গোলাম মোর্তোজা
বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরের সময়কাল, আমাদের জাতীয় জীবনে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এরশাদের সামরিক দমন-পীড়ন শোষণের পর, আবার বড়ভাবে রাজনীতিবিদ গণমাধ্যমকর্মীরা নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হন এই সময়ে। অনেকে সেই সরকারের সঙ্গে সখ্যতাও গড়ে তোলে।
বঙ্গবন্ধুর শাসনকালের গণমাধ্যমের ভূমিকা, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরের গণমাধ্যমের ভূমিকা, সামরিক সরকারগুলোর সময়ের গণমাধ্যমের ভূমিকা, সর্বশেষ সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ের গণমাধ্যমের ভূমিকা, বর্তমান সময়ের গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন আছে, আলোচনা-সমালোচনা আছে। এখন সরকারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে বিশেষ করে সম্পাদক মাহফুজ আনাম ও ডেইলি স্টারকে যেভাবে অভিযুক্ত করা হচ্ছে, তার প্রেক্ষিতে কিছু কথা।
১. বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল অনেক গুণে গুণান্বিত একজন মানুষ ছিলেন। মানুষ হিসেবে অবশ্যই দোষ-ত্রুটির উর্ধ্বে ছিলেন না। তাকে পরিচিত করা হয়েছিল ‘ব্যাংক ডাকাত’ হিসেবে। আমি নিজেও অনুসন্ধান করে দেখেছি, শেখ কামাল ‘ব্যাংক ডাকাত’ ছিলেন না। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সেই সময়ের জাসদের মুখপাত্র ‘গণকণ্ঠ’ শেখ কামালকে ‘ব্যাংক ডাকাত’ হিসেবে পরিচিত করেছিল। অনেকে সেসব কাহিনি বইয়ে লিখেছেন। এখনও অনেকে তা উদ্ধৃত করেন।
২. বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে বাংলাদেশের গণমাধ্যম বিষাদ্গারে মেতে উঠেছিল। বঙ্গবন্ধুর শাসনকালের দুর্বলতা -ব্যর্থতা নিশ্চয়ই ছিল। তা ছাড়িয়ে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে কেন্দ্র করে মিথ্যা কল্পকাহিনী প্রকাশের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। সেই সময়ের পত্রিকার পাতায় তার প্রমাণ রয়ে গেছে।
পরবর্তীতে গণমাধ্যমের নীতি নির্ধারকরা নিজেরাও এসব নিয়ে আত্মবিশ্লেষণ করেননি। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে কিছু প্রশ্ন তোলা হলেও, খুব একটা গুরুত্ব দিতে দেখা যায়নি। পুরো বিষয়টি চাপা পড়ে গেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু পরিবারের অর্থ সম্পদ, ব্যাংক ডাকাতির কল্পকাহিনী দেশের মানুষের একটা বড় অংশ এখনও বিশ্বাস করেন।
৩. বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে দেশের বিশৃঙ্খল অরাজক অবস্থায় গণমাধ্যম সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডকে স্বাগত জানিয়ে যিনি লিখেছেন, তিনি এখনও শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী।
এরশাদের সামরিক শাসনকালে দেশের গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যদিও অনেক সাংবাদিক-সম্পাদক, শিক্ষক, লেখক- কবি এরশাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে সুবিধা নিয়েছেন। তারপরও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হয়ে গিয়েছিল গণমাধ্যম কর্মীরা। হাসিনা-খালেদাকে এক সঙ্গে বসানোসহ আরও অনেক ক্ষেত্রে বড় দায়িত্ব পালন করেছেন কিংবদন্তি সাংবাদিক ফয়েজ আহমদসহ অনেক সাংবাদিক-সম্পাদক।
৪. এখন যখন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গণমাধ্যম, মাহফুজ আনাম, ডেইলি স্টার প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করছি, তখন সেই সময়ের প্রেক্ষাপটটা ভুলে গেছি বা এড়িয়ে যাচ্ছি।
