‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা’ সংস্কার আন্দোলন ও আত্মঘাতী প্রতিরোধ


মো. জাকির হোসেন 
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে একাধিক কলামে আমি লিখেছি– এটি আসলে ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংস্কার আন্দোলন’। গত কয়েক মাসে কতবার যে সংস্কার আন্দোলনের যৌক্তিকতা ও আমার অবস্থান নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি, তার ইয়ত্তা নেই। সব প্রশ্নই ছিল একটি কোটাকে কেন্দ্র করে। জেলা কোটা, নারী কোটা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটা কিংবা প্রতিবন্ধী কোটা নিয়ে কোনও প্রশ্ন ছিল না। সবাই একটাই প্রশ্ন করেছে—মুক্তিযোদ্ধা কোটা আমি যৌক্তিক মনে করি কিনা? দুই লাখ মুক্তিযোদ্ধার জন্য ৩০ শতাংশ কোটা কেন? আমার যুক্তির পর প্রশ্নকারীরা পাল্টা প্রশ্ন করেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা কোটার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছেন কিনা? কেউ কেউ তো এমন প্রশ্নও তুলেছেন, এটি সংবিধান সম্মত কিনা? আমি আমার মতো যুক্তি দিয়েছি। তারা যুক্তিতে খুশি হয়েছেন বলে মনে হয়নি। এই তো সেদিন ক্লাসে কোটা সংস্কার নিয়ে এক ছাত্রের প্রশ্নের মুখে যেই মাত্র বললাম, কোটা সংস্কারের আড়ালে এটি আসলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংস্কার আন্দোলন, সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু শিক্ষার্থীর মুখমণ্ডলে বাঁধ ভাঙা আনন্দের ঝিলিক দেখতে পাই। তারা ধরে নিয়েছিল, আমি মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিপক্ষে বলবো। কিন্তু যেই মাত্র আমি মুক্তিযোদ্ধা কোটার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করতে লাগলাম, দেখলাম, তাদের সে আনন্দের ঝিলিক দপ করে নিভে গেলো। আমার যুক্তির বিপরীতে তাদের প্রধান বক্তব্য হলো, স্বাধীনতার এত বছর পর কেন মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকতে হবে? বয়স বিবেচনায় এখন তো মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের সন্তানরা এ কোটার যোগ্য নন। তাহলে কেন মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিকে সুযোগ দেওয়া হবে? আমি তাদের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দেই—বঙ্গবন্ধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা চালু করেছিলেন। কিন্তু ৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কেন, কার স্বার্থে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করা হলো? তখন তো মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানেরা এ কোটার জন্য উপযুক্ত ছিলেন। ৯৬ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনঃপ্রবর্তনের আগে ২১ বছর মুক্তিযোদ্ধা কোটাবিহীন সময় পেরিয়ে গেছে। এই ২১ বছর মুক্তিযোদ্ধা কোটা চালু থাকলে এখন তো আর নাতি-নাতনি কোটার প্রয়োজন হতো না। আমার এ যুক্তির পর কিছুটা পিছু হটে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংস্কারবাদী শিক্ষার্থীরা, তবে তাদের মধ্যে ভয়ঙ্কর অসন্তোষের রেশ থেকেই যায়।

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরুটা কীভাবে হলো, তা জানতে আমাদের একটু পেছন ফিরে তাকাতে হবে। ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী তাদের নির্বাচনি ইশতেহারে সর্বপ্রথম সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করার দাবি এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করার দাবি তোলে। নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার জয়ী হওয়ার পর প্রথম জাতীয় সংসদ অধিবেশন বসে ২০০২ সালের ৮ জানুয়ারি। সেখানে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব ও আলোচনার সময় জামাতের সংসদীয় দলের নেতা তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী প্রথম দাবি করেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে দেওয়া দরকার। কারণ এই কোটার অপব্যবহার হচ্ছে, অপচয় হচ্ছে। নিজামী আরও বলেন, আলাদা মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখার কোনও প্রয়োজন নেই, পুরো কোটা ব্যবস্থারই সংস্কার করা দরকার। এরপর জামায়াতের আরেক নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী ২০০৩ সালে ৩৩তম বাজেট অধিবেশনে বাজেটের ওপর আলোচনার সময় মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের জন্য দাবি উত্থাপন করেন এবং কোটা সংস্কারের দাবি করেন। একই অধিবেশনে মাওলানা আবদুস সোবহানও মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবি তোলেন। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কোটা সংস্কারের বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে, এমন আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। তবে বিভিন্ন কারণে এ বিষয়ে তখন আর অগ্রসর হতে পারেনি। এরই ধারাবাহিকতায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেগকে পুঁজি করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংস্কারের আড়ালে এই আন্দোলনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কোটা সংস্কার’ আন্দোলন।

কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে অনেক ভেল্কিবাজি হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত একে সরকার উৎখাত আন্দোলনে রূপ দিতে চেষ্টা চালিয়েছে। আন্দোলন উসকে দিতে তারেক রহমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের ফোনালাপ জনসমক্ষে এসেছে। সাধারণ আন্দোলনকারী ও সরকারকে বিভ্রান্ত করতে বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে আন্দোলনে যোগ দিতে দেখা গিয়েছে। জয় বাংলা স্লোগান উচ্চারিত হতে দেখা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর ছবিতে ফুলের মালা দিয়ে ‘শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার’, ‘যোগ্য পিতার যোগ্য কন্যা, শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা’ স্লোগানও দেওয়া হয়েছে। এ সবই ছিল সাজানো ও বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপকৌশল। যে কেউ আমাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন, আমি কীভাবে নিশ্চিত করে বলছি এসব সাজানো ছিল। ফেসবুকসহ পত্র-পত্রিকায় অসংখ্য অনুসন্ধানী খবর বেরিয়েছে যে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের কয়েকজন অতীতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং একজন হলেন কুখ্যাত রাজাকারের নাতি। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের পর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি আর যাই হোক আওয়ামী লীগকে কোনোদিনও ছেড়ে কথা বলবে না। পত্র-পত্রিকার খবরের সত্যতা মিলে যখন কোটা সংস্কারের নেতা এ বলে ভিডিওবার্তা প্রচার করে যে, ‘শেখ হাসিনা মনে করে এ দেশটা তার বাপের’। কোটা সংস্কার নেতার কী ভয়ঙ্কর ক্রোধ, আক্রোশ আর বিদ্বেষ শেখ হাসিনা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতি। এদের পূর্বসূরিরা সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরও তাদের ক্রোধের উপশম হয়নি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তানে রূপ দিয়েও এদের আক্রোশ মেটেনি। কেন এমন বিদ্বেষ? কারণ তারা মনে করে শেখ মুজিবুর রহমানের কারণে অনেক সাধের পাকিস্তান ভেঙেছে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে এদের শত্রুতা চিরস্থায়ী।  আর নতুন করে এদের বুকে জ্বালা ধরেছে এ কারণে যে, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর  পরও কেমন করে বিবিসির জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হন? কেন তার বক্তৃতা সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বক্তৃতার একটি হয়ে বিশ্বে ঐতিহ্যের অংশ হয়? কেন তিনি এখনও বাংলা ও বাঙালির প্রাণভোমরা?

একুশ বছর পর মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনঃপ্রবর্তন করে কেন শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বাংলাদেশ নির্মাণে সচেষ্ট হয়েছেন? মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ হয়ে গেলে তো অনেকের রাজনীতি মাঠে মারা যাবে। বাংলার মসনদ তো অনেকের জন্য হারাম হয়ে যাবে। কাজেই শেখ হাসিনাও অপরাধী। আর এ অপরাধের সাজা দিতে তাকে অন্তত ১৯ বার হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছে।

