আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
আমরা বলি, বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা হচ্ছে বাঙালির ম্যাগনা কার্টা। কিন্তু ছয় দফার ভূমিকা ছিল ম্যাগনা কার্টার চেয়ে অনেক বিশাল। ম্যাগনা কার্টা ইংল্যান্ডে রাজাদের স্বৈরশাসন বন্ধ করেছিল। আর ছয় দফা বাংলাদেশে পাকিস্তানের সামরিক ও স্বৈরশাসকদের অত্যাচার, নিবারণ, পাকিস্তানি বিগ বিজনেসের বাংলাদেশের রক্ত শোষণ বন্ধ করা এবং নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে একটি ধর্মনিরপেক্ষ জাতি-রাষ্ট্রের উত্থানের পথ তৈরি করেছিল। ছয় দফার আন্দোলনই শেখ মুজিবকে বাঙালির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতায় পরিণত করে। তিনি হন বঙ্গবন্ধু।
এই ছয় দফার একটা ঐতিহাসিক পটভূমি আছে। তখন আইয়ুবের সামরিক শাসনকাল। তবে তাঁর একটা অসামরিক খোলস আছে। ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ার দিকের কথা। বঙ্গবন্ধু তখনো বঙ্গবন্ধু হননি। ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউর নাম তখন ছিল জিন্নাহ এভিনিউ। এই রাস্তার একটা তিনতলা ভবনের দোতলায় ছিল আলফা ইনস্যুরেন্সের পূর্ব পাকিস্তান শাখার অফিস। প্রধান কর্মকর্তা ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তখন দেশে রাজনীতি নেই। বঙ্গবন্ধু রোজ এই অফিসে এসে বসেন।
আমি তখন দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদকীয় বিভাগে কাজ করি। মানিক মিয়া বেঁচে আছেন। জেনারেল আজম খান পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের পদ ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি পাকিস্তানের সব দলকে মিলিয়ে আন্দোলন করে সামরিক শাসনের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে কাজ করছেন। মানিক মিয়া তাঁকে সমর্থন জানাচ্ছেন। আজম খান তাঁর লাহোরের বাড়িতে সব দলের নেতাদের একটা বৈঠক ডেকেছেন। সম্ভবত তারিখটা ছিল ৫ ফেব্রুয়ারি (১৯৬৬)। শেখ মুজিবও এই বৈঠকে আমন্ত্রিত হয়েছেন। বৈঠকের লক্ষ্য সম্মিলিত বিরোধীদলীয় আন্দোলন দ্বারা পাকিস্তানে সামরিক শাসনের অবসান এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
এই সময় পাকিস্তানের উভয় অংশেই রাজনৈতিক পরিস্থিতি ছিল অস্বস্তিকর। আগের বছর (১৯৬৫) সেপ্টেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব তাঁর পড়ন্ত জনপ্রিয়তা ধরে রাখার জন্য ওই সালের ৬ সেপ্টেম্বর আকস্মিকভাবে কাশ্মীরে আক্রমণ চালান। আইয়ুবের হয়তো ধারণা ছিল, ভারত তখন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয়। তাঁর নেতৃত্বও তখন দুর্বল। লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যুদ্ধের কয়েক দিনের মধ্যে আইয়ুবের বিভ্রান্তি কেটে যায়। ভারতীয় সৈন্য লাহোর শহরের উপকণ্ঠ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। লাহোর রক্ষা সম্পর্কে পশ্চিম পাকিস্তানি জেনারেলরা হতাশ হয়ে পড়েন। কিন্তু চট্টগ্রামের পার্বত্য উপজাতীয় মেজর মঙ কিউ লাহোর রক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর অধীনে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি সৈন্যরা বুকে বর্ম বেঁধে ভারতের ট্যাংকের প্রতিরোধ করেন। লাহোর রক্ষা পায়।
