১৯২০-১৯৭৫) জীবন, কর্ম, চিন্তা, চেতনা, দর্শন ও মানসগঠনে বিভিন্ন শিক্ষকের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও প্রভাব রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, তাঁর পড়ার সাথি, খেলার সাথি, বন্ধুবান্ধব ও বিভিন্ন সূত্র থেকে তাঁর শিক্ষাজীবন ও শিক্ষকদের সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। এসব ঘটনা ও তথ্য যেমন বাধ্যগত একজন ছাত্র তথা শিক্ষার্থী হিসেবে তাঁর পরিচয় বহন করে, তেমনি একজন ভবিষ্যৎ মহামানবের ইঙ্গিতবাহীও। পরবর্তীকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী থাকাকালেও বঙ্গবন্ধু নির্দ্বিধায় শিক্ষকদের কাছে টেনেছেন ভক্তি, শ্রদ্ধা ও আন্তরিকতায়, নানা কুশলাদিও নিয়েছেন।
প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তিনি লেখাপড়া করেন টুঙ্গিপাড়া গিমাডাঙ্গা এমই স্কুল, গোপালগঞ্জ সীতানাথ একাডেমি, মাদারীপুর ইসলামিয়া হাইস্কুল, গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুল, গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল, কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
১.
বঙ্গবন্ধুর প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু হয় পারিবারিক পরিবেশে তাঁর পিতা শেখ লুৎফর রহমান ও মাতা সায়েরা বেগমের তত্ত্বাবধানে। পিতা শেখ লুৎফর রহমান ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা ও সচেতন ব্যক্তি। তিনি আদরের পুত্র খোকার (বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক নাম) জন্য বাড়িতে তিনজন শিক্ষক রেখেছিলেন। একজন ইসলাম ধর্ম শিক্ষার জন্য মৌলভি সাহেব, দ্বিতীয়জন সাধারণ শিক্ষার জন্য পণ্ডিত সাখাওয়াত উল্লাহ পাটোয়ারী, তৃতীয়জন কাজী আবদুল হামিদ। বঙ্গবন্ধু মৌলভি সাহেবের কাছে আমপারা আর পণ্ডিত সাখাওয়াত উল্লাহর কাছে বাংলা বর্ণমালা ও নামতা পড়তেন এবং কাজী আবদুল হামিদের কাছে পড়তেন কবিতা-গল্প ইত্যাদি।
শিক্ষক সাখাওয়াত উল্লাহ পাটোয়ারী সম্পর্কে জানা যায় বঙ্গবন্ধুর নিকটাত্মীয় এবং খেলাধুলা ও পড়ার সাথি শেখ আশরাফুল হক ওরফে আমিন মিয়া (১৯১৪-২০০৯ সূত্রে)। শেখ আশরাফুল হক ছিলেন বঙ্গবন্ধুর চাচা ও মামাও। তাঁরা একই সঙ্গে পড়তেন সাখাওয়াত উল্লাহ পাটোয়ারীর কাছে। বঙ্গবন্ধু শিক্ষক ও মুরব্বিদের খুব ভক্তি–শ্রদ্ধা করতেন। সাখাওয়াত উল্লাহ পাটোয়ারীর বাড়ি ছিল নোয়াখালী। তিনি বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে লজিং থাকতেন। লেখাপড়ার ব্যাপারে তিনি খুবই কঠোর ছিলেন। কিছুদিন পর পাটোয়ারী স্যার অন্যত্র চলে যাওয়ার সময় তাঁর বিছানাপত্রের গাঁটটি নিজের মাথায় করে পাটগাতি পৌঁছে দিয়েছেন মুজিব। শিক্ষকের প্রতি এমনই ভক্তি-শ্রদ্ধা ছিল কিশোর মুজিবের।
২.
