বঙ্গবন্ধু যেমন ছাত্রলীগ চাইতেন: আর যা দেখছি!


‘১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি তারিখে ফজলুল হক মুসলিম হলের অ্যাসেম্বলি হলে এক সভা ডাকা হল, সেখানে স্থির হল একটা ছাত্র প্রতিষ্ঠান করা হবে। যার নাম হবে ‘পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ’। নইমউদ্দিনকে কনভেনর করা হল। অলি আহাদ এর সভ্য হতে আপত্তি করল। কারণ সে আর সাম্প্রদায়িক প্রতিষ্ঠান করবে না। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ নাম দিলে সে থাকতে রাজি আছে’। অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থের ৮৮ এবং ৮৯ নং পৃষ্ঠায় এভাবেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস বর্ণনা করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার আগেই জন্ম হয়েছিল ছাত্রলীগের। ধর্মীয় অনুভূতির প্রাবল্যে পাকিস্তান হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে ছাত্রলীগের সৃষ্টি করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। কারণ তিনি জানতেন, ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ না রাখতে না পারলে পূর্ব বাংলার মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলা কঠিন হয়ে যাবে। অলি আহাদ এর আপত্তির জবাবে শেখ মুজিব বলেছিলেন, ‘এখনও সময় আসে নাই। রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দেশের আবহাওয়া চিন্তা করতে হবে। নামে কিছুই যায় আসে না। আদর্শ যদি ঠিক থাকে, তবে নাম পরিবর্তন করতে বেশি সময় লাগবে না। কয়েক মাস হল পাকিস্তান পেয়েছি। যে আন্দোলনের মাধ্যমে পাকিস্তান পেয়েছি, সেই মানসিক অবস্থা থেকে জনগণ ও শিক্ষিত সমাজের মত পরিবর্তন করতে সময় লাগবে’ (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, ৮৯ পৃষ্ঠা)। ছাত্রলীগ অচিরেই ফল দিতে শুরু করেছিল। সারা দেশে এক মাসেই দ্রুত জেলা কমিটিগুলো গঠন করা হয়ে গিয়েছিল। ভাষার দাবিতে ‘পূর্বপাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ’ ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখতে আরম্ভ করল। ১৯৪৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি, করাচিতে পাকিস্তান সংবিধান সভার বৈঠকে মুসলিম লীগ নেতারা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য মত দিলে কুমিল্লার কংগ্রেস সদস্য বাবু ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত দাবি করলেন বাংলা ভাষাকেও রাষ্ট্রভাষা করা হোক। এ নিয়ে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘আমরা দেখলাম বিরাট ষড়যন্ত্র চলছে বাংলাকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্রভাষা উর্দু করার। পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ ও তমদ্দুন মজলিস এর প্রতিবাদ করল এবং দাবি করল বাংলা ও উর্দু দুই ভাষাকেই রাষ্ট্রভাষা করতে হবে। আমরা সভা করে প্রতিবাদ শুরু করলাম। এই সময় পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ ও তমদ্দুন মজলিস যুক্তভাবে সর্বদলীয় সভা আহ্বান করে একটা রাষ্ট্রভাষা বাংলা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করল’ (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, ৯১-৯২)। ‘পূর্ব-পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ’ নামকরণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মূলত পশ্চিম পাকিস্তানিদের ধর্মকে›িন্দ্রক হীন রাজনীতি মোকাবেলা করার কৌশল অবলম্বন করেছিলেন। এই নামকরণ যে তখনকার সময়ের জন্য একদম সঠিক ছিল সেটি অন্য একটি ঘটনায় স্পষ্ট। ভাষার দাবিতে আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে সরকার ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীসহ অনেককে গ্রেপ্তার করে এবং প্রপাগান্ডা করে যে, কলকাতা থেকে হিন্দু ছেলেরা এসে এই আন্দোলন করছে। এর জবাবে শেখ মুজিব লিখেছেন, ‘সরকার থেকে প্রপাগান্ডা করা হয়েছিল যে, কলকাতা থেকে হিন্দু ছাত্ররা এসে পায়জামা পরে এসে এই আন্দোলন করছে। যে সত্তর-পঁচাত্তর জন ছাত্র বন্দি হয়েছিল তার মধ্যে একজনও হিন্দু ছাত্র ছিল না। এমনকি যারা আহত হয়েছিল তার মধ্যেও একজন হিন্দু ছিল না। তবু তখন থেকেই ‘যুক্ত বাংলা ও ভারতবর্ষের দালাল, কমিউনিস্ট ও রাষ্ট্রদ্রোহী এই কথাগুলি বলা শুরু হয়, আমাদের বিরুদ্ধে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে। এমনকি সরকারি প্রেসনোটেও আমাদের এইভাবে দোষারোপ করা হত’ (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, ৯৮)। পাকিস্তানের জনক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকা আসবেন। তাই