আমাকে হাসু আপার কাছে পাঠিয়ে দিন


১৫ ই আগষ্টের সেই ভয়াল দিনে নরপশুদের হিংস্র থাবা থেকে বাঁচতে পারেনি বঙ্গবন্ধু পরিবারের কেউ। এমনকি ছোট্র রাসেলকে পর্যন্ত ছাড়েনি তারা। করিডোরে রক্ত, লাশ এসব দিখে শুধু চিৎকার করছিলো রাসেল। বাবা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে কর্মচারীর কোলে প্রাণের সন্ধানে ঝাপিয়ে পড়েছিল। পালাতে চেয়েছে। কিন্তু রক্তাক্ত করিডোর আর নরপশুদের থাবা তাকেও ছাড়েনি। ভীত ও কাতর কণ্ঠে শিশুটি বলেছে,আমি মায়ের কাছে যাব। মায়ের লাশ দেখার পর অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে মিনতি করেছিল শিশুটি আমাকে হাসু আপার কাছে পাঠিয়ে দিন। কিন্তু যারা জাতির পিতার হত্যাকারী, তাদের হৃদয়ে কি সন্তানের মায়া জাগে? তাই তো পরিবারারের আর সবার মতো মৃত্যুই পরিণতি হয়েছ��� শিশু রাসেলের ভাগ্যেও। মায়ের কাছে যাবার মিনতি করলেও ‘মা বেঁচে নেই’! কি অসম্ভব যন্ত্রণা! মায়ের লাশ দেখে বড় বোনের কাছে যাবার মিনতি করেছিল। মিনতি করেছিল একটু বেঁচে থাকার। কিন্তু নিষ্ঠুর, নরাধম ও ইতিহাসের পশুরা বাঁচতে দেয়নি শিশুটিকে। বুলেটের আঘাতে বুক চিড়েছে তারও! ক্ষতি-বিক্ষত করেছে বাংলাদেশের স্বপ্নের সঙ্গে তাকেও। কি অপরাধ ছিল এই শিশুটির? নির্মমতার চরম পর্যায়ে সেদিন খুন হতে হয়েছিল তাকেও। বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের কথাই বলছি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে পিতা বঙ্গবন্ধু এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শহীদ হন রাসেল। সে সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর।

SUMMARY

643-1.jpg