বঙ্গবন্ধুর ছাত্রজীবনে যে শিক্ষক তাঁর ‘আদর্শ’ ছিলেন, তাঁর নাম কাজী আবদুল হামিদ। এই শিক্ষক তাঁকে কীভাবে প্রভাবিত করেছিলেন তাঁর প্রসঙ্গ তিনি অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে উল্লেখ করেছেন। বঙ্গবন্ধু লিখেছেন,
‘১৯৩৭ সালে আবার আমি লেখাপড়া শুরু করলাম। এবার আর পুরোনো স্কুলে পড়ব না, কারণ আমার সহপাঠীরা আমাকে পিছনে ফেলে গেছে। আমার আব্বা আমাকে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিলেন। আমার আব্বাও আবার গোপালগঞ্জ ফিরে এলেন। এই সময় আব্বা কাজী আবদুল হামিদ এমএসসি মাস্টার সাহেবকে আমাকে পড়াবার জন্য বাসায় রাখলেন। তাঁর জন্য একটা আলাদা ঘরও করে দিলেন। গোপালগঞ্জের বাড়িটা আমার আব্বাই করেছিলেন। মাস্টার সাহেব গোপালগঞ্জে একটা ‘মুসলিম সেবা সমিতি’ গঠন করেন। যার দ্বারা গরিব ছেলেদের সাহায্য করতেন। মুষ্টি ভিক্ষার চাল উঠাতেন সকল মুসলমান বাড়ি থেকে। প্রত্যেক রবিবার আমরা থলি নিয়ে বাড়ি বাড়ি থেকে চাল উঠিয়ে আনতাম এবং এই চাল বিক্রি করে তিনি গরিব ছেলেদের বই এবং পরীক্ষার ও অন্যান্য খরচ দিতেন। ঘুরে ঘুরে জাগগিরও ঠিক করে দিতেন। আমাকেই অনেক কাজ করতে হতো তাঁর সঙ্গে। হঠাৎ যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। তখন আমি এই সেবা সমিতির ভার নেই এবং অনেক দিন পরিচালনা করি। আর একজন মুসলমান মাস্টার সাহেবের কাছে টাকাপয়সা জমা রাখা হতো। তিনি সভাপতি ছিলেন আর আমি ছিলাম সম্পাদক।’
৩.
বঙ্গবন্ধুর শিক্ষক-ভক্তির অত্যুজ্জ্বল উদাহরণ রেখেছেন টুঙ্গিপাড়ার গিমাডাঙ্গা জি টি স্কুলের শিক্ষক বেজেন্দ্রনাথ সূত্রধরের ক্ষেত্রে। বঙ্গবন্ধু এই স্কুলে প্রথম শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন ১৯২৭ থেকে ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও প্রাইমারি স্কুলের সেই শিক্ষক বেজেন্দ্রনাথ সূত্রধর ও সহপাঠী সৈয়দ নুরুল হক মানিকের কথা ভোলেননি। বঙ্গবন্ধু বেজেন্দ্রনাথ সূত্রধর ও সহপাঠী সৈয়দ নুরুল হককে ঢাকা আসার জন্য খবর পাঠান। নির্দিষ্ট তারিখে তাঁরা দুজন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করার জন্য গেটে উপস্থিত হয়ে ভেতরে যাওয়ার অনুমতি চান। বঙ্গবন্ধু খবর পেয়ে সব নিয়মকানুন উপেক্ষা করে তাঁর প্রাইমারি স্কুলজীবনের শিক্ষকের কাছে নিজেই ছুটে আসেন এবং স্যারের পায়ে ধরে সালামের পর বুকে জড়িয়ে ধরেন। গেটেই তখন অভাবনীয় দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। অতঃপর বঙ্গবন্ধু তাঁর শৈশবের খেলার সাথি স্কুলজীবনের বন্ধু মানিককেও জড়িয়ে ধরেন। বঙ্গবন্ধু সেই শিক্ষককে নিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী, অর্থাৎ তাঁর অফিসকক্ষে। তিনি শিক্ষককে নিয়ে নিজের চেয়ারে বসিয়ে উপস্থিত মন্ত্রী, এমপিদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে গর্বভরে বলেন, ‘আমার শিক্ষক।’ অতঃপর বঙ্গবন্ধু তাঁর স্কুলজীবনের শিক্ষক ও সহপাঠীর নানা খোঁজখবর নেন। অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শিক্ষকের হাতে কিছু টাকা দেন তাঁর ঘর তোলার জন্য।
৪.