বিএনপি-জামায়াতের ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার পরিকল্পনা, ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচনের চেষ্টা, আওয়ামী লীগের আন্দোলন-চরম নৈরাজ্যকর অবস্থা দেশে। এই অবস্থা থেকে মুক্তির নেপথ্যে ভূমিকা রেখেছিলেন মাহফুজ আনাম, মতিউর রহমানসহ আরও অনেকে । ড. ইউনূসকে, ব্র্যাকের ফজলে হাসান আবেদকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করার চেষ্টা হয়েছে। তারা রাজি হননি। নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ নিয়ে ড. ইউনূস সামনে এসেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে ড. ইউনূসের সম্পর্ক, তাকে ক্ষমতায় আনার চেষ্টা, দুই নেত্রীকে মাইনাস- সবই আলোচনা হয়েছে। এসব অজানা বিষয় নয়। মাহফুজ আনামসহ আরও অনেকে রাজনীতিতে 'সংস্কার ' চেয়েছেন। সংস্কারের পক্ষে কাজ করেছেন। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান 'দুই নেত্রীকে সরে যেতে হবে ' শিরোনামে নিজে লিখেছেন।
সম্পাদক হিসেবে এভাবে রাজনীতি বা ক্ষমতার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যাওয়া যায় না। মাহফুজ আনাম বা মতিউর রহমানের সেই সময়ের ভূমিকা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে ছিল। প্রায় সব সাংবাদিক -সম্পাদকের ভূমিকাও এমনই ছিল।
রাজনৈতিক অরাজকতায় দেশের অধিকাংশ মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে পরিবর্তন বা সংস্কারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। গণমাধ্যমও (শুধু ডেইলি স্টার, প্রথম আলো নয়) এর বাইরে ছিল না।
৫. মাহফুজ আনাম জরুরি অবস্থার তত্ত্বাবধায়ক সরকার এনেছেন, তা কতটা সঠিক? আমার ধারণা এমনটা বললে মাহফুজ আনামকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়ে যায়। ব্যক্তি মাহফুজ আনাম, প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডেইলি স্টার দেশে -বিদেশে অনেক বড় ব্যাপার। কিন্তু জরুরি অবস্থা আনা, সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনার ক্ষমতা মাহফুজ আনামের ছিল না। প্রথম আলো বা মতিউর রহমানের ছিল না। তাদের সহায়তা করার ক্ষমতা ছিল এবং তারা সেটা করেছিলেন। সেই সময় সবাই সেই সহায়তা প্রত্যাশা করেছিলেন।
বিএনপি-জামায়াত সরকারের ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার নীল-নকশা বাস্তবায়নের প্রধান প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের আন্দোলনের কারণেই ২২ জানুয়ারির নির্বাচন বিএনপি করতে পারেনি। আন্দোলনের এক পর্যায়ে ভয়ঙ্কর অরাজকতা থেকে পরিত্রাণের অবলম্বন হিসেবে জরুরি অবস্থা এসেছে এবং তখন এ ছাড়া আর কোনও বিকল্প ছিল না। স্বাভাবিক কারণেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে স্বাগত জানিয়েছিলেন, আন্দোলনের ফসল বলেছিলেন। এখন যদি মাহফুজ আনামকে পুরও কৃতিত্ব দেওয়া হয়, তবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেই সময়ের কথার গুরুত্ব থাকে না।
নেপথ্যে মাহফুজ আনামরা ভূমিকা পালন করেছিলেন, কিন্তু আওয়ামী লীগ আন্দোলন করে প্রেক্ষাপট তৈরি করে না দিলে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনা সম্ভব ছিল না। মাহফুজ আনামরা কোনও অবস্থাতেই তা পারতেন না।
৬. সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুর এই আলোচনার প্রেক্ষিতে কিছু বিষয় সাধারণ জনমানুষের কাছে পরিষ্কার হওয়া দরকার। এবং আর একটু বিস্তৃত পরিসরে এই কাজটি বর্তমান সরকার করতে পারে। একটি কমিশন গঠন করা যেতে পারে। সেই কমিশন যা বিবেচনায় নিতে পারে -
ক. শেখ কামালকে কারা, কী উদ্দেশ্যে ‘ব্যাংক ডাকাত’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল?
