বঙ্গবন্ধু থেকে জননেত্রী


মহিবুল ইজদানী খান ডাবলু
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখে হাতে পেয়েছিলেন ছাড়খার যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি বাংলাদেশ। সবকিছুই হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী লুটে নিয়েছিল। যা নিতে পারেনি তাকে তারা ধ্বংস করেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পুরো নয়মাস আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানকে আধুনিক সামরিক অস্ত্র দিয়ে বাঙালি হত্যায় সাহায্য করে। সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা ও তার বন্ধু রাষ্ট্রগুলো এইসময় পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। ইসলামী বিশ্ব পাকিস্তানের অপপ্রচারের শিকার হয়ে বাংলাদেশের পক্ষে তাদের সমর্থন উঠিয়ে নেয়। তারপরও যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে তারা রুখতে পারেনি তখন মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে পাকিস্তানের অখ-তা রক্ষার্থে আমেরিকা বঙ্গোপসাগর অভিমুখে সপ্তম নৌবহর প্রেরণ করে। এইসময় ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের হুমকির মুখে মাঝপথে এসে সপ্তম নৌবহরকে থেমে যেতে হয়। আমেরিকা তাদের এই পরাজয় কখনই সহজভাবে মেনে নেয়নি। তাই স্বাধীন বাংলাদেশে শুরু করে আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র। এমনি এক পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে স্বাধীন বাংলাদেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে হয়েছিল।

সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে মুদ্রা চালু করা নিয়ে প্রথমেই দেখা দিল সমস্যা। নতুন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ব্যাংকে নেই কোনো অর্থ, নেই কোনো গোল্ড রিজার্ভ। নতুন করে টাকা ছাপানোর জন্য যে গোল্ডের প্রয়োজন বাংলাদেশ ব্যাংকে না থাকাতে সুইজারল্যান্ড সহ কয়েকটি রাষ্ট্র বাংলাদেশের টাকা ছাপাতে আপত্তি করে। দেশে তখনও চলছে পাকিস্তানি মুদ্রা। বঙ্গবন্ধু তখন এমনি এক অসহায় অবস্থার মধ্যে ভারতের সাহায্যে বাংলাদেশী মুদ্রা চালু করতে বাধ্য হন। এভাবেই শুরু হয় স্বাধীন বাংলাদেশে বাংলাদেশী মুদ্রার প্রচলন।
 
অন্যদিকে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের সবকটি বিমান পাকিস্তানিরা বাংলাদেশ (পূর্ব পাকিস্থান) থেকে পাকিস্তানে নিয়ে যায়। বাংলাদেশে বিমান চালু করার মতো সরকারের কাছে কোনো প্লেন ছিল না। ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী প্রবাসী বাঙালিদের বাংলাদেশে যাতায়াতের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ব্রিটিশ এয়ার লাইন্স থেকে বিমান ভাড়া করে প্রথম চালু করেন বাংলাদেশ বিমান। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশকে এভাবেই শূন্য থেকে শুরু করতে হয়েছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে লুটে নেয়া সম্পদ পাকিস্তানিরা ফেরত দেয়নি। শুধু তাই নয় এ নিয়ে কোনো আলোচনায় বসতেও তারা রাজি নয়।