এই মেজর এবং বাঙালিদের বীরত্বগাথায় সারা পশ্চিম পাকিস্তানের মিডিয়া তখন মুখর হয়ে উঠেছিল। কিন্তু ওই পর্যন্তই। পঁয়ষট্টির সেপ্টেম্বর যুদ্ধে অত বীরত্ব দেখিয়ে সামরিক বাহিনীতে বাঙালির অবস্থান রইল শূন্যের কোঠায়। ১৭ দিনের যুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তান ছিল সম্পূর্ণ অরক্ষিত। ভারত পূর্ব রণাঙ্গনে সৈন্য পাঠালে কোনো সামরিক প্রতিরোধের সম্মুখীন হতো না। পরে জানা গেছে, পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ভারতকে প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত পূর্ব পাকিস্তানকে নিয়ে যাক। বিনিময়ে কাশ্মীর পাকিস্তানকে দিক। ভারত এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। খবরটা কতটা সঠিক তা জানি না। তবে এটুকু জানি, পঁয়ষট্টির যুদ্ধের পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যে বাঙালি সৈন্য ও অফিসার ছিলেন তাঁদের মধ্যে বৈষম্যের কারণে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল।
পাকিস্তানে তখন রাজনৈতিক অশান্তি বিরাজ করছে। তাসখন্দ শান্তিচুক্তি করে পশ্চিম পাকিস্তানে আইয়ুব তাঁর যেটুকু জনপ্রিয়তা ছিল তা হারিয়েছেন। ভুট্টোর নেতৃত্বে পশ্চিম পাকিস্তানে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন চলছে। তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে চলছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন। শেখ মুজিব জাতীয় নেতার পর্যায়ে উঠে এসেছেন। পঁয়ষট্টি সালের ফেব্রুয়ারি মাসের একেবারে গোড়ার দিকের কথা। মুজিব ভাই (তখনো বঙ্গবন্ধু হননি) আমাকে তাঁর অফিসে ডেকে পাঠালেন। দুপুরের দিকে তাঁর আলফা ইনস্যুরেন্সের অফিসে গেলাম। মুজিব ভাই তাঁর রুমে একাকী বসে ছিলেন। চোখে-মুখে উদাস দৃষ্টি। বললেন, ‘বঞ্চিত পূর্ব পাকিস্তানের বঞ্চনা দূর করার জন্য আমি কয়েকটি দাবি তৈরি করেছি। লাহোরে জেনারেল আজমের সর্বদলীয় বৈঠকে পেশ করব। দেখি তাঁরা মেনে নেন কি না। না মেনে নিলে আমি একাই আন্দোলনে নামব।’
মুজিব ভাই আমাকে তাঁর দাবিগুলো দেখালেন। তখন ছয়টি দাবি ছিল না। সিভিল সার্ভিসে বাঙালি অফিসারদের প্রমোশন ঠেকিয়ে রাখা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিটি ছিল না। তখন প্রধান দাবি ছিল বৈদেশিক বাণিজ্য পূর্ব পাকিস্তানের কর্তৃত্বে আনা এবং বাঙালিদের দ্বারা প্যারামিলিশিয়া গঠন। শেষোক্ত দাবি দুটির একটি মুজিব ভাইয়ের বন্ধু বাঙালি সিভিল সার্ভিসের অফিসার রুহুল কুদ্দুস ও এ কে এম আহসানের অনুরোধে যুক্ত হয়। কারণ তাঁরা পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে সিনিয়র অফিসার হওয়া সত্ত্বেও বাঙালি হওয়ার দরুন তাঁদের প্রমোশন পাওয়া ও সিনিয়রিটি লাভ আটকে ছিল।
