বঙ্গবন্ধুর দর্শন


শহীদ ইকবাল 
বঙ্গবন্ধু নিছক কেউ নন। বলি, তাঁকে স্বাধীনতার স্থপতি। এই স্থাপত্যকারের জীবন ও সংগ্রাম কেমন ছিলেন? ‘বাংলা’ নামের দেশ গড়ার কারিগর তিনি কীভাবে হলেন, সহজে নয়, কাজটা সহজততো ছিল না। সেজন্য একপ্রকার দর্শনটি তৈরি করার প্রয়োজন ছিল। তিনি দর্শনের উদ্গাতা। কী তা? জনতার পক্ষে, জনতার রুচি নিয়ে তৈরি হবে দেশ। বৈষম্য নয়। সকলের আহার-বাস-চিকিৎসা-নিরাপত্তা থাকতে হবে।

ওইসকল সাধারণ মানুষের জন্যইতো রাজনীতি! সেটি তার ‘দর্শন’। গরীব-ধনী বৈষম্য নয়। উঁচু-নীচু নয়। ধর্ম-বর্ণ নয়। মানুষের পক্ষই প্রধান। এই রাজনৈতিক দর্শন বঙ্গবন্ধু নিয়েছিলেন। যে কারণে, সংবিধানে সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতার স্তম্ভ সমুন্নত রাখেন তিনি। এটা মানতেন তিনি। জানতেনও এটিই তার শক্তি। শক্তির ভিত্তি আপামর মেহনতী জনতা। এই কাজটি ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন তিনি অঙ্গীকার করেন।

তাঁর ভাষণে তিনি বলেন; যা ভেঙ্গে গেছে তা গড়তে হবে, সকলকে নিয়ে গড়তে হবে, তোমরা আত্মত্যাগ করবে, মনে করবে আরও একবছর যুদ্ধ করতে হবে। আমার কাছে কিছু চাইবে না। ওই সময় সকলে কিংবদন্তীসম এ নেতাকে আশ্বাস দিয়েছিল। আশ্বস্ত করেছিল। একস্বরে দেশগড়ার কথা বলেছিল। এই যে সমশক্তি উপার্জন ও উন্মোচন একজন নেতার নেতৃত্বের শক্তিতে তা ছিল প্রকাশ্য, আপামর জনতার আশ্বাস, সকলের জন্য সমানরকম জীবনের নিশ্চয়তা সেটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর দর্শন।

সেই দর্শনের জন্যই তিনি জীবনের অধিকাংশ সময় জেলে থেকেছেন, পরিবার-পরিজনকে বঞ্চিত করেছেন, শাসকশক্তির কাছে নাকাল হয়েছেন। রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই তিনি এইসকল মানুষের জন্য কাজ করেছেন। মুক্তিসংগ্রামের লক্ষ্যও ছিল তাই। কিন্তু এই দর্শনটি তাঁর জন্য ‘কাল’ হয়েছিল। বাঙালির ইতিহাস বড় সুকঠিন ও নির্মম।

এই ভূখণ্ড প্রথম স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব পায় একাত্তরে। তার আগে পরাধীন ছিল নানারকম শাসক-শক্তির দ্বারা। সুতরাং স্বাধীনতার স্বাদ, জনতার শত্রু যারা তারা মেনে নিতে পারেনি। শাসকরাও কেউ কেউ সহ্য করেননি। ১৯৭৫’র ১৫ আগস্ট সময়ধারায় একটি তারিখমাত্র, কিন্তু তার বহু আগেই পাহাড়প্রতীম নেতাকে হত্যার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল।

মোশতাক, তাঁর পাশেই ছিলেন। এই ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধকেও নস্যাৎ করার চক্রান্ত করেছিল। সে ছিল পাকিস্তান-আমেরিকার এজেন্ট। সাম্রাজ্যবাদের অটুট শক্তি। কেন্দ্রও। বঙ্গবন্ধুর সহচর হিসেবে থেকে সে বাইরের সমস্ত যোগাযোগ রক্ষা করেছে। সেজন্য তাজউদ্দীনের মতো নেতা বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রীসভায় থাকতে পারেননি।

