১৫ মার্চ
বাঙালির গর্বের, গৌরবের মাস মার্চ। এই মাসেই ঘোষিত হয় বাঙালির স্বাধীনতা, বাংলাদেশ নামের একটি নতুন দেশের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তির মরণপণ লড়াইয়ে।
কড়া সামরিক পাহারায় প্রেসিডেন্ট হাউজে ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বৈঠক হয়। তবে এটাও ছড়িয়ে পড়ে, ইয়াহিয়া খান এই বৈঠকের ছলে আড়ালে জেনারেলদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাঙালীর ওপর সামরিক আঘাত হানার।
প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে আলোচনায় অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু প্রেসিডেন্ট ভবনের প্রধান ফটকে পৌঁছুলে একদল দেশী-বিদেশী সাংবাদিক বাঙ্গালি জাতির প্রতিনিধিকে ঘিরে ধরেন। বঙ্গবন্ধু গাড়ি থেকে নেমে কয়েক মিনিট তাদের সঙ্গে আলাপ করেন। স্বাধীনতা প্রশ্নে কোন আপোষ যেন না হয় সে দাবিতে প্রতিদিনের মতোই অনুষ্ঠিত হয় অসংখ্য সভা ও শোভাযাত্রার।
বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে কেন্দ্রীয় সরকারের যাবতীয় কর নিতে শুরু করে ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংক। প্রতিদিনের মতোই সামরিক বাহিনী নির্যাতন চালায় স্বাধীনতাকামী আন্দোলনকারী জনতার ওপর।
নির্যাতন চালানো হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হোস্টেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা হল, মুন্নুজান হল, যশোর ও রংপুর সেনানিবাস এলাকা এবং খুলনা, চট্টগ্রাম, ঢাকা পিলখানা, ফার্মগেইট, রামপুরা ও কচুক্ষেত এলাকার অসহযোগ আন্দোলনকারীদের ওপর।
পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর দমন-পীড়ন থেকে রেহাই পাননি আন্দোলতরত কেউই। সারা বাংলা জুড়ে অব্যাহত ছিলো অসহযোগ আন্দোলন।