বঙ্গবন্ধুর জন্মক্ষণ বাংলার মুক্তির লগ্ন


অপু উকিল 
যে কথা সবাই জানে, সে কথা আমিও জানি। তবে সকলে বলে বলেই বলছি না, সকলে মানে বলেই মানছি না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী একজন সৈনিক বলেও বলছি না। যে কথা মনের গভীরে ধারণ করি, লালন করি, পালন করি একথাই সেকথা- যে কথা আমার বিশ্বাসে মিশে থেকে আতœশক্তিকে করেছে বলীয়ান। আমার সেই বলের জায়গা থেকেই বঙ্গবন্ধুর ৯৯ তম জন্মদিনে ক্ষণজন্মা সর্বত্যাগী পিতাকে স্মরণ করে সর্বজন বিশ্বাসী সেকথা মনের গহীন থেকে টেনে বের করে এনে বলছি- স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, হাজার বছরের শেষ্ঠ বাঙ্গলি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম না হলে আমরা বাংলাদেশ পেতাম না। এটাই ধ্রুব সত্য।

বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু আর বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর এই বাংলায় জন্ম না হলে, স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন অধরাই থেকে যেতে। শোষণ আর বঞ্ছনায় আরো কতো যুগ কেটে যেতো, সে হিসাব কে রাখে? জাদুকরি পিতার আলোর ছটায় সময়ের অতলে মিলিয়ে গেছে সব। এই কালজয়ী পুরুষের জন্ম হয়েছিল এই দেশটাকে স্বাধীন করতে, এই দেশের নিপীড়িত নির্যাতিত অসহায় মানুষকে সীমাহীন দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্ত করে আপন জীবন দান করতে। বঙ্গবন্ধু জন্ম নিয়েছিলেন আলোকবর্তিকা হয়ে।
মহান এই নেতার আদর্শ লালন করে আছি। তবে তাকে স্মরণ করে সঠিক উপমা প্রয়োগ করে দ’ুকথা লেখার উপযুক্ত শব্দ কোন অভিধানে আছে বলে আমার জানা নেই।
 
তারপরেও আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে দৃঢ় চিত্তে স্বরণ করে বলছি, বাংলাদেশের অপর নাম বঙ্গবন্ধু, মুদ্রার এক পিঠ যদি হয় স্বাধীনতা, তাহলে সেই একই মুদ্রার অপর পিঠ মহান নেতা শেখ মুজিব। বঙ্গবন্ধু তার পূর্ণ জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য, স্বাধীনতার জন্য। জীবনের উচ্ছাস দিনগুলো থেকে দীর্ঘ ২৩ বছর কারাগারে বন্দি অবস্থায় কাটিয়েছেন। কোনো জেল জুলুমই তাকে মানুষের মুক্তির লক্ষ্য থেকে ফেরাতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানের কারাগারে কবরের পাশে দাড়িয়েও তিনি আপস করেননি। স্বাধীনতাই ছিল তার একটি মাত্র লক্ষ্য। তাই আবারো বলছি, বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু। যতদিন বাংলাদেশ এবং বাঙ্গালি রবে, ততদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান মানুষের প্রাণে সদা জাগ্রত রবে।

পরিচিতি : সাবেক সংসদ সদস্য

SUMMARY

512-1.jpg