তাজউদ্দীন ছিলেন অকুতোভয়, মেধাবী রাজনীতিক, বঙ্গবন্ধুর দর্শনের পূর্ণশক্তি। শোষক নন, শোষিতের পক্ষে। জনতার পক্ষে। বঙ্গবন্ধুর চেতনার পক্ষে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে। সমাজতন্ত্রী আদর্শের স্বপক্ষে। কিন্তু বিশ্বাসঘাতক মোশতাক ছিল তার পূর্ণ বিরোধী, আমেরিকা ও পাকিস্তানের চর, সাম্রাজ্যবাদী দালাল। এই দালালদের স্তাবকতা, বিভ্রান্তিতে বঙ্গবন্ধুর অনেককিছু ক্ষয়ে যায়।

আজকে বঙ্গবন্ধুর শাসনকাল নিয়ে বিরূপভাবে যা কিছু বলা হয়, তার মূল হোতা ছিল মোশতাক গংরা। তারাই ষড়যন্ত্র করে, দুর্ভিক্ষ ডেকে আনে, কার্যত মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে বিতর্কিত করবার জন্য। বঙ্গবন্ধুকে ব্যর্থ প্রমাণ করার জন্য। সদ্য-স্বাধীন দেশে, চারদিকে নাগিণীদের যে বিষাক্ত নিঃশ্বাস বঙ্গবন্ধুকে অসহায়ত্বের দিকে ঠেলে দিয়েছিল সেখানে নতুন রাষ্ট্রের প্রকৃত মিত্ররা ছিল কোণঠাসা, অনেক স্তরের আড়ালে।

বঙ্গবন্ধুকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের যে অপরূপ আনন্দ তা ক্রমশ মলিন ও কালিমালিপ্ত করাই ছিল তাদের এজেন্ডা। বেঈমান মোশতাক সেজন্য স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি হয়ে বেতার ভাষণে বলেছিল ‘সকলেই এই শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন চাইছিল। কিন্তু প্রচলিত নিয়মে পরিবর্তন সম্ভব ছিল না বলেই সরকার পরিবর্তনে সেনাবাহিনীকে এগিয়ে আসতে হয়। ঐতিহাসিক প্রয়োজনে সেনাবাহিনী জনগণের জন্য সুযোগের স্বর্ণদ্বার খুলে দিয়েছে।’

আসলে এ সুযোগের স্বর্ণদ্বার ছিল পাকিস্তানের এদেশীয় প্রেতাত্মাদের জন্য। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রকৃত বেনিফিসিয়ারি ছিল তারাই। মাত্র সাড়ে তিনবছরের শাসনকালে যে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা তা হয়তো সদ্য স্বাধীনদেশে তেমন পরিপক্ক কিছু ছিল না কিন্তু পাকিস্তানের পরাজিত প্রেতাত্মার দল ক্রমশ বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে ফেলে, একাকী ও নিঃসঙ্গ করে ফেলে। অনেকটা জনবিচ্ছিন্নও করে ফেলে। এই সুযোগ দেশবিরোধী কুলাঙ্গারদের সৃষ্টি করা সুযোগ।

যারা তাকে ‘সুযোগের স্বর্ণদ্বার’ বলে আখ্যা দেয়। এরা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের প্রতিনিধি। শোষিতশক্তির শত্রু। শোষকের মিত্র ও দালাল। বঙ্গবন্ধু যেদিন বলেছিলেন আমি শোষিতের পক্ষে সেদিনই শোষকপ্রতিনিধিরা দেশীয় অনুচরদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র শুরু করেছিল।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরিতে উদ্যত ফণার বিস্তার ঘটায় তারা। পাকিস্তান ও তার অনুসারীরা এ সুযোগ লুফে নেয়, পরাজয়ের প্রতিশোধ হিসেবে। সত্তরের দশকের দুই মেরুর বিশ্বে ভারত-রাশিয়া বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় সহায়তা দিয়েছিল। বিপরীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু দেশ শোষকশক্তির মৈত্রীরূপে অন্যায়ভাবে পাকিস্তানের পক্ষে দাঁড়ায়।

মানবতাবিরোধী এ অন্যায়যুদ্ধে, বৈষম্যতাড়িত যে জনযুদ্ধে সেখানে সাম্রাজ্যবাদীরা মধ্যযুগীয় কায়দায় যে ঘৃণ্য অবস্থান নেয় তা কিছুতেই বিবেকপ্রসূত ছিল না। বঙ্গবন্ধুর দর্শন ছিল বিবেচনার দর্শন। একঅর্থে কাণ্ডজ্ঞানেরও দর্শন। এইটিই বাংলাদেশের রাজনীতির মূলকথা, মৌলভিত্তি। রাষ্ট্রটির জন্মসত্যও ছিল তার মধ্যেই।

