বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ


১৯৭১ ইং ৭ মার্চ রেস কোর্সের ময়দানে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ কন্ঠের ভাষণই এই দেশের অর্থাৎ বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ বপণ করে। স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে দিক নির্দেশনা ঐ আপোষহীন ব্যক্তিত্বের অধিকারী আমাদের প্রিয় নেতার ভাষণেই তাৎক্ষণিক এসে গিয়েছিল। পরবর্তীতে পূর্ব বাংলার দামাল মায়ের ছেলেরা মুক্তি বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা সম্মুখ রণাঙ্গণে যুদ্ধ করে যুদ্ধের বিভিন্ন প্রকার কৌশল রপ্ত করে এই দেশের নারী পুরুষ আবাল বৃদ্ধ বণিতা যে যেভাবে পেরেছে প্রাণের মায়া ত্যাগ করে কায়মনোবাক্যে মুক্তিযোদ্ধা ভাইবোনদের তথ্য উপাত্ত প্রদান করে বা পাঠিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভাইবোনদের খাদ্য বা রসদ এবং পানি যোগাড় করে অত্র দেশ বাংলাদেশকে ১৬ ই ডিসেম্বর বিজয় প্রাপ্তি পূর্বক স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা অর্জনের সীমাহীন সুযোগ ও সহযোগিতা করে দেয়।
বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেত্রীত্বের সুফল আমরা বাংলাদেশের আপামর জনগণ অর্থাৎ ১৭ কোটি নাগরিক পেলাম যখন শ্রবণ করলাম ইউনেস্কোর স্বীকৃতি। বিগত দুই বছরের প্রক্রিয়া শেষে ২০১৬-২০১৭ সনে যে সকল দলিল মনোনয়ন পায় তার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণসহ ৭৮টি দলিলকে ‘ডকুমেন্টারী হেরিটেজ’ হিসাবে ‘মেমোরী অব দ্যা ওয়ার্ল্ড’ রেজিস্ট্রারে যুক্ত করার সুপারিশ আসে এবং ইউনেস্কোর দেওয়া স্বীকৃতির মাধ্যমে ১৯৭১ এর বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের ঢাকার রেসকোর্সের ভাষণ, বঙ্গবন্ধুর প্রখর দুরদর্শিতার পরিচয় বহন করে এবং উল্লেখিত ভাষণে মহান মুক্তিযুদ্ধের দিকনির্দেশনা পরিস্ফুটিত হয়। সকল মুক্তিকামী জনগণের হৃদয়ে আমাদের জাতির পিতার এ ভাষণ উদ্বেলিত করে, উচ্ছসিত করে, সংগ্রামী চেতনায় উজ্জীবিত করতে সহায়ক হয়েছে ও হচ্ছে এবং হবে। মোট ৭৮টি দলিল সম্বলিত ‘ডকুমেন্টারী হেরিটেজ’ হিসাবে মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রারে যুক্ত হওয়া বা স্থান পাওয়া বাংলাদেশের জনগণের জন্য বিরাট অর্জন।
এডভোকেট আক্তারুন নেসা বেগম

SUMMARY

909-4.jpg