নানা ধরনের বাঁধার মধ্যে দিয়ে হলেও বঙ্গবন্ধুর সরকার শূন্য থেকে দেশ গড়ার সংগ্রাম শুরু করে। মাত্র দুই বছরের মাথায় ১৯৭৪ দেশে ভয়াবহ বন্যা আঘাত হানে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য সারা বিশ্বে সাহায্যের আবেদন করেন। এই সুযোগ কাজে লাগাতে পিছপা হয়নি আমেরিকা। পি এল ৫৪’এর মাধ্যমে আমেরিকা থেকে নিয়ে আসা চাল ভর্তি জাহাজকে বঙ্গোপসাগরে আটকে রাখা হয়। ফলে খাদ্যের অভাবে মানুষ প্রাণ হারায়। এই সময় ভারতসহ সমাজতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে সাহায্য না আসলে এই দুর্ভিক্ষের কারণে আরো অনেক লোকের প্রাণ যাওয়ার সম্ভাবনা ছিলো। বঙ্গবন্ধুর পাহাড়সম জনপ্রিয়তাকে নিচে নামানোর লক্ষ্যেই সাম্রাজ্যবাদের দালালরা এধরনের অবস্থার সৃষ্টি করে। অন্যদিকে যেহেতু বঙ্গবন্ধু সমাজতান্ত্রিক বিশ্বের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন সে কারণে আমেরিকা তার উপর প্রচ-ভাবে ক্ষেপেছিল এবং একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। বঙ্গবন্ধুকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে কীভাবে ক্ষমতা থেকে সরানো যায় তা নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা করতে থাকে তারা।

সর্বশেষ সমস্যা পাকিস্তানি মনোভাবাপন্ন বাঙালি আমলারা। এদের নিয়ে প্রশাসন চালানো একটা বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। মুজিব নগর সরকারের প্রশাসনকে এসকল পাকিস্তানি মনোভাবাপন্ন বাঙালি কর্মকর্তারা কিছুতেই গ্রহণ করতে পারছিলেন না। ফলে মুক্তিযোদ্ধা অফিসার ও পাকিস্তানি বাঙালি অফিসারদের মধ্যে শুরু হয় দ্বন্দ । একইভাবে দ্বন্দ শুরু হয় সেনা অফিসারদের মধ্যে। জুনিয়র অফিসারদের (মুক্তিযোদ্ধা) প্রমোশনকে পাকিস্তান থেকে ফিরে আসা সেনা অফিসাররা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না। ফলে এখানেও ছিল একটা চাপা দ্বন্দ ও বিদ্রোহের মনোভাব। পাকিস্তানি বাঙালি সরকারী অফিসার ও সেনা অফিসারদের নিজ নিজ পেশায় একটা রেষারেষি ও দলাদলি সর্বক্ষেত্রে বিরাজ করছিল। এক্ষেত্রে প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে তিনি প্রথম চালু করেন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বি সি এস)। অন্যদিকে সামরিক বাহিনীকে নতুন করে গঠন করার পরিকল্পনা হাতে নেন। দেশের সার্বিক পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসার এক বিরাট দায়িত্ব এসে পরে বঙ্গবন্ধুর উপর। এভাবেই বাংলাদেশকে গুছিয়ে আনার আপ্রাণ চেষ্টা করেন তিনি।

এদিকে আমেরিকা তাদের চক্রান্তে বেছে নিলো সাম্রাজ্যবাদের এজেন্ট বলে পরিচিত খন্দকার মোস্তাক, তাহের উদ্দিন ঠাকুর, কে এম ওবায়দুর রহমান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, মাহবুবুল হক চাষী, নুরুল ইসলাম শিশু ও সামরিক বাহিনী থেকে বহিষ্কৃত কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা। অনেকে বলেন জিয়াও নাকি ছিলেন এদের মধ্যে একজন। কারণ বঙ্গবন্ধু তাকে সেনা বাহিনীর প্রধান না করাতে তিনি ছিলেন তার উপর ক্ষুব্ধ। তাই ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের সাথে জিয়াউর রহমান পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন বলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দাবি করছে। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশে বিভিন্ন দুতাবাসে চাকরি দিয়ে পুনর্বাসিত করেন। পরবর্তিতে তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াও অবলম্বন করেছিলেন একই পথ। ঘরের শত্রু কত ভয়ংকর হতে পারে তার প্রমান খন্দকার মোস্তাক, ওবায়দুর রহমান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ও তাহের উদ্দিন ঠাকুর গং।

