১০ মার্চ! বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে টানা ১০ দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেন পুর্ব বাংলার– সরকারী আধা-সরকারী অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। উড়ানো হয় কালো পতাকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ছাত্রলীগের সভা থেকে পাকিস্তান সরকারকে– সহযোগীতা না করার আহবান জানানো হয়। আর নিউইয়র্কে প্রবাসী বাঙ্গালী ছাত্ররা জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করে স্মারকলিপি দেয়। এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদেশি সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাতে– স্বাধীনতা বিষয়ে দৃঢ় সংকল্পের কথা তুলে ধরেন।
৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের পর, দেশজুড়ে ‘স্বাধীন বাংলা’র দাবি আরো তীব্র হয়। তাজউদ্দিন আহমেদের ঘোষণা মেনে অফিস-আদালত বন্ধ রাখেন পুর্ব বাঙ্গার বীর জনতা।
টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ায় জয় বাংলা শ্লোগানের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে।পুর্ব পাকিস্তানে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক সরকারের সমালোচনা করে নিবন্ধ প্রকাশ হয় গণমাধ্যমে।
বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা মেনে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি চলে গোটা বাংলায়।
যুবকরা পাড়া-মহল্লায় গড়ে তোলে সংগ্রাম কমিটি। তাদেরই একজন রশিদুল আলম।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠ্যবইয়ে, আরো ভালো করে তুলে ধরার দাবি জানান এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের আরো আন্তরিক হবার আহবান যুদ্ধাহত এই মুক্তিযোদ্ধার।