ছয় দফা দাবি সম্পর্কে ইদানীং নানা অপপ্রচার চলছে। রুহুল কুদ্দুস বেঁচে থাকতে যে দাবি করেননি, এখন তাঁর মৃত্যুর পর সেসব দাবি তোলা হচ্ছে। প্রচারটি হলো, ছয় দফা দাবি রুহুল কুদ্দুস এবং কয়েকজন বাঙালি সিভিল সার্ভিসের অফিসার তৈরি করে শেখ মুজিবকে দিয়েছিলেন। প্রচারটা সত্য নয়। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরপরই শেখ মুজিবের মনে যে রাজনৈতিক চিন্তা-ভাবনা আসে, তার মধ্যেই ছয় দফার দাবিগুলো ছিল। তিনি নিজের সম্পাদিত ‘নতুন দিন’ পত্রিকায় এসব দাবির যৌক্তিকতা দেখিয়ে দীর্ঘ নিবন্ধ লিখেছেন। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে দুই অর্থনীতি প্রবর্তনের কথা বলেছেন।
অবশ্য ছয় দফা তখন দাবির আকারে ছিল না। ছিল আলোচনার আকারে। ১৯৬৬ সালে সেপ্টেম্বর যুদ্ধের পর পাকিস্তানের রাজনৈতিক অবস্থার বাস্তবতায় এগুলো দাবির আকারে প্রকাশ করেন শেখ মুজিব। ছয় দফা দাবি প্রণয়নের ব্যাপারে সিরাজুল আলম খান গং নানা কৃতিত্ব দাবি করেন। শেখ মুজিব যখন ছয় দফার সারবস্তুগুলো নিয়ে পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি সময়ে তাঁর চিন্তা-ভাবনা প্রকাশ শুরু করেন, তখন সিরাজুল আলম খানদের রাজনৈতিক জন্মই হয়নি।
১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ায় ফিরে যাই। মুজিব ভাই আমাকে ছয় দফার খসড়াটা দেখানোর পর বললেন, ‘তোমাকে এটা দেখালাম, আর দেখাব সিরাজকে (ইত্তেফাকের তৎকালীন বার্তা সম্পাদক, একাত্তরের শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন)। খবরদার এই ব্যাপারে কাউকে এখন কিছু বলবে না। ছয় দফা আমি লাহোরে সর্বদলীয় বৈঠকে পেশ করব। তার আগে কথাটা জানাজানি হলে সরকার আমাকে গ্রেপ্তার করতে পারে। তাহলে এই প্রস্তাব পেশ করা হবে না।’
এই সময় সিরাজুদ্দীন হোসেনও এলেন। মুজিব ভাই তাঁকেও খসড়াটা দেখালেন এবং বললেন, ‘এখন মানিক ভাইয়ের সমর্থন পাওয়া আমার জন্য এসেনশিয়াল।’
সিরাজুদ্দীন হোসেন মুজিব ভাইকে জানালেন, মানিক মিয়া এখন ঢাকায় নেই। চট্টগ্রামে গেছেন দুদিনের জন্য।
মুজিব ভাই বললেন, ‘উনি ঢাকায় আসুন। আমি তাঁর কাছে যাব। তোমাদের দুজনার ওপরে দায়িত্ব রইল ছয় দফার ব্যাপারে মানিক ভাইকে ম্যানেজ করা।’
আমাদের আর মানিক মিয়াকে ম্যানেজ করতে হয়নি। তিনি নিজেই চট্টগ্রাম থেকে ফিরে এসে ছয় দফাকে সমর্থন জানিয়ে ইত্তেফাকে দীর্ঘ রাজনৈতিক কলাম লেখেন। আমি লেখাটার খবর মুজিব ভাইকে জানাতে তাঁর অফিসে গিয়ে দেখি তিনি মানিক মিয়ার লেখাটা আগেই পড়েছেন। তিনি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি ঘরে ঢুকতেই গানের সুরে বলে উঠলেন, ‘যা পেয়েছি, যা দেখেছি, তুলনা তার নাই।’ তিনি তাঁর সহকারী গাজী মোস্তফাকে ডেকে বললেন, ‘পাইওনিয়ার প্রেসের মোহাইমেন সাহেবকে খবর দাও। মানিক ভাইয়ের লেখাটি বইয়ের আকারে কয়েক লাখ কপি ছেপে জেলায় জেলায় বিতরণ করতে হবে।’
শেখ মুজিবের ছয় দফা লাহোরে সর্বদলীয় সভায় গৃহীত হয়নি। মুজিব ভাই একাই আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নেন। আইয়ুব খান তাঁকে ভয় দেখাতে এক বক্তৃতায় বলেন, ‘আমি অস্ত্রের ভাষায় শেখ মুজিবের ছয় দফা রুখব।’ শেখ মুজিব বললেন, ‘আমি আন্দোলনের ভাষায় আইয়ুব খানের জবাব দেব।’ এই সময় একদিন ইত্তেফাক অফিসে ঢুকেছি, দেখি মানিক ভাই তাঁর অফিসে তাঁর বন্ধু মহিউদ্দীন চৌধুরী (মতিয়া চৌধুরীর বাবা) সঙ্গে গল্প করছেন। মহিউদ্দীন চৌধুরী তখন পাকিস্তানের গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করেন। কিছুক্ষণ কথা বলার পর মহিউদ্দীন চৌধুরী চলে গেলেন। মানিক ভাই আমাকে বললেন, ‘বন্ধু বিপদের আভাস দিয়ে গেলেন। ছয় দফা নিয়ে আন্দোলন শুরু হলে মুজিবর মিয়া গ্রেপ্তার হবেন। আমাকেও গ্রেপ্তার করা হবে। ইত্তেফাকের প্রকাশ হয়তো নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে।’ একটু ভীত হয়ে বললাম, ‘আপনি তাহলে কী করবেন?’ মানিক ভাই হেসে বললেন, ‘আমি তো ব্যবসা করার জন্য সাংবাদিকতা করছি না, করছি রাজনীতির জন্য। তার জন্য বিপদ ও ঝুঁকি তো নিতে হবেই।’ জানি না, মানিক মিয়া সেদিন বুঝতে পেরেছিলেন কি না, আইয়ুব-মোনেমের সরকার তাঁকে গ্রেপ্তার এবং ইত্তেফাকের প্রকাশনা বন্ধ করেই ক্ষান্ত থাকবে না, ইত্তেফাক প্রেসও তারা সরকারি দখলে নিতে পারে।
শেখ মুজিব ছয় দফার আন্দোলন শুরু করেন ১৭ এপ্রিল যশোরে জনসভার অনুষ্ঠান করে। ময়দানভর্তি মানুষের সামনে তিনি বলেন, ‘ওরা বলেন ছয় দফা বিচ্ছিন্নতাবাদ। ওরা জেনেশুনে মানুষকে ভুল বোঝায়। আমি আমার মানুষের অধিকার আদায় করতে চাই। আমি ছয় দফার পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে সহজ বিনিময়যোগ্য মুদ্রাব্যবস্থা চেয়েছি। তা কি বিচ্ছিন্নতাবাদ? গ্রেট ব্রিটেনের ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে কি আলাদা সহজ বিনিময়যোগ্য মুদ্রাব্যবস্থা নেই? এমনকি স্কটল্যান্ডের আলাদা জাতীয় পতাকা নেই?’
পরদিন মুজিব ভাইয়ের খুলনার জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার কথা। সেদিন ১৮ এপ্রিল, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। উচ্চ আদালত তাঁকে জামিন দেন। সরকার তাঁকে আবার গ্রেপ্তার করে। এই খেলা চলতে থাকে বহুদিন। জুন মাসে ছয় দফার আন্দোলন তুঙ্গে ওঠে। ৭ জুন প্রকৃতপক্ষে শুরু হয় ছয় দফার আন্দোলন। এত দিন ছিল সারা প্রদেশে মুজিব ভাইয়ের ঝটিকা সফর। ৭ জুন ছয় দফার দাবিতে ঢাকা, তেজগাঁও, নারায়ণগঞ্জের রাজপথে নেমে আসা মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। ছয় দফা আন্দোলনের প্রথম শহীদ তেজগাঁওয়ের মনু মিয়া। ওই দিন বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গুলিবর্ষণে মোট ১১ ব্যক্তি শহীদ হন।
একই সময়ে ইত্তেফাক পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ করা হয়। ইত্তেফাক প্রেস বাজেয়াপ্ত করা হয়। ইত্তেফাকের মালিক-সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াকেও গ্রেপ্তার করা হয়। ছয় দফার দাবিই শেষ পর্যন্ত এক দফার দাবিতে রূপান্তরিত হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে পরিণত হয়। ইংল্যান্ডের মানুষের মুক্তিসনদ ম্যাগনা কার্টা আজ আট শ বছর পরেও সে দেশের গণমানুষের অধিকারের রক্ষাকবচ হয়ে টিকে আছে। শেখ মুজিবের ছয় দফাও তেমনি স্বাধীন ও ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশের রক্ষাকবচ। এই রক্ষাকবচে হাত দেওয়ার সাধ্য কোনো ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক, আধিপত্যবাদী অশুভ শক্তির নেই।
লন্ডন, শনিবার, ৬ জুন ২০২১