- কাজী ইমদাদ
বাঙালির গর্বের, গৌরবের মাস মার্চ। এই মাসেই ঘোষিত হয় বাঙালির স্বাধীনতা, বাংলাদেশ নামের একটি নতুন দেশের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তির মরণপণ লড়াইয়ে। রাজশাহী আর রংপুরে চলছিলো কারফিউ, পল্টনে জনসভায় মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ৭ কোটি বাঙ্গালীর স্বাধীনতা দাবি করেন, ঘোষণা করেন ২৫ মার্চের মধ্যে তার এ দাবি মানা না হলে শেখ মুজিবর রহমানের সঙ্গে মিলে স্বাধীনতা সংগ্রামে নামবেন।
ডক্টর কামাল হোসেন বলেন,‘ অসহযোগ আন্দোলনের জেরে স্কুল থেকে অফিস সবকিছু বন্ধ হয়ে গেলো, পল্টনে একই জনসভায় আতাউর রহমান খান জাতীয় সরকার ঘোষণার জন্য শেখ মুজিবর রহমানের প্রতি আহবান জানান।
ছাত্রলীগও জাতীয় সরকার ঘোষণার আহবান জানায়, অনুমোদন দেয় স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের স্বাধীন বাংলাদেশ ঘোষণাকে। জাতিসংঘের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল উথান্ট পূর্ব পাকিস্তান থেকে জাতিসংঘের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। বিশ্ববিদ্যালয়সহ সর্বত্র শিক্ষার্থীরা সামরিক প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করে। ঘনিয়ে আসে এক অনিবার্য সশস্ত্র লড়াই। প্রস্তুত হতে থাকে জাতি।