১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে তাহেরউদ্দিন ঠাকুর বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করতে গণভবনে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু তখন তার নিজের হাতে লাগানো নারকেল গাছের চাড়াগুলোতে পানি দিচ্ছেলেন। বঙ্গবন্ধু গাছ অত্যন্ত ভালোবাসতেন। আজকের গণভবনের চারিদিকে যে নারকেল গাছ শোভা পাচ্ছে তার সব কিছুর মূলে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৫ আগস্টের চক্রান্তকারীদের অন্যতম একজন তাহের উদ্দিন ঠাকুর ১৪ আগস্ট বিকেলে বঙ্গবন্ধুর সাথে সেদিন কি কথা বলেছিলেন তা আজও জানা যায়নি। তবে বিশ্বাস ঘাতক তাহের উদ্দিন যাকে বঙ্গবন্ধু আদর করে ডাকতেন সাংবাদিক ঠাকুর তিনি হয়তো ১৪ আগস্ট বিকেলে বাঁকা হাসি হেসেছিলেন। কারণ মাত্র এগারো বারো ঘন্টার ব্যবধানে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন তারা। তাই সেদিন বঙ্গবন্ধুর আদরের ডাক সাংবাদিক ঠাকুর হয়ে উঠেছিল এক ভয়ংকর ঠাকুর।

পচাত্তরের ১৫ আগস্ট দেশীয় এজেন্টদের দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের অগ্রযাত্রাকে সেদিন রুখে দেয়। তারপর থেকেই চলতে থাকে ইতিহাস বিকৃতির ষড়যন্ত্র। এভাবেই একটানা ২১ বছর দেশের একটা প্রজন্মকে তারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বিপরীতে নিয়ে যায়। পাকিস্তান ফেরত বাঙালি সামরিক কর্মকর্তা ও পাকিস্তানি চিন্তাধারার উচ্চপদস্থ বাঙালি কর্মকর্তাদের নিয়ে জামায়াত বিএনপি সরকার বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে মুছে দিয়ে সৃষ্টি করে এক কাল্পনিক ইতিহাস। সেই কাল্পনিক ইতিহাস নিয়ে এখনো রাজনীতিতে টিকে থাকার চেষ্টা করছে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি জামায়াত বিএনপি। তারেক রহমানের মতো একজন ব্যক্তির নেতৃত্বকে মেনে নিয়ে তারা আজ নতুন করে দেখছে ক্ষমতার স্বপ্ন। দুর্নীতির মাধ্যমে শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়া জিয়া পরিবারকে নিজেদের স্বার্থে স্তম্ভ হিসেবে ধরে রাখতে চায় তারা। যোগ্যতা না থাকলেও তারেক রহমানের মতো একজন ব্যক্তির নেতৃত্বকে মেনে নিয়ে তারই নির্দেশে চলছে বিএনপি।

