বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসু না হলে– মরণ কামড় দেয়া হবে স্বাধীনতাকামী বাংলাদেশীদের। একাত্তরের ১৫ মার্চ, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের আকস্মিক ঢাকা সফরের মূল উদ্দেশ্য এমনটাই ছিলো বলে মনে করেন, মুক্তিযুদ্ধে ১ নম্বর সেক্টরে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বীর বিক্রম খেতাব প্রাপ্ত অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল, অলি আহমদ। পাশাপাশি তিনি বলেন, সামরিক জান্তার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বেসামরিক ও সামরিক সবার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের নেপথ্যে ছিলো, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের অনুপ্রেরণা।
১৫ মার্চ ১৯৭১। স্বাধীকারের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সব শ্রেনী-পেশার মানুষের বাংলাদেশ-বাংলাদেশ শ্লোগানে উত্তাল ঢাকার রাজপথ। এদিন স্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ বায়তুল মোকাররম চত্ত্বরে সমাবেশ করে। ছাত্র নেতারা মাতৃভূমির স্বাধীনতা অর্জনে স্বশস্ত্র প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান। উত্তাল মার্চের এমন সময় অনেকটা ভাবলেশহীনভাবে ঢাকায় আসেন, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান। অন্যদিকে, নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালানোর প্রতিবাদে, কালো পতাকাবাহী গাড়িতে করে ইয়াহিয়ার সঙ্গে দেখা করতে তখনকার হোটেল ইন্টার কণ্টিনেন্টালে যান বঙ্গবন্ধু। কী ছিলো, ইয়াহিয়ার আকস্মিক ঢাকা সফরের মূল উদ্দেশ্য?
ওইদিন সামরিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১১’শ বেসামরিক কর্মচারীর কর্মবিরতি এবং সামরিক ও বেসামরিক ঐক্যের নেপথ্যের কারণও তুলে ধরেন, ১ নম্বর সেক্টরের এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। সামরিক জান্তার ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দেয়ার প্রস্তুতি তখন থেকেই নেয়া শুরু হয় বলেও জানান, এই বীর বিক্রম।