০২.
১৫ আগস্টের নিষ্ঠুর হত্যযজ্ঞের শিকার গোটা বঙ্গবন্ধু পরিবার। কেন? বঙ্গবন্ধুর যে দর্শন, শোষিত মানুষের পক্ষে যে অবস্থান, সেটি বঙ্গবন্ধুকে এদেশের গণ-মানুষের নেতায় পরিণত করে। তাঁর স্টেসম্যানশিপ ছিল তাই তারা ঈর্ষান্বিত ছিল। এটি ছিল সুযোগ-সন্ধানীদের ভয়ের কারণ। মৃত বঙ্গবন্ধুর লাশও ছিল ভয়ের কারণ। সহজেই অনুমেয়, কেন এতো গোপনে, দ্রুততায়, প্রত্যন্ত অঞ্চলে, অযত্নে-অবহেলায় তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়! এমনকি নিষ্পাপ কিশোর রাসেলকেও ওরা কী ভয় পেয়েছিল?

আসলে বঙ্গবন্ধুর কোনো রক্তকেই তারা ধরিত্রীতে অবশিষ্ট রাখতে দিতে চায়নি। কারণ, একজন নেতার একটি দেশ-অর্জন, যিনি ইতিহাসের মহানায়ক, বাঙালির জাতির পিতা তাঁর শরীরী মৃত্যু তো একক মৃত্যু নয়! তাঁর উত্তরসূরীরা আরও সুকঠিন হতে পারে। কিংবা অশরীরী মুজিব আরও কয়েক সহস্র শক্তির উৎস হতে পারে। ঘাতকেরা এসব চিন্তায় চরম অস্থির ছিল। এই অস্থিরতা তাদের অমানসিক ও বেপরোয়া করে তোলে। তারা ত্রস্ত ও বিপদগ্রস্ত হয়েছিল।

কারণ, একটি রাষ্ট্রনেতাকে হত্যা করে তো রাষ্ট্রের মৃত্যু ডেকে আনা যায় না, রাষ্ট্রের দর্শনের মৃত্যু হয় না। এই বিচিত্র অস্থিরতায় ঘাতকরা সর্বরকম অবরোধ আরোপ করে বত্রিশ নম্বরে। পঁচাত্তরের পর রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষেধ হয়ে যায় বাড়িটি। তখন বঙ্গবন্ধুর বেঁচে যাওয়া দুই কন্যা প্রবাসে নির্মম কষ্টে দিনাতিপাত করেন। বত্রিশ নম্বরের প্রতিটি রক্তকণা, তছনছ করা জিনিসপত্র বছরের পর বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দিয়ে মুড়ে রাখা হয়।

একাশির মে মাসের আগে পর্যন্ত সবকিছু নিষিদ্ধ ছিল। চরম আশ্চর্য ও রোমহর্ষক এ ঘটনা যেন পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। এই হত্যাকাণ্ডের বেনিফিশিয়ারিরা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি নিয়ে তারা একপ্রকার খেলায় মেতে ওঠে। প্রতিশোধের কবলে পড়েন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকরা, কারাগারের প্রকোষ্ঠে রাষ্ট্রীয় আদেশে তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। অপরাধ ছিল যে তাঁরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল ছিলেন। এরপর কতো মুক্তিযোদ্ধা হত্যা হয়েছে তার সীমাসংখ্যা কেউ দিতে পারবে না।

ইতিহাস বিকৃতির কাজ রাষ্ট্রীয়ভাবে চলে। সংবিধানের স্তম্ভগুলো খসে পড়ে। পাকিস্তানের ধারা চালু হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি মুসলমানের ধর্মকে, ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগিয়ে অধিক মুসলমান, ততোধিক মুসলিম বানানোর রাষ্ট্রীয় আদেশ জারি হয়। বিসমিল্লাহ চালু, রাষ্ট্রধর্ম চালুর নামে এদেশের কোটি মানুষকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ধর্মের দিকে এগিয়ে দেওয়া হয়।

নিশ্চয়ই, একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে এসব কাজ হওয়ার আগে কেউ অমুসলিম ছিলেন না, কেউ ধর্মকে বিসর্জনও দেননি। তাহলে এসব আরোপের কারণ কী? রাষ্ট্রকে ধর্মের নামে চালানোর অর্থ কী? তাতে কী অধিক আধুনিক হওয়া যায়? তাতে কী ধর্মচর্চা বাড়ে? ধর্মীয় বিশ্বাস ও পবিত্রতাকে এভাবে রাষ্ট্রীয় তকমা দেওয়ার অর্থ মানুষকে কী বিভাজ্য করার তৎপরতা!

