‘বিজয় বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অসম্পূর্ণ ছিল’


বায়েজিদ হাসান 
২৬শে মার্চ আমাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। বিজয় অর্জন হয় ১৬ ডিসেম্বরে। কিন্তু প্রকৃত নায়ক বঙ্গবন্ধু তার অনুপস্থিতিতে দুটোই মনে হচ্ছিল অসম্পূর্ণ। ১০ জানুয়ারিতে যখন বঙ্গবন্ধু ফিরে আসলেন আমাদের সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশে তখন সমস্ত দেশে উচ্ছ্বাস-আনন্দের জোয়ার বয়ে গেল। একটা আনন্দের বন্যা বয়ে গেলো। আত্মপ্রত্যয় এবং বিশ্বাস আরও দৃঢ় হলো। একসঙ্গে স্বাধীনতা এবং মুক্তির সবটাই পূর্ণতা পেল। বঙ্গবন্ধু ফিরে আসার মাঝে অনেক দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল, শঙ্কা-ভয় ছিল ভীতি ছিল। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী এই সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের নায়ক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতার অনুপস্থিতিতে এই দেশ কত দূর যাবে? কী করে যাবে, সংশয় ছিল। এত প্রাণদান এত বলিদান তিন লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম হারানো। সবই ভারাক্রান্ত করেছিল। বঙ্গবন্ধু ফিরে আসার মাঝে যেন সবটাই ফিরে পেলাম আমরা। আবার নতুন উদ্যমে যাত্রা শুরু হলো। এদিনটি আমাদের জাতির ইতিহাসে বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, তারপরই এই বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। একই সূত্রে গাঁথা। একই সমপর্যায় মূল্যায়িত হওয়ার কথা।
 
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির মাঝে যে পার্থক্যটা ছিল, সেটা উত্তরণের জন্য বঙ্গবন্ধু অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সাড়ে তিন বছরের মাথায় নৃশংসভাবে তাকে হত্যা করার পর আমরা আবার বিভ্রান্ত হই। সেই বঙ্গবন্ধু নেই তার দেশ আছে। তারপরও চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ৪৬ বছরে আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি। কিন্তু মাঝে মাঝে মূল্যবোধের সংশয় আমাদের বিভ্রান্ত করে। হতাশ করে। নৈতিকতা, বিভ্রান্ত এবং বেস্টানÑ এই তিনটা পাশাপাশি আছে। বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে যদি আমরা শিক্ষা নিয়ে থাকি, তাহলে আমাদের যে উন্নত মানসিকতার দৃষ্টিভঙ্গি, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ এবং সমমাত্রিক আবার সমমাত্রিক সাম্যবাদ তো আর নেই। সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ার যে প্রতিশ্রুতি আমাদের ছিল, সেটা অর্জন করতে আমরা এখনো সক্ষম হইনি। তবে জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। আরও অনেক দূর যেতে হবে। তারপরই শহীদদের স্বপ্ন পুরোপুরি বাস্তবায়িত হবে। 

SUMMARY

539-1.jpg