হ্যাপী আক্তার :
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের কালজয়ী ভাষণ দেওয়ার জায়গাটিসহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক সাতটি স্থান সংরক্ষণের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। এ জন্য একটি প্রকল্পও চুড়ান্ত হয়েছে। কাজে শেষ হবে ২০১৯ সালের জুন মাসে।
রেসকোর্স ময়দানে দাঁড়িয়ে ঐতিহাসিক ভাষণ বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী ৭ মার্চে ভাষণ দিয়ে ছিলেন। একাত্তরের সেই ময়দানটি এখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
বঙ্গবন্ধুর ভাষণের স্থানটিসহ এ উদ্যানে রয়েছে ঐতিহাসিক সাতটি জায়গা। ঐতিহাসিক স্থানগুলো চিহ্নিত না হওয়ায়, ২০০৯ সালের পঁচিশে জুন উচ্চআদালতে রিট করেন মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার কে এম সফিউল্লাহ ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। ওই বছরের ৮ই জুলাই রায় আসে ঐতিহাসিক স্থানসমূহ চিহ্নিত ও সংরক্ষণের জন্য। গত ৮ বছরে উপেক্ষিত ছিলো উচ্চ আদালতের রায়ও।
বিট আবেদকারী অধ্যাপক মুনতাসীর বলেছেন, বিচারপতি যে রায় দিয়ে ছিলেন, যেখানে স্মৃতি চিহ্ন সংরক্ষিত থাকবে। সেখানে শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতি ও রাষ্ট্রনায়ক যারা আছেন তারা সেখানে গিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিভিন্ন সময়ে জনসভাসহ সব কিছু হচ্ছে। এই বিষয়ে সরকারের ভাবা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
এমন প্রেক্ষাপটে ২০১৮ সালের ৯ই জানুয়ারি ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ’ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায় সম্প্রসারণের অনুমোদন হয় একনেক সভায়। ২৬৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকার এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং গণপূর্ত অধিদপ্তর।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, যেখানে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু ভাষণ দিয়ে ছিলেন সেটা চিহ্নিত করা হয়েছে। চিহ্নিত জায়গা অনুযায়ী স্তম্ভ নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের কাছে ওঠে আসবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। সূত্র : ডিবিসি নিউজ