১৬, ২০১৭
১৯৭১ সালের এইদিনে, মুক্তিপাগল মানুষ বঙ্গবন্ধুর চূড়ান্ত ঘোষণার অপেক্ষায় প্রহর গুণছিলো। বঙ্গবন্ধুর সাথে ইয়াহিয়া খানের বৈঠকের কি হচ্ছে, তা জানতে উদগ্রীব উৎসুক জনতা। পাড়া-মহল্লায় গড়ে ওঠে ‘সংগ্রাম কমিটি’। রাস্তায়, মাঠে- ময়দানে তখন গণসঙ্গীত, নাটক, পথনাটক ও পথসভা করে চলছেন সাংস্কৃতিক কর্মীরা। এরই মাঝে সাতক্ষীরায় পাক হানাদারের গুলিবর্ষণে মারা যান অনেকে।
১৬ মার্চ ১৯৭১। তখনকার পাক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সঙ্গে বৈঠক করতে, বের হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গোটা বাঙালী জাতি উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে কী আলোচনা হচ্ছে সেই বৈঠকে। রাজপথ মিছিলে মিছিলে উত্তপ্ত করে তোলেন, নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জেও ছড়িয়ে পড়ে। মাঠে-ময়দানে সবখানেই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঘোষণা নিয়ে তোলপাড়।
সকাল ১০টায় শুরু হওয়া বৈঠকটি শেষ হয়, দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে। বৈঠক শেষে– বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের জানান, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে ইয়াহিয়ার পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। সংবাদপত্রে শিরোনামে ইয়াহিয়ার বিরুদ্ধে বড় বড় লেখা ছাপা হয়। লাখো জনতাও দেশের উদ্ভূত সমস্যার চূড়ান্ত সমাধানে, বঙ্গবন্ধুর সর্বশেষ মন্তব্যের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন।
শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কালো পতাকা উড়তে থাকে পাড়া-মহল্লায়। শিল্পী সাহিত্যিক, কামার-কুমোর, বুদ্ধিজীবী পেশাজীবীরা নেমে আসেন রাজপথে। মুক্তির শ্লোগানে প্রকম্পিত হয়, রাজধানীসহ গোটাদেশ।