যেভাবে বঙ্গবন্ধুর দর্শন সারা বিশ্বের জন্য অনুকরণীয় করা যায়

ডা. এম এ হাসান 
২০০৩ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে তার নিজ অফিস ও গৃহে ডেকে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত আমার যে কর্মকা- রয়েছে সে সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছিলেন। একই সঙ্গে তার কাছে যে সমস্ত দলিল-দস্তাবেজ রয়েছে তা নিয়ে আমাকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু তখন আমি অন্য একটি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় কাজটি করতে পারিনি। আওয়ামী লীগের আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন বলে আমি অত্যন্ত সম্মানিত, আনন্দ ও গৌরব বোধ করেছি। আমি মনে করি, যেভাবে কাজ করলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, দর্শন একটি ক্লাসিক্যাল দর্শনে পরিণত করা যায় সে কাজটি বাংলাদেশে আজও হয়নি। এটি বাস্তবায়ন করতে হলে যারা প্রফেশনাল তাদের নিয়ে করতে হবে। আমাকে যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আবারও বলেন যে, ওই কাজটি করতে হবে আমি নিশ্চয়ই সেটি করব।
‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’-ই যথেষ্ট নয় সারা বিশ্বকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানানোর জন্য। তাকে নিয়ে যতটুকু কাজ হয়েছে তা শুরু মাত্র। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক বেশি গবেষণা হতে পারে। ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর বিশ্বস্বীকৃতি সামনে রেখে তা এগিয়ে নেওয়া যেতে পারে। বঙ্গবন্ধুর দর্শন একটি ক্লাসিক্যাল দর্শন হিসেবে প্রচার করার জন্য, সারা বিশ্বের অনুকরণীয় দর্শন হিসেবে পাঠ্য করার জন্য যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া উচিত। তা বাস্তবায়নে যে ধরনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত তা এখনো হয়নি। তা বাস্তব করতে হলে তার ইংরেজি অনুবাদসহ যা যা করতে হবে তা হলো একটি টিম গঠন করতে হবে। ওই টিম বিচার-বিবেচনা করবে কীভাবে কাজটি করলে অ্যাকাডেমিক হবে। কীভাবে কাজ করলে সারা বিশ্বে তা গ্রহণযোগ্যতা পাবে। আমার মতে, সেটি সম্ভবও। 

পরিচিতি : মুক্তিযুদ্ধ গবেষক

SUMMARY

545-2.jpg