বিশ্বের খ্যাতিমান ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যা বলেছেন


বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতীয়তাকে তিনি বিশ্ব দরবারে উচু করে তুলে ধরেছিলেন। এজন্য বিশ্বের বিভিন্ন খ্যাতিমান ব্যক্তি ও মিডিয়া তার সম্পর্কে স্মরণীয় নানা মন্তব্য করেছেন।

 জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৫তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৭ই মার্চ, ১৯২০ সালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ লুৎফুর রহমান এবং সায়রা বেগমের ঘরে জন্ম নেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অল্পবয়স থেকেই তাঁর রাজনৈতিক প্রতিভার প্রকাশ ঘটতে থাকে। ১৯৪০ সালে তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগের ছাত্র সংগঠন নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগ দেন। ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বরে সাধারণ নির্বাচনে শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ প্রাদেশিক আইনসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। আওয়ামী লীগ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসন এবং প্রাদেশিক পরিষদের ৩১০টি আসনের মধ্যে ৩০৫টি আসন লাভ করে। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী মুজিবের স্বায়ত্বশাসনের নীতির পুরোপুরি বিপক্ষে ছিলো। আওয়ামী লীগের সরকার গঠন ঠেকাতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সংসদের অধিবেশন ডাকা নিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। শেখ মুজিব তখনই বুঝে যান যে, পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে লড়াইয়ের কোনো বিকল্প নেই। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে এক ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে উত্তাল হয়ে ওঠে সারা বাংলা। বিবিসি’র এক জরীপে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতীয়তাকে তিনি বিশ্ব দরবারে উচু করে তুলে ধরেছিলেন। এজন্য বিশ্বের বিভিন্ন খ্যাতিমান ব্যক্তি ও মিডিয়া তার সম্পর্কে স্মরণীয় নানা মন্তব্য করেছেন। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো:
ফিদেল ক্যাস্ট্রো বলেছেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি, বঙ্গবন্ধূকে দেখেছি। তাঁর ব্যক্তিত্ব ও নির্ভীকতা হিমালয়ের মতো। এভাবেই তার মাধ্যমে আমি হিমালয়কে দেখেছি।’
প্রভাবশালী ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের মতে,‘শেখ মুজিব ছিলেন এক বিস্ময়কর ব্যক্তিত্ব।’
ফিনান্সিয়াল টাইমস বলেছে, ‘মুজিব না থাকলে বাংলাদেশ কখনই জন্ম নিত না।’
ভারতীয় বেতার ‘আকাশ বানী’ ১৯৭৫ সালের ১৬আগস্ট তাদের সংবাদ পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে বলে,‘যিশু মারা গেছেন। এখন লক্ষ লক্ষ লোক ক্রস ধারণ করে তাকে স্মরণ করছে। মূলত একদিন মুজিবই হবেন যিশুর মতো।’
বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর দিনে লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ লোক শেখ মুজিবের জঘন্য হত্যাকাণ্ডকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করবে।’
নিউজউইকে বঙ্গবন্ধুকে আখ্যা দেওয়া হয়,‘পয়েট অফপলিটিক্স বলে’।
বৃটিশ লর্ড ফেন্যার ব্রোকওয়ে বলেছিলেন, ‘শেখ মুজিব জর্জ ওয়াশিংটন, গান্ধী এবং দ্যা ভ্যালেরার থেকেও মহান নেতা’।
জাপানি মুক্তি ফুকিউরা আজও বাঙালি দেখলে বলে বেড়ান, ‘তুমি বাংলার লোক? আমি কিন্তু তোমাদের জয় বাংলা দেখেছি। শেখ মুজিব দেখেছি। জানো এশিয়ায় তোমাদের শেখ মুজিবের মতো সিংহ হৃদয়বান নেতার জন্ম হবে না বহুকাল।’

SUMMARY

634-1.jpeg