পূর্ব পাকিস্তানে সাজ সাজ রব। কিন্তু ঢাকায় এসে জিন্নাহ যা করলেন তাতে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ কবরের গর্ত খুড়া শুরু করলেন। ১৯৪৮ সালের ১৯ শে মার্চ জিন্নাহ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন হলে ঘোষণা করলেন, ‘উর্দুই একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হবে’। দুই জায়গাতেই উপস্থিত ছিলেন যুবক শেখ মুজিব। চিৎকার করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, জিন্নাহর এই ঘোষণা মানে না বাংলার ছাত্রসমাজ ও আপামর জনসাধারণ। শেখ মুজিবের সাথে গলা মিলিয়েছিলেন শত শত ছাত্র-যুবক। এভাবে সময় এগিয়েছে, পূর্ব বাংলার মানুষ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের অমানুষিক পরিশ্রমে সচেতন হয়েছে নিজেদের অধিকার সম্পর্কে। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার আগেই বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগ জন্ম দিয়েছিলেন। এখানেই তাঁর দূরদর্শিতার স্বাক্ষর তিনি রেখেছেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়। পরবর্তীতে দলে সাম্প্রদায়িক বিতর্ক এড়িয়ে চলতে ১৯৫৫ সালে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে নামকরণ হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। সাম্প্রদায়িক অভিযোগ থেকে রক্ষা পেতে একই সাথে ছাত্রলীগের নামেও পরিবর্তন আসে, ছাত্রলীগের নাম হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ’। কার্যক্রম চলতে থাকে। স্বাধীনতা যুদ্ধে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে মুজিব বাহিনি গঠিত হয়। মুক্তি বাহিনি, মুজিব বাহিনিসহ বিভিন্ন নামে মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। অর্জিত হয় স্বাধীনতা। স্বাধীনতার পর দলের নামেও পরিবর্তন আসে। ছাত্রলীগের নাম হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। পাকিস্তান আমলে প্রতিটি সরকার বিরোধী স্বাধিকার আন্দোলনে ছাত্রলীগ জনগণকে সজাগ করার কাজে অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। সেই ছাত্রলীগের উদ্দেশ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কী বলছেন জেনে নেওয়া যাক। ১৯৭৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দৈনিক ইত্তেফাকে ছাত্রলীগের পুনর্মিলনী উৎসবের ওপর একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। ‘তোমরা আমার চরম ডাকের জন্য প্রস্তুত থাক’ শীর্ষক সে প্রতিবেদন থেকে আমরা ছাত্রলীগের প্রতি বঙ্গবন্ধুর শেষ দিকের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা সম্পর্কে জানতে পারি। তাঁর বক্তব্যটি ইত্তেফাক পত্রিকার আলোকে নিচে তুলে দেয়া হল। উল্লেখ্য প্রতিবেদনটি সাধু ভাষায় লিখিত হলেও আমি এখানে চলিত ভাষায় লিখে দিলাম। ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্য করে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “তোমরা আমার একটা কথা সব সময় মনে রেখো। সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির সঙ্গে আপোষ হয় না। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদের মাধ্যমেই দেশকে গড়ে তুলতে হবে। গড়ে তুলতে হবে শোষণহীন সমাজ আর বণ্টন করতে হবে এদেশের সম্পদ যাতে দুঃখী মানুষ সুখে থাকতে পারে। যদি স্বাধীনতা না থাকে, তবে তোমরা কিছুই করতে পারবে না। বিদেশি চক্র তৎপর হয়ে আছে, চরম আঘাত করতে পারে তোমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত থেকো’। দেশের সম্পদ নিয়ে তিনি বলেছিলেন, জাতীয়করণের পর সব সম্পদের মালিক সাড়ে ৭ কোটি জনগণ। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সেদিন ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্য করে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, দুর্নীতি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। সরকার দুর্নীতি একা বন্ধ করতে পারবে না। ছাত্রলীগ দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে চায় শুনে খুব খুশি হয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “যাহারা সংগ্রাম করতে চাও তাদের উচিত হবে আয়নায় চেহারাটি দেখে নেওয়া। তা না হলে ভাঙিয়া চুরমার হয়ে যাবে। দেশকে গড়ে তুলতে হলে নুতন প্রতিজ্ঞায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজে লাগতে হবে”। ২৮ জানুয়ারি, ১৯৭৫ সালের ইত্তেফাক পত্রিকার ‘ছাত্রদের প্রতি বঙ্গবন্ধু-চরিত্রবান হও’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন ছাপা হয়। সে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘জ্ঞানার্জন