১৯৯৬-২০০১ ও পরবর্তীতে ২০০৮ থেকে আজ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভ্যন্তরে ইসলামী জঙ্গিবাদ নির্মূলে এক বিরাট সাফল্য অর্জন করেছে সরকার। ইসলামী জঙ্গিদের পক্ষ থেকে বার বার নিজের জীবনের উপর হুমকি আসা সত্ত্বেও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তার সংগ্রাম বিশ্বে এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। এমন একসময় ছিল যখন জঙ্গীরা একইসাথে সারা দেশে বোমা ফাটানোর মত কাজ করতে সক্ষম হয়েছিল। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে গোপনে জঙ্গীরা তাদের কার্যকলাপ চালিয়ে সাধারণ মানুষকে এক আতঙ্কের মধ্যে বন্দী করে রাখে। ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ দমনে হাত দিতে না দিতেই ২০০১ সালে চক্রান্ত করে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে পরাজিত করা হয়। পরবর্তীতে ক্ষমতাসীন বিএনপি জামায়াতের ছত্রছায়ায় জঙ্গীরা তাদের কার্যকলাপ শক্তিশালী করার সুযোগ পেয়ে যায়। দেশের অভ্যন্তরে গড়ে তোলা হয় বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। ধর্মের নামে তরুণ ও যুব সমাজকে জঙ্গীবাদে টেনে আনা হয়। ২০০৫ সালে নির্বাচনের পূর্বে ইসলামী জঙ্গিরা বিএনপি জামায়াতকে সাথে নিয়ে জ্বালাও পোড়াও চালিয়ে সারা দেশে এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এই ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশকে আজ বিশ্বে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তুলেছেন।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাকা আজ দ্রুত গতিতে সামনে এগিয়ে চলছে। সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা আগামীতে বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ তার বর্তমান অবস্থান থেকে অনেক উপরে উঠে আসবে বলে পর্যবেক্ষকমহল মনে করছে। এখন বাংলাদেশ অন্নবস্ত্রে সয়ংসম্পূর্ণ। ১৮ কোটি মানুষের মুখে খাদ্য তুলে দেওয়া খুব সহজ বিষয় নয়। তথাপিও বাংলাদেশ খাদ্যে ও বস্ত্রে আজ স্বনির্ভর। এখন প্রয়োজন প্রতিটি মানুষের জন্য বাসস্থান। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সেদিকে দিয়েও নজর দিয়েছে। স্বাধীনতার কর্ণধার জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আজ তার কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়ে বাস্তবায়িত হতে চলেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে উন্নতির পথে। দেশের সার্বিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এই উন্নতির পেছনে রাখছে এক বিরাট অবদান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জীবন দিয়ে হলেও তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করে যাবেন। তার এই একনিষ্ঠ ও নি:স্বার্থ সংগ্রামকে আটকে দেওয়ার জন্য দেশে এখন চলছে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগে অনেকেই তাকে তার ব্যক্তিগত বাসভবন ছেড়ে গণভবনে আসার পরামর্শ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু তখন বলেছিলেন পাকিস্তানিরা আমাকে জেলে নিয়েও মারতে পারিনি। বাঙালিরা আমাকে কখনো মারবে না। বাঙালিদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর কি অগাধ বিশ্বাস! অথচ দেশীয় বাঙালী এজেন্টদের হাতেই বঙ্গবন্ধুকে প্রাণ দিতে হয়েছিল।

আজ আবার নুতন করে ভাবার সময় এসেছে। দেশীয় এজেন্টদের মাধ্যমে আক্রমন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। যে কোনো সময় তারা আঘাত হানার সুযোগ খুঁজবে। এখানে তারা তাদের এজেন্টদের মালিকানাধীন মিডিয়া ও রাজনীতিবিদদের ব্যবহার করে নতুন ষড়যন্ত্রে সক্রিয় এখন। শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে তারা রুখে দিতে চায়। তারা চায় না বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক থেকে স্বনির্ভর হোক। পদ্মাসেতু সহ দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক সহযোগিতার পথকে তারা বাঁধা দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

যদিও বেইমান ও বিশ্বাসঘাতকদের আল্লাহ কখনো ক্ষমা করেন না। তথাপিও সুবিধাবাদী স্বার্থপররা চুপ করে বসে থাকবে না। সুতরাং শেখ হাসিনাকে এখন থেকেই সাবধান হতে হবে। প্রখ্যাত সাংবাদিক কলামিষ্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরী তাঁর ৮১ তম জন্মদিনে বলেছেন, শেখ হাসিনার মৌলবাদ-জঙ্গীবাদ বিরোধী সংগ্রামে তিনি আজীবন সক্রিয় থাকবেন। শ্রদ্ধেয় গাফফার ভাইয়ের মতই কোটি কোটি বাঙালি রয়েছে শেখ হাসিনার পেছনে। তবুও বলি, সাবধান শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর মতো বাঙালি জাতি চায় না আপনাকে হারাতে। আপনার নেতৃত্বে পথ হারাবে না বাংলাদেশ। আপনার জয় হউক।

সম্পাদনা : নুসরাত শরমীন

SUMMARY

454-1.jpg