পল্টনের জনসভায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এবং জাতীয় চার মূলনীতি ঘোষণার পর থেকেই বাঙালি স্বাধীনতার জন্য আরও উদগ্রীব হয়ে ওঠে। সর্বস্তরের মানুষ প্রতিরোধ করতে থাকে।
তাই কারফিউ উঠিয়ে নিতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি সামরিক সরকার।
৪ মার্চ, ১৯৭১-এ আরও অবনতি হয় চট্টগ্রামের অবস্থা। চলতে থাকে বাঙালি-অবাঙালি সংঘর্ষ। মাত্র দু’দিনে সেখানে প্রায় ২শ’ মানুষের মৃত্যু হয়। রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথ।
গুলি-হত্যার প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে এদিনও বাংলার সর্বত্র হরতাল হয়। সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, আদালত এবং যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ থাকে। এতে বেসামরিক প্রশাসন ভেঙে পড়ে বলে জানান তৎকালীন ছাত্রনেতা জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
তিনি বলেন, দেশের খবর প্রচার করতে না দেয়ার প্রতিবাদে বেতার ও টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া বন্ধ করে দিয়ে শিল্পীরা মিছিল করেন। শহীদদের স্মরণে এদিন দুপুরে পল্টন ময়দানে গায়েবানা জানাযা হয়।
দেশের রাজনীতির মোড় ঘোরানোর মাসের এ দিনে অসংখ্য মুক্তিকামী মানুষ সারাদিনই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনের সামনে ভিড় করেছিলেন।