যারা বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করে, তার প্রতি বিদ্বেষপোষণ করে তারা বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। মুক্তিযুদ্ধের আগে, মুক্তিযুদ্ধের সময় ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর নানা রূপে বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে এদের ষড়যন্ত্র ও বিরোধিতা অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে একটি বিশেষ মতাদর্শের অনুসারীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্বের আসনে অবতীর্ণ হওয়া এ ষড়যন্ত্রেরই অংশ। এদের দোসর রয়েছে রাষ্ট্রপরিচালনার নানা পর্যায়ে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ভেক ধরা সংবাদমাধ্যম ও নানা ছলছুতোয় মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করা এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবী ও সুশীলের মাঝেও।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে ছাত্রলীগ যে পথ বেছে নিয়েছে, তা কেবল আত্মঘাতীই নয়, বরং এটি রীতিমতো ফৌজদারি অপরাধ। এটি গুণ্ডামি। বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগের মূলমন্ত্র তো শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি। কেউ আমাকে বোঝাতে পারবেন হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে কোটা আন্দোলনকারীর হাড় ভেঙে দেওয়া, আন্দোলনকারীদের প্রকাশ্য দিবালোকে নির্মমভাবে পেটানো আর সংহতি প্রকাশকারী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের লাঞ্ছনার সঙ্গে শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি কীভাবে সম্পর্ক যুক্ত থাকতে পারে? বাংলাদেশের লাখ লাখ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী যদি হাতে হাত ধরে মানববন্ধন করতো, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারীদের মুখোশ উন্মোচন করে বক্তৃতা-বিবৃতি দিতো, সাংবিধানিকভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অবমাননার বিষয়টি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতো, রাজনৈতিকভাবে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ষড়যন্ত্রীদের প্রতিরোধের ডাক দিতো, সেটি হতো শিক্ষা, শান্তি আর প্রগতির পক্ষে। হাতুড়িওয়ালারা কখনও বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হতে পারে না। শিক্ষা, শান্তি আর প্রগতির পক্ষের লোক হতে পারে না। বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করতে হাতুড়ি তুলে নেননি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর মতদ্বৈততা ছিল, ব্যক্তিগত বৈরিতা ছিল না, শত্রুতা ছিল না। বঙ্গবন্ধু প্রতিপক্ষ দলের লোকদের কেবল সম্মানই করতেন না বরং অপরাধের দায়ে জেলবন্দি প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক নেতার পরিবারকে অর্থ সাহায্য পাঠাতেন। বঙ্গবন্ধুর কট্টর সমালোচক মাওলানা ভাসানীকে বঙ্গবন্ধু নিয়মিত অর্থ সাহায্য ও জিনিসপত্র পাঠাতেন। যে সাংবাদিকরা তাদের লেখায় বঙ্গবন্ধুর চরিত্রহনন করেছেন, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, নীতি-আদর্শের সমালোচনার বাইরেও তার সম্পর্কে কুৎসাপূর্ণ লেখা লিখেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও বঙ্গবন্ধু কোনও প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি। পাকিস্তানি মালিকানার পত্রিকা ‘মর্নিং নিউজ’-এর সম্পাদক এস জি এস বদরুদ্দিন অহর্নিশ বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কুৎসা প্রচার করতেন। আগরতলা মামলার সময় তার ফাঁসি দাবি করেছিলেন এ সাংবাদিক। অথচ স্বাধীনতার পর বদরুদ্দিন-এর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বঙ্গবন্ধু বিহারী হিসেবে পরিত্যক্ত বদরুদ্দিনের বাড়ি বিশেষ ব্যবস্থায় বিক্রির ব্যবস্থা করেন। বিক্রিত অর্থ বিদেশি মুদ্রায় রূপান্তর করে নেপাল হয়ে পাকিস্তান ফেরত যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা যে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তিল তিল করে জনগণের যে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন, ছাত্রলীগের কিছু দুর্বৃত্তের আত্মঘাতী হঠকারিতার কারণে তাতে চিড় ধরবে, আস্থার পারদ নিম্নগামী হবে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কেউ কেউ হয়তো আমার সঙ্গে দ্বি-মতপোষণ করে বলবেন, এরা প্রকৃত ছাত্রলীগ নয়, অনুপ্রবেশকারী। অনুপ্রবেশকারীর কু-কর্মের দায়ও আওয়ামী লীগ ওপরেই বর্তাবে, নাকি? নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস আগে আওয়ামী লীগ কেন এ দায়ভার বহন করতে যাবে? মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ গড়তে হলে, তা কেবল শেখ হাসিনার হাত ধরেই সম্ভব। শেখ হাসিনার প্রতি জন-আস্থার ঘাটতি হলে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ নির্মাণ কেবল পিছিয়েই পড়বে না, ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতিগ্রস্তও হবে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে হামলাকারী হাতুড়িওয়ালা, তার দোসর ও শিক্ষক লাঞ্ছনাকারীদের দ্রুত আইনের কাছে সোপর্দ করা না হলে, সরকার ও আওয়ামী লীগের প্রতি জন-আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বৈকি।

লেখক: অধ্যাপক, আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

SUMMARY

780-2.jpg