বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি। ১৯৭১ সালে তার ডাকেই পুরো জাতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তিযুদ্ধে। তার কারিশম্যাটিক নেতৃত্বের কারণে ৯ মাসের তুমুল লড়াইয়ের পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে হারিয়ে বাঙালি জাতি স্বাধীন ভূখণ্ডের মালিক হয়। মুক্তিযুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছিল। বিশেষ করে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে ওই সময় তিনি ‘আইকন’ হয়ে উঠেন। ভারতের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে খ্যাতিমানদের কাছেও সমাদৃত ছিলেন এই নেতা। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে খ্যাতিমান ভারতীয়দের দুষ্প্রাপ্য ছবি প্রকাশ করে এসব কথাই লিখেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
খবরে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী সমাদৃত এই নেতা জ্বালাময়ী ভাষণ আর আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের কারণে ভারতের মানুষের কাছে তারকা হয়ে উঠেছিলেন। ব্যক্তিত্বের কারণে তৎকালীন ভারতীয় নেতৃবৃন্দের কাছেও শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অনেক আস্থাভাজন। এছাড়া, ভারতের বিভিন্ন গুণীজন ও বিখ্যাত ব্যক্তিদের সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠতা ছিল।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তাঁর কিছু ছবি তাদের আর্কাইভে সংরক্ষণ করে। এসব ছবিতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ভারতের অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিদের দেখা যায়। এবছর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এসব দুষ্প্রাপ্য ছবি প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যমটি।
১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ঢাকায় পৌঁছানোর পর নিজের মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে তাকে পরিচয় করিয়ে দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭৪ সালের ৬ জুন ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দরে ভারতের প্রেসিডেন্ট ভিভি গিরিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদউল্লাহ, প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান, কূটনীতিকসহ অনেকে।
১৯৭৪ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াইবি চৌহানের সঙ্গে আলাপরত বঙ্গবন্ধু।
একই বছরের ১৪ মে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাগত জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট ভিভি গিরি।
শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ভারতীয় সংগীত শিল্পী মাহেন্দ্র কাপুর (বাম থেকে দ্বিতীয়) ও চিত্র নায়িকা হেমা মালিনী (একেবারে ডানে)।
শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ছবি ধরে আছেন অভিনেতা ও চিত্র নির্মাতা সুনীল দত্ত।
সংগীত শিল্পী শ্যামল মিত্র, সত্যজিৎ রায় ও শেখ মুজিবুর রহমান