৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ নিয়ে বঙ্গবন্ধু বেশ সতর্ক ছিলেন বলে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘এ ভাষণের মাধ্যমে তিনি নিরস্ত্র বাঙালিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে তোলেন। একইভাবে তাকে যাতে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের নেতা হিসেবে অভিহিত করতে না পারে এ ব্যাপারেও তিনি বেশ সতর্ক ছিলেন।’
............. সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর তোফায়েল আহমেদ আপ্লুতকণ্ঠে বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণের পর আমরা ধরে নিয়েছিলাম— এ ভাষণ একসময় বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণের মর্যাদা লাভ করবে। নিজের জীবদ্দশায় এটা দেখে যেতে পারছি। বেশ ভালো লাগছে। এ ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু অধিকার বঞ্চিত একটি জাতিকে মুক্তির মোহনায় দাঁড় করিয়েছেন।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু ৪ হাজার ৬৮২ দিন কারাভোগ করেছেন। ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মুক্তি সংগ্রামে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। ২৬ মার্চের আগে পর্যন্ত দেশের মানুষ জিয়ার নামও শুনেনি। বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন- এ নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে কোনো দ্বিমত নেই।’
৭ মার্চের ভাষণের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘‘বেলা সোয়া ৩টায় বঙ্গবন্ধু মঞ্চে উঠেন। প্রথমে তিনি পাকিস্তানের প্রতি চারটি শর্ত দিয়ে বলেন, ‘ইয়াহিয়া সাহেব আসুন, দেখুন। আপনার বাহিনী আমার নিরীহ বাঙালিদের কীভাবে হত্যা করছে।’ এ আহ্বান জানিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি পাকিস্তান ভাঙতে চাননি। পরক্ষণেই তিনি সবাইকে যার যা কিছু আছে তা নিয়ে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে তোলেন। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘এ বারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ মূলত এটাই হলো স্বাধীনতার ঘোষণা। ‘
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হৃদয়ের গভীর থেকে বাঙালিদের অনুভব করতেন। তিনি যখনই বক্তৃতা দিতেন, ‘ভাইয়েরা আমার’ বলে সম্বোধন করতেন।’’