বঙ্গবন্ধুর আরেকজন শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক ছিলেন গিরিশ বাবু। বঙ্গবন্ধু ১৯৩৭ সালে যখন গোপালগঞ্জ খ্রিষ্টান মিশনারি হাইস্কুলে ভর্তি হন, তখন ওই স্কুলের শিক্ষক ছিলেন গিরিশ বাবু। তিনি ছিলেন রাশভারী ও গম্ভীর এবং সব ছাত্রের প্রিয়। কিশোর ছাত্র মুজিব ছিলেন সত্যবাদী ও অন্যায়ের প্রতিবাদকারী। গিরিশ বাবু ছাত্র মুজিবকে স্নেহ করতেন সাহসিকতা ও স্পষ্টবাদিতার জন্য। বঙ্গবন্ধুও শিক্ষক গিরিশ বাবুকে বিশেষভাবে শ্রদ্ধা করতেন।
বঙ্গবন্ধু যখন ১৯৪১ সালে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নেন, তখন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন নরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত। ওই সময় একজন মুসলমান ছাত্র অন্যায়ভাবে মারপিটের শিকার হয়। বঙ্গবন্ধু তখন স্কুলের শিক্ষক নরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্তের কাছে বিষয়টির মীমাংসা চান। শিক্ষক নরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত অন্যান্যের সহায়তা নিয়ে বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে মিটমাট করেন। বঙ্গবন্ধু ওই শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে তাঁর সিদ্ধান্ত মেনে নেন। ওই স্কুলে আর কখনো এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
ওই স্কুলে বঙ্গবন্ধুর দুজন শিক্ষকের নাম পাওয়া যায় তাঁর আত্মজীবনীতে। তিনি লিখেছেন—‘১৯৪১ সালে আমি ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেব। পরীক্ষায় পাস আমি নিশ্চয়ই করব, সন্দেহ ছিল না। রসরঞ্জন বাবু ইংরেজির শিক্ষক, আমাকে ইংরেজি পড়াতেন। আর মনোরঞ্জন বাবু অঙ্কের শিক্ষক, আমাকে অঙ্ক পড়াতেন।’
তাঁদের মধ্যে রসরঞ্জন সেনগুপ্ত খেলার প্রতিযোগিতা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ওই সময় বঙ্গবন্ধু ছিলেন গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলের ফুটবল টিমের ক্যাপ্টেন। আর অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুৎফর রহমান ছিলেন অফিসার্স ক্লাবের সেক্রেটারি। ১৯৪০ সাল থেকেই পিতা ও পুত্রের টিমের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে আসছিল। এই প্রতিযোগিতায় বঙ্গবন্ধুর স্কুল টিম প্রায় সব খেলাতেই জয়ী হতো। এই পরিস্থিতিতে দুই পক্ষের টিমের মধ্যে সমঝোতা হয়। এই সমঝোতায় প্রধান ভূমিকা পালন করেন শিক্ষক রসরঞ্জন সেনগুপ্ত।
বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীতে কলকাতার ইসলামিয়া কলেজের শিক্ষাজীবন, শিক্ষক এবং সমকালীন রাজনীতি ও অন্যান্য ঘটনা সম্পর্কে অনেক মূল্যবান ও দুর্লভ প্রামাণ্য তথ্য রয়েছে। ইসলামিয়া কলেজ ছিল ছাত্র আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র। স্পষ্টবাদিতা, সাহস, ন্যায্যতা, নিষ্ঠা, মানবিকতা ও সাংগঠনিক নেতৃত্বের কারণে অতি অল্প সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ইসলামিয়া কলেজে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ১৯৪৩ সালে মন্বন্তরের সময় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের সেবা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ওই সময় দুর্ভিক্ষের অবস্থা, বেকার হোস্টেলের ছাত্রদের সহায়তা এবং কলেজের শিক্ষক সাইদুর রহমান, আই এইচ জুবেরী, নারায়ণ বাবুসহ অধ্যাপকদের সহমর্মিতা সম্পর্কে জানা যায় বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীতে। তিনি লিখেছেন,
