বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে অচল সামরিক শাসকের নির্দেশ

- কাজী ইমদাদ  ১০ মার্চ

বাঙালীর গর্বের, গৌরবের মাস মার্চ। এই মাসেই ঘোষিত হয় বাঙালীর স্বাধীনতা,
বাংলাদেশ নামের একটি নতুন দেশের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাঙালী ঝাঁপিয়ে
পড়ে মুক্তির মরণপণ লড়াইয়ে। স্মৃতির মণিকোঠা থেকে ১৯৭১ এর মার্চের সেই দিনগুলোকে সবার কাছে তুলে ধরতে চ্যানেল আইয়ের আয়োজন, উত্তাল মার্চের এই দিনে।

সবখানেই চলছে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন, বিক্ষোভ সমাবেশ। সামরিক শাসকের নির্দেশ কেউ মানছে না। সিএসপি ও ইপিসিএস এর বাঙালী কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানান। তারা আওয়ামী লীগের তহবিলে একদিনের বেতন জমা দেন।

টাঙ্গাইলের এক জনসভায় মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ৭ কোটি বাঙালীর নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশ পালনের আহ্বান জানান।


স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক কামাল লোহানী বলেন, আমার কাছে মনে হয় সেদিন মানুষের মধ্যে যে উদ্দীপনা, প্রেরণা ছিল তাতে অস্ত্রের ভয় তাদের দমাতে পারেনি। যার কারণে তারা যুদ্ধে বিজয় অর্জন করতে পেরেছে। এবং সেটা জনগণের অংশগ্রহণের কারণে এবং গণ ঐক্য প্রতিষ্ঠ হওয়ার কারণে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দিন আহমদ এক বিবৃতিতে, চূড়ান্ত বিজয়ের জন্য অর্থনৈতিক শৃংখলা রক্ষার আহ্বান জানান। তিনি অসহযোগ আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সহযোগিতার জন্য জনসাধারণকে অভিনন্দন জানান।

কামাল লোহানী বলেন, সাংবাদিকরা সব সময় এটার সঙ্গে যুক্ত ছিল, তারা প্রাণও দিয়েছে যুদ্ধে। কেউ সশস্ত্র যুদ্ধ করেছে আবার কেউ বেতারে যুদ্ধ করেছে। এভাবে কিন্তু মানুষকে তারা উদ্দীপ্ত করতে পেরেছে।

ছাত্র ইউনিয়ন প্রচার করে একটি লিফলেট। ঘোষণা করে শোষণমুক্ত স্বাধীন পূর্ব বাংলার আন্দোলন আরো দুর্বার করে তোলার।

SUMMARY

314-2.jpg