ও শিক্ষাঙ্গনে সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রেখে চরিত্রবান নাগরিক হওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রসমাজের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। শিক্ষাঙ্গনে শৃঙ্খলা বজায় রাখা সম্পর্কে সবিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে বঙ্গবন্ধু ছাত্রসমাজকে বলেন যে, এইগুণ ছাড়া জাতি বড় হতে পারে না। বঙ্গবন্ধু বলেন, সমাজ হতে দুর্নীতি উচ্ছেদের কাজে ছাত্র-সমাজকে অবশ্যই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ছাত্র সমাজ নিজেদের দুর্নীতির ঊর্ধ্বে রেখে এই মহান দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসবে’। স্বাধীন বাংলাদেশ জাতি ও রাষ্ট্র গঠনের কাজকে বঙ্গবন্ধু ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্ম নিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র এই চার মূলনীতির আলোকে সংবিধান প্রণয়ন করে বাংলাদেশ গড়ার কাজে নিজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, অন্যদেরকে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানিয়ে ‘শোষিতের গণতন্ত্র’ হিসেবে বাকশাল কায়েমের চেষ্টা করেছিলেন। সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে রাজনীতিবিদ, সামরিক, বেসামরিক আমলাদের যোগসাজশে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ছিলেন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের অন্যতম নির্দেশদাতা। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর সব চেষ্টা করেছিলেন। জাতীয় চার নেতা হত্যা, বিগ্রেডিয়ার খালেদ মোশাররফ হত্যা, কর্নেল তাহের হত্যাসহ সেনাবাহিনীর শত শত মুক্তিযুদ্ধ-পন্থী অফিসার ও সদস্যকে হত্যা করেন জিয়াউর রহমান। পরের ২১ বছর ক্ষমতায় ছিল আদর্শিকভাবে গণস্বার্থবিরোধী শক্তি। দীর্ঘ অমানিশার পরে ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়ে ক্ষমতায় আরোহণ করেন। কিন্তু দেশ পুনর্গঠনের আগেই ২০০১ সালের নির্বাচনে ষড়যন্ত্রের শিকার হয় আওয়ামী লীগ। ক্ষমতায় আসে বিএনপি-জামাত জোট। এর পরের ইতিহাস সবার জানা। অবশেষে গেল ৯ বছরে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। এই অগ্রযাত্রায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা। আর তাঁকে যোগ্য সাহচর্য দিয়েছেন এদেশের কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ। কিন্তু শেখ হাসিনার মত করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ বা ছাত্রলীগের সবাই কি দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখতে পারছেন? বিএনপি-জামাত বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেবে, এটাই তো রাজনীতির বিবেচনায় স্বাভাবিক। কিন্তু সমাজে যখন দেখা যায়, কোনো আওয়ামী লীগ নেতা, যুবলীগ নেতা এবং এমনকি ছাত্রলীগ নেতা অবৈধ পথে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয় তখন কি আপনাদের মনে একটু বিস্ময় ও দুঃখ জন্ম নেয় না? আজ যখন দেখা যায়, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং এমনকি ছাত্রলীগ নেতাদের অনেকের, ব্যবসায়ী এবং আমলাদের একাংশের দেশে-বিদেশে বৈধ-অবৈধ বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়ি তখন মনে প্রশ্ন জাগে, এমন ভোগবাদী সমাজ কি বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন? কিছু মানুষ খুব ভালো থাকবে, কিছু মানুষ মোটামুটি থাকবে আর বেশীরভাগ মানুষ অরাজকতার মধ্যে বসবাস করবে, এমন বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু দেখলে কষ্ট পেতেন খুব। সম্পদ এবং সুযোগ-সুবিধার বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে একটি মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাও বাপের মত মানবতাবাদী রাজনীতি করে বাংলাদেশকে ধরে রেখেছেন। কিন্তু একা শেখ হাসিনা আর কত পারবেন? শুধু শেখ হাসিনাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চর্চা করে যাবেন আর বাকিদের অনেকে সম্পদের পর্বত রচনা করবেন সেটি হতে পারে না। এদেশের কৃষক, শ্রমিক, কর্মজীবী মানুষেরা শেখ হাসিনাকে যোগ্য সাহচর্য দিয়ে যাচ্ছেন। আমলা ০ও রাজনীতিবিদদেরও কৃষক, শ্রমিকের মত সাচ্ছা হৃদয় নিয়ে দেশের জন্য কাজ করে যেতে হবে। শুধু ব্যানার পোস্টারে বঙ্গবন্ধুর ছবি দিয়ে আর নিজেদের নাম প্রচার করে মানুষকে বোকা বানানো যাবে না। কর্ম দিয়েই সবাইকে প্রমাণ করতে হবে, জয় বাংলার স্লোগানধারী সবাই বঙ্গবন্ধুর যোগ্য সৈনিক।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

SUMMARY

414-1.jpg