‘এই সময় শহীদ সাহেব লঙ্গরখানা খোলার হুকুম দিলেন। আমিও লেখাপড়া ছেড়ে দুর্ভিক্ষপীড়িতদের সেবায় ঝাঁপিয়ে পড়লাম। অনেকগুলি লঙ্গরখানা খুললাম। দিনে একবার করে খাবার দিতাম। মুসলিম লীগ অফিসে, কলকাতা মাদ্রাসা এবং আরও অনেক জায়গায় লঙ্গরখানা খুললাম। দিনভর কাজ করতাম, আর রাতে কোনো দিন বেকার হোস্টেলে ফিরে আসতাম, কোনো দিন লীগ অফিসের টেবিলে শুয়ে থাকতাম। আমার আরও কয়েকজন সহকর্মী ছিলেন। যেমন পিরোজপুরের নুরুদ্দিন আহমেদ—যিনি পরে পূর্ব বাংলার এমএলএ হন। নিঃস্বার্থ কর্মী ছিলেন—যদিও তিনি আনোয়ার হোসেন সাহেবের দলে ছিলেন, আমার সঙ্গে এদের গোলমাল ছিল, তবুও আমার ওকে ভালো লাগত। বেকার হোস্টেলের সুপারিনটেনডেন্ট ছিলেন প্রফেসর সাইদুর রহমান সাহেব (বহু পরে ঢাকার জগন্নাথ কলেজের প্রিন্সিপাল হন) আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। হোস্টেল রাজনীতি বা ইলেকশনে আমার যোগদান করার সময় ছিল না। তবে তিনি আমার সঙ্গে পরামর্শ করতেন। প্রিন্সিপাল ছিলেন ড. আই এইচ জুবেরী। তিনিও আমাকে খুবই স্নেহ করতেন।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘হোস্টেল সুপারিনটেনডেন্ট সাইদুর রহমান সাহেব জানতেন, আমার অনেক অতিথি আসত। বিভিন্ন জেলার ছাত্রনেতারা আসলে কোথায় রাখব, একজন না একজন ছাত্র আমার সিটে থাকতই। কারণ, সিট না পাওয়া পর্যন্ত আমার রুমই তাদের জন্য ফ্রি রুম। একদিন বললাম, “স্যার, কোনো ছাত্র রোগাগ্রস্ত হলে যে কামরায় থাকে, সেই কামরাটা আমাকে দিয়ে দেন। সেটা অনেক বড় কামরা দশ-পনেরো জন লোক থাকতে পারে।” বড় কামরাটায় একটা বিজলি পাখাও ছিল। নিজের কামরাটা তো থাকলই। তিনি বললেন, “ঠিক আছে, দখল করে নাও। কোনো ছাত্র যেন নালিশ না করে।” বললাম, “কেউই কিছু বলবে না। দু-একজন আমার বিরুদ্ধে থাকলেও সাহস পাবে না।”’
ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষ ড. জুবেরীও বঙ্গবন্ধুকে খুব ভালোবাসতেন। মন্বন্তরের সময় অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে বঙ্গবন্ধু অসুস্থ হলে অধ্যক্ষ মাঝেমধ্যে খবর নিতেন। বিএ পরীক্ষা দেওয়ার সময় অধ্যক্ষ বঙ্গবন্ধুকে সহায়তা করেছিলেন, সে প্রসঙ্গে জানা যায় তাঁর আত্মজীবনী থেকে। পরবর্তী জীবনেও শিক্ষকদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অগাধ শ্রদ্ধা ও ভক্তি অটুট ছিল। লেখক, গবেষক, চিন্তাবিদ সৈয়দ আবুল মকসুদ জানিয়েছেন, ‘স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার সময়ও অধ্যাপক সাইদুর রহমানের পায়ে হাত দিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে দেখেছি।’
অনুপম হায়াৎ লেখক ও গবেষক