বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা


এস. এম. কামাল হোসেন 
১৫  আগস্ট বাঙ্গালী জাতির এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের জন্য একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালী এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের স্থপতি ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা। স্বাধীনতা বিরোধীরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সহ তার পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে  হত্যা করেছে। এটি বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে হত্যা করা হয়নি বরং গোটা বাঙ্গালী  জাতিকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় ডাক ছিলো বাংলাদেশর অর্থনৈতিক মুক্তির ডাক। উনাকে হত্যার মূল উদ্দেশ্য অর্থনৈতিক মুক্তির কর্মসূচিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে নেওয়া।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে হত্যাকারিরা বাংলাদেশকে পুনরায় পাকিস্তানে রূপান্তরিত করে। রাজাকার, আলবদর এবং স্বাধীনতা বিরোধিরাই মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানের পাক হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা করেছিলো এবং তারা আমাদের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি। এই স্বাধীনতা বিরোধীরাই বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আজ বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দেশে পরিণত হতো। স্বাধীনতা বিরোধীরা উনাকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার এবং মানুষের মৌলিক অধিকার সহ গণতান্ত্রিক অধিকারও কেড়ে নিয়েছে । আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাঙ্গালী অন্ধকার যুগে ডুবে গিয়েছিলো।
 
বাঙ্গালী জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই অন্ধকার যুগ থেকে বাংলাদেশের মানুষদের আলোর দিকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন। এবং বঙ্গবন্ধুর স্বাপ্নগুলোক বস্তাবে রূপ দিচ্ছেন। বর্তমানে আমাদেরকে বিশ্বের দরবারে একটি মর্যাদাপূর্ণ স্থানে দাঁড় করিয়েছেন। এবং স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত করেছেন। যারা দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে, এরাই বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নেয়নি। এরা এমন ষড়যন্ত্র পূর্বেও করেছিলো, ভবিষ্যতেও করবে। এবং তারা যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন তাদের কোন ষড়যন্ত্রই সফল হবে না। তাদের ষড়যন্ত্রকে রুখে দেওয়ার জন্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার সাথে থেকে নৌকায় ভোট দিতে হবে।

পরিচিতি: কার্যনির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

SUMMARY

480-1.jpg