বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা দপ্তরগুলো অনুসরণ করেছে বেশি

শামসুজ্জামান খান  
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে তৎকালীন পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার গোপন নথিগুলো বই আকারে প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

এ প্রসঙ্গে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেছেন, আমরা বঙ্গবন্ধুকে যতটা জানতাম এখন দেখতে পাচ্ছি তার থেকে অনেক বেশি বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা দপ্তরগুলো অনুসরণ করেছে। বিবিসি বাংলাকে তিনি জানান, ‘সিক্রেট ডকুমেন্ট অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’নামক বইটিতে ১৯৪৮ থেকে ১৯৫০ এই দুই বছরের বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক কর্মকান্ড উঠে এসেছে।মহাপরিচালক বলেন, কোথায় তিনি বক্তৃতা দিয়েছেন কি বিষয়ে বলেছেন, তার সাথে কারা-কারা ছিল তা এত বিস্তৃতভাবে আমাদের জানার সুযোগ হয়নি, তবে গোয়েন্দাদের রিপোর্টগুলো দেবার পরে আমরা বঙ্গবন্ধুকে আরোবেশী ভালভাবে জানতে পারব।

শামসুজ্জামান বলেন, এর আগে বঙ্গবন্ধু দুটি বই লিখেছেন,তার কথা তিনি তার মত বলেছেন এখানে গোয়েন্দাদের রিপোর্টে এত বেশি কিছু পাওয়া যাচ্ছে যা হয়ত, বঙ্গবন্ধু তার লেখার ভিতর আনতে পারেন নি।কোথায় কোন স্কুলের ময়দানে কত জন উপস্থিত ছিল,বঙ্গবন্ধু কি বলেছেন,দেখা গেছে ছাত্র নেতাই হোক বা রাজনৈতিক নেতাই হোক তার থেকে বেশি আলোকপাত ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের উপর।দুর্ভিক্ষে মানুষের কাপড় নেই ,খাবার নেই এই সব বিষয় গুলি গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে বলে জানান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক।মহাপরিচালক আরো বলেন,কারা কি ধরনের ভুমিকা পালন করেছে,শেখ সাহেবের ভুমিকা কেমন ছিল,কোথায় কোথায় বঙ্গবন্ধু গিয়েছেন কি ধরনের কষ্ট করেছেন, বিস্তুৃতভাবে এই বইয়ের মধ্য আছে।শামসুজ্জামান জানান,সরকারি দফতর থেকে বইগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।আমাদের সরকারি কর্মকর্তারা এগুলো রক্ষা যে করেছেন তার ফলে বাংলাদেশের ইতিহাস,বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস এবং পূর্ব বাংলার মানুষের নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের দুঃখ দুর্দশার একটি ভয়াবহ চিত্র ছিল তা এ বইতে উঠে এসেছে।

উল্লেখ্য, অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা নামক বঙ্গবন্ধুর দুটি বই প্রকাশিত হয়।

SUMMARY

460-1.jpg