খ. ৭৫-এর পর বঙ্গবন্ধু পরিবারের বিরুদ্ধে কারা মিথ্যা কল্পকাহিনী প্রচার করেছিল?
গ. খন্দকার মোশতাক, জিয়াউর রহমানের ক্ষমতার সময়কালে গণমাধ্যমের ভূমিকা কী ছিল? কারা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিল? এই সময়ে রাজনীতিবিদদের ভূমিকা কী ছিল? যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডকে স্বাগত জানিয়েছিল তাদের তখনকার এবং পরবর্তী ভূমিকা কী ছিল?
ঘ. সেনা সমর্থিত বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা কী ছিল? জরুরি অবস্থার সরকার আনার নেপথ্যে কারা ভূমিকা রেখেছিলেন, কতটা রেখেছিলেন?
ঙ. রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীদের কারা ধরে নিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করেছিল? কারা ভয়-ভীতি দেখিয়ে গণমাধ্যমকে সংবাদ প্রকাশে বাধ্য করেছিল? কোন কোন গণমাধ্যমের কোন কোন সাংবাদিক-সম্পাদক নির্যাতিত হয়েছিলেন? কোন কোন সাংবাদিক-সম্পাদক গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত মিটিং করতেন? তাদের ভূমিকা এখন কেমন? সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বুদ্ধিদাতা -সুবিধা নেওয়া সাংবাদিক -সম্পাদকরা এখন যা বলছেন -লিখছেন, তাদের সেই সময়ের বক্তব্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
চ. মহিউদ্দিন খান আলমগীর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। বই লিখেছেন। বিচার চেয়েছিলেন, সংসদে কথা বলেছেন। বিচার বা অনুসন্ধানের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হলো না কেন? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক -শিক্ষার্থীরা নির্যাতিত হয়েছেন। তারাও জানেন কারা তাদের নির্যাতন করেছেন, কারা তাদের পক্ষে কথা বলেছিলেন। সবই জানার ব্যবস্থা করা হোক।
ছ. সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনেকে বিদেশে চলে গেছেন। কেউ পুরস্কার পেয়েছেন, দেশে আছেন। নির্যাতিত রাজনীতিবিদরা বলতে পারবেন, কার নির্দেশে কারা তাদের ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন। কমিশনের সামনে সেই রাজনীতিবিদরা সব কিছু পরিস্কার করে বলতে পারেন। তার থেকে নিশ্চয়ই বেরিয়ে আসবে মাহফুজ আনাম, মতিউর রহমানসহ গণমাধ্যমের কোন সাংবাদিকের কি ভূমিকা ছিল।
৭. সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে কারা সংবাদ সরবরাহ করত, কারা সাংবাদিক-সম্পাদকদের ডেকে নিয়ে অসম্মান করত- কোনও কিছুই তো অজানা নয়। সেনা সদরে জেনারেল মইন-ইউ আহমদের ডাকে সব সম্পাদকই হাজির হয়েছেন। যারা গদগদ হয়ে কথা বলেছেন, ‘আলু’র বিভিন্ন পদের বিশ্বাদ খাবার খেয়েও প্রশংসা করেছেন -সেই সব সাংবাদিক -সম্পাদকদের নাম জানার ব্যবস্থা করা হোক।
