জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক অ্যাড. এম আব্দুর রহিম ।
এম আব্দুর রহিম মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের পশ্চিমাঞ্চলীয় জোনের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এনায়েতুর রহিম ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের পিতা।
এম আব্দুর রহিম ছাত্রাবস্থায় রাজশাহী কলেজে ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন। মুসলিম লীগ সরকারের হক-ভাসানী-সোহরাওয়ার্দীর যুক্তফ্রন্টের একজন কর্মী হিসেবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনি প্রচারাভিযানে অংশ নেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ঐতিহাসিক আগরতলা মামলার লিগ্যাল এইড কমিটির একজন সদস্য ছিলেন এম আব্দুর রহিম। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে ১৯৭১ এর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বৃহত্তর দিনাজপুর আঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে কাজ করেন। ‘৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হলে গোটা দেশকে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য যে ১১টি বেসামরিক জোনে ভাগ করা হয় তারমধ্যে এম আব্দুর রহিম ছিলেন পশ্চিম জোনের জোনাল চেয়ারম্যান। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি ১৮ ডিসেম্বর দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।
১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রনয়নের জন্য গঠিত কমিটির ৩৪ জন সদস্যের মধ্যে ছিলেন এম আব্দুর রহিম। তিনি ১৯৯১ সালে দিনাজপুর সদর আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে আবারও নির্বাচিত হন। তিনি দীর্ঘদিন দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও দিনাজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
অ্যাড. এম আব্দুর রহিম ২০১৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।