বস্তুত, ধর্মের নামে রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে শাসকের সিদ্ধি হাসিল করা। স্বার্থকে নিজের করে তোলা। ব্যক্তিমনস্কতা বাড়ানো। দ্বিধা-বিভক্তি সৃষ্টি করা। কাজটি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে সহজ হয়ে যায়। স্বাধীনতাবিরোধীরা ধর্মের প্রতিপক্ষরূপে বঙ্গবন্ধুকে চালানোর চেষ্টা করে। এই চেষ্টার ভেতরে ভারত-বিরোধীতার জিগির তোলা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিকৃত করা, জাতির প্রগতিশীল বিশ্বাসের ভিতকে নড়বড়ে করে দেওয়াই মূল লক্ষ্য।

বিষয়গুলোর ভেতর দিয়ে জাতির পিতাকে বিতর্কিত করার কাজটা পুরোপুরি সম্পন্ন হয়। আজকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বা পাকিস্তানে জাতির পিতা নিয়ে কোনো সংকট নেই, কিন্তু আমরা আজও সর্বজনগ্রাহ্য করে জাতির পিতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি। এটা জাতি হিসেবে আমাদের নির্মম ট্র্যাজেডি। পঁচাত্তরের পরে প্রায় একুশ বছর ধরে স্বাধীনতা-বিরোধী রাষ্ট্রীয় শক্তি এ কাজটি নতুন প্রজন্মের মাঝে বেশ ভালোভাবেই চালু করতে পেরেছে বলে মনে হয়।

০৩.
শোকের মাসে আর একটি কথা জরুরি। বর্তমান সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতাসীন। সামনে নির্বাচন আসছে। কিন্তু কাগজে যতোটুকু দেখা যাচ্ছে ক্ষমতাসীনদের কাজকর্ম জনগণ খুব ভালোভাবে গ্রহণ করছে না। দলে স্বার্থলিপ্সুরা ঢুকে গেছে। যতো লীগ আছে, তাদের প্রায় অনেকেই দলীয় নীতি-আদর্শ, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন জানে না। পড়ে না।

শুধু অর্থের নেশায় দল করছে। তৃণমূল থেকে আরম্ভ করে জেলা-নগর-মহানগর একই অবস্থা। পঁচিশ থেকে পঞ্চাশ বছর বয়সের অনেকেই বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী বা তার কারা- ইতিহাস পড়েননি। দলীয় আদর্শ জানেন না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা বাহাত্তরের সংবিধানের মূলনীতি সম্পর্কে ধারণা নাই। এই হচ্ছে সাধারণ অবস্থা।

তবে ব্যতিক্রম তো নিশ্চয়ই উদাহরণ নয়। এ থেকে দলকে মুক্ত করা খুব দরকার। ধর্ষক বিদায় করা দরকার। দলের নামে অস্ত্রধারীদের চিহ্নিত করা জরুরি। মশারীর মধ্যে মশারী কেন সে প্রশ্ন তোলা দরকার। গ্রুপ-সাবগ্রুপের অর্থ কী জানা দরকার। ক্ষমতায় থেকে যা করছে, তাতে দল বা দেশ বাঁচানো কিংবা প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানানোর কিছু কী দেখা যায়?

একই কাজ মনে হয় চলছে, আমলাতন্ত্রে বা পুলিশ প্রশাসনে। দুএকটা কেস হয়তো হঠাৎ বেরিয়েও পড়ে। গাজী সালমন তো একজন নন! এ থেকে মুক্তি না হলে মোশতাকরা ফিরে আসতে সময় নেবে না। জাতির জনকের কন্যার কাঁধে সব পড়ে থাকবে কিংবা ঘটে যেতে পারে একুশে আগস্টের পুনরাবৃত্তি, বিচিত্র কী?

কথাগুলো কড়া মনে হলেও এটা বিশ্বাস করি, আওয়ামী লীগ ও জাতির জনকের কন্যাকে বাঁচানো এই দেশকেই বাঁচানো সেটি সকলে বুঝতে শিখুক, জানতে শিখুক। যুক্তি দিয়ে ইতিহাস পড়েই তা জানুক। শুধুই লোক দেখানো কিছু টেকে না। আদর্শটুকু ছাড়া

শহীদ ইকবাল : লেখক ও অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। 

SUMMARY

818-1.jpg