১৯৭১ সালের আজকের দিনে বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেন। সে সময়কার প্রেসিডেন্ট হাউজ আজকের সুগন্ধায় অনুষ্ঠিত হয় বৈঠকটি। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কালো পতাকা শোভিত একটি গাড়িতে করে এসে বৈঠকে যোগ দেন।
প্রেসিডেন্ট ভবনের বাইরে মোতায়েনকৃত বাঙালি ইপিআরদের হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না। দীর্ঘ বাঁশের লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। সেদিন থেকে এসব বাঙালি ইপিআর জওয়ানদের হাত থেকে সামরিক কর্তৃপক্ষ অস্ত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
প্রায় আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেরিয়ে আসেন। এ সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আলোচনা আরো চলবে। এর বেশি কিছু আমার বলার নেই।’
বিকেলে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে বঙ্গবন্ধুর সাথে মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরী দেখা করেন। শেখ মুজিব নির্দেশ দেন-‘এখন থেকে ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংক কেন্দ্রের শুল্ক কর, আবগারি কর ও বিক্রয় কর গ্রহণ করবে। কিন্তু এসব কর স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানে জমা দেয়া হবে না।’
কবি আহসান হাবিব তাকে দেয়া ‘সিতারা-এ-খেদমত’ খেতাব বর্জন করেন।
এ দিকে দুইজন ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ১৫ মার্চ পদত্যাগ করেন।
সারা দেশে গণজাগরণ ঠেকাতে পাকিস্তানি সেনারা রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ড. জোহা হল, মুন্নুজান হল, যশোর, রংপুর সেনানিবাস, খুলনা, চট্টগ্রাম, ঢাকা পিলখানা, ফার্মগেট, রামপুরা ও কচুক্ষেত এলাকায় অসহযোগ আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়।