‘বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ’


ইসমাঈল হুসাইন ইমু 
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির সন্তান মুক্তিযুদ্ধকালিন কমান্ডার মো. সাখাওয়াত হোসেন শওকত বলেছেন, আজকের যে ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি, তার স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

একটি উন্নত ও স্বাবলম্বী জাতি গঠনের জন্য তার ছিল সুদৃঢ় প্রত্যয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর এক আধুনিক, স্বনির্ভর জাতি গড়ে তোলার যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন, তা আর কেউ দেখতে সক্ষম হয়নি। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হতো না।
 
গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়ায় বেড়ে উঠা সাধারণ ঘরের এই মানুষটির কর্মস্পৃহা, দৃঢ়তা ও মানুষকে ভালোবাসার কারণে ধীরে ধীরে অসাধারণ মানুষে পরিণত হয়েছেন। তিনিই আমাদের জাতির পিতা মহান ব্যক্তিত্ব হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমাদের সময় ডটকমের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা ছড়িয়ে দিতে হবে। তাতে করে শিশুরা বিকশিত হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার যে উদ্যোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে তা বাস্তবায়িত হবে।

শওকত বলেন, পাকিস্তানি কুচক্রী একটি গোষ্ঠীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এদেশীয় কিছু বিপদগামী সেনা সদস্য বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। সেদিন ভাগ্যগুণে বেচে যান আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা সম্ভব হলেও তার আদর্শকে হত্যা করা সম্ভব হয়নি। বাংলার মানুষ মনে করে বাংলাদেশ মানেই তো বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ পূরণের জন্য সবাইকে সঙ্গী করে একযোগে কাজ করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ আজ আর তলা বিহীন ঝুড়ি নয়। একটি উন্নত দেশ। একারণে উন্নত দেশগুলোও বাংলাদেশের মাঝে আশার আলো দেখতে পেয়েছেন।

১৯৬৮ সালে রাজবাড়ি সরকারী কলেজ থেকে গ্রাজুয়েট টগবগে যুবক মো. সাখাওয়াত হোসেন শওকত সে সময় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে শ্লোগানে শ্লোগানে মাঠ কাপিয়ে দিতেন। শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়ণ গণমানুষের কাছে তুলে ধরতে এবং উদ্বুদ্ধ করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। প্রতিষ্ঠা করেছেন বাংলাদেশ অনলাইন জাতিরজনক পরিষদ।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সাখাওয়াত হোসেন শওকত আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ মহাকাশ শাসন করছে। বিশ্বের ৫৭তম জাতি হিসাবে মহাশূন্যে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে বাংলাদেশ। এতে করে দেশের ইন্টারনেট সেবা, ডাইরেক্ট-টু-হোম (ডিটিএইচ) ডিশ সেবাসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে অবদান রাখবে এই স্যাটেলাইট। অথচ বিদেশি স্যাটেলাইট ভাড়া করে আমাদেরকে বছরে প্রায় ১৪ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হতো। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় সম্ভব করেছে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে আধুনিক প্রযুক্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বর্তমানে ইন্টারনেট অব থিংসের (আইওটি) ফলে বিশ্ব প্রবেশ করতে চলেছে নতুন এক বৈপ্লবিক যুগে। যার নাম দেওয়া হয়েছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্মের কাছে বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ণ অবয়বে উদ্ভাসিত হচ্ছেন। তাদের সামনে জাতির সঠিক ইতিহাসই তুলে ধরবে জাতিরজনক পরিষদ। যা থেকে অনুপ্রেরণার খুঁজে পাবে আজকের যুব সমাজ। শওকত বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মহত্তম অর্জন এবং সেই অর্জনের প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্বার্থন্বেষী মহল বিভ্রান্ত ছড়ানোর করার সুযোগ নেই। সুযোগ নেই গুজব ছড়িয়ে ফায়দা হাসিলের।

কারণ ইতিহাস তার আপন গতিতে সঠিক পথে এগিয়ে চলেছে। মুক্তিযুদ্ধ ও তার মূল প্রেরণার উৎস বঙ্গবন্ধু ধীরে ধীরে স্বমহিমায় অধিষ্ঠিত হতে দেখে আমাদের নতুন প্রজন্ম এখন অনেকটাই আশার দেখতে পাচ্ছে। এব্যাপারে জাতিরজনক পরিষদ দেশব্যাপী প্রচার চালাবে।

SUMMARY

459-1.jpg