দু’তিনটি পত্রিকা ছাড়া আর সবাই ডিজিএফআইয়ের সরবরাহ করা সংবাদ প্রকাশ করেছে। টেলিভিশনে কথা বলেছেন সাংবাদিক-সম্পাদক-শিক্ষক-রাজনীতিবিদরা। কেউ কথা বলে গোয়েন্দা সংস্থার আনুকূল্য পেয়েছেন, কেউ বিপদে পড়েছেন। কারা রাজনীতি-রাজনীতিবিদদের পক্ষে বলেছেন, কারা বিপক্ষে বলেছেন? কারা দুই নেত্রীকে মাইনাস করতে চেয়েছিলেন- তা বের করা কঠিন কিছু নয়। আজকের ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সেদিন কোন ভূমিকা পালন করেছিলেন, কি বলেছিলেন- দেশের মানুষের সবই জানা। 'কিংস পার্টি 'র ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীর আস্ফালন, নতুন ধারার গণতন্ত্রের প্রচারক মঈন ইউ'র পৃষ্টপোষক ড. আতাউরের ভূমিকা পরিস্কার হওয়া দরকার।
আর একটি বিষয়, সূত্র নিশ্চিত না হয়ে, যাচাই না করে সংবাদ প্রকাশ কোন সময় হয়নি? এখন হচ্ছে না? ক্রসফায়ারের সংবাদের সূত্র কী? র্যাব বা পুলিশ যা বলছে, তাই তো ছাপা হচ্ছে। যাচাই করা সম্ভব, বাংলাদেশের বাস্তবতায়? বিএনপি নেতারা আওয়ামী লীগ নেতাদের দুর্নীতিবাজ বলছেন, আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি নেতাদের দুর্নীতিবাজ বলছেন- পত্রিকায় তা ছাপা হচ্ছে, টেলিভিশনে দেখানো হচ্ছে। যাচাই করা হচ্ছে? এই সংবাদ কি গণমাধ্যম প্রকাশ করবে না?
তাহলে কিভাবে অভিযুক্ত হবে গণমাধ্যম? সংবাদ চেপে যাওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হবে না? বর্তমান সময়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আরেকজন বিচারপতির কথোপকথনের যে অডিও কোনও কোনও গণমাধ্যম প্রচার করেছে, তার তথ্যসূত্র কী? যাচাই করা হয়েছে?
দুই নেত্রীর টেলিফোন সংলাপ কিভাবে রেকর্ড এবং প্রচার করা হলো? এসব প্রশ্নের উত্তর কী? কে দেবেন উত্তর? ইতিবাচকভাবে চাইলে মাহফুজ আনাম বিতর্কের মধ্য দিয়ে এসব বিষয়ে একটি সমাধান আসতে পারে। যা আগামী দিনের সাংবাদিকতায় অনুসরণীয় হতে পারে।
৮. এখন মাহফুজ আনামকে কেন্দ্র করে আলোচনা হচ্ছে খণ্ডিত আকারে। যার মাধ্যমে সত্য -অসত্য সবই প্রকাশিত হচ্ছে আংশিক। সত্য প্রকাশের জন্যে একটি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। প্রকৃত রহস্য উম্মোচণ করে সত্য জেনে ব্যবস্থা নিতে চাইলে, সৎ উদ্দেশে শক্তিশালী একটি কমিশন গঠনের বিকল্প নেই । যার মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারে ওয়ান ইলেভেনের সময়ের তো বটেই, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আগে-পরের গণমাধ্যম, সাংবাদিক -সম্পাদক এবং রাজনীতিবিদদের ভূমিকা। দেশের মানুষ পরিষ্কারভাবে জানতে পারবে কে কি করেছিলেন?
৯. রাষ্ট্রের দায়িত্ব অপরাধের বিচার করা, সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করা, কাউকে হয়রানি করা নয়। বর্তমান পদ্ধতির কথা এবং মামলায় মানুষ ‘হয়রানি’ দেখছেন, বিচারের উদ্যোগ দেখছেন না।
লেখক: সম্পাদক, সাপ্তাহিক