বঙ্গবন্ধুর দরাজ গলার এই ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল গোটা জাতি


মার্চ ৭, ২০১৮ 

১৯৭১ সালের অগ্নিঝরা এই দিনে পাকিস্তানীদের শোষন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে মুক্তিপাগল জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে দেয়া বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর নিরস্ত্র বাঙালি জাতি সশস্ত্র প্রতিরোধে এগিয়ে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর বিশ্বের মানচিত্রে ঠাই পায় লাল-সবুজের স্বাধীন বাংলাদেশ। ইউনেস্কোর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছে জাতির জনকের এ কালজয়ী ভাষণ।

বঙ্গবন্ধুর দরাজ গলার এই ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল গোটা জাতি। ঐতিহাসিক এই ভাষণে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানীদের ২৪ বছরের শোষন, বঞ্চনা আর নির্যাতনের বিরুদ্ধে বীর বাঙালীকে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানান। ভাষণের পর আটক হতে পারেন, এমন ভাবনা থেকেই পরবর্তী রাজনৈতিক কর্মসূচী কি হবে, তাও কৌশলে জানিয়ে দেন তিনি।

ভাষণটির প্রভাব শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বের নির্যাতিত নিপীড়িত, স্বাধীনতাকামীদের জন্য আজো অনুপ্রেরণার আধার।

বঙ্গবন্ধুর অগ্নিঝরা ওই ভাষনের সময় নুরে আলম সিদ্দিকী মঞ্চেই ছিলেন। তাইতো অন্যদের চেয়ে আলাদা অনুভূতি জানিয়ে কবির ভাষায় তিনি বলেন, যতদিন রবে পদ্মা মেঘনা যমুনা বহমান- ততোদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।

SUMMARY

893-1.jpg