৭ মার্চ, ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর অগ্নিঝড়া বক্তব্যরে পরপরই ফরিদপুর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। এর একদিন পর ফরিদপুরে গঠন করা হয় স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। পুরো জেলায় চলতে থাকতে হানাদার বাহিনীর সাথে— বাঙালিদের অস্তিত্বের লড়াই। কিন্তু যুদ্ধ জয়ের এত বছরেও— যুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত গণকবর আর সমাধিসৌধ রক্ষা না করায় ক্ষোভ জানালেন মুক্তিযোদ্ধারা।
৮ মার্চ ফরিদপুরে গঠন করা হয় স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। আর সেদিনই রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদে এক জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় স্বাধীনতা যুদ্ধ প্রস্তুতির। এরপর ১০ মার্চ ফরিদপুরের অম্বিকা ময়দানে বিশাল ছাত্র জমায়েত করে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হয়। স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে ফরিদপুর শহর। যুদ্ধের ঝাঁপিয়ে পড়ে অসংখ্য জনতা। কিন্তু দেশ স্বাধীনের পরও যুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত গণকবর আর সমাধিসৌধ রক্ষা না করায় ক্ষোভ জানালেন মুক্তিযোদ্ধারা।
ভয়াল দিনগুলোতে আত্মত্যাগের স্মৃতিচারণ করলেন বিএলএফ-এর কমান্ডার ও সাবেক রাজেন্দ্র কলেজের জিএস শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর।
যুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত গণকবর আর সমাধিসৌধ রক্ষায়– ভূমিকা রাখবে সরকার, প্রত্যাশা মুক্তিযোদ্ধাদের।