- শর্মিলা সিনড্রেলা
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যা করা হয়। ভয়াবহ সেই দিনটির কথা উঠে এসেছে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় সাক্ষীদের জবানবন্দিতে। জবানবন্দি থেকে পাওয়া যায় সেদিনের ভয়াবহতার চিত্র। জানা যায় ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন ৩২ নম্বরের বাড়িটির ভেতরে-বাইরে। সাক্ষীদের জবানবন্দির ভিত্তিতে চ্যানেল আই অনলাইনের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব।
মামলার ১নং সাক্ষী মুহিতুল ইসলাম (প্রয়াত) আদালতকে বলেছিলেন, ১৯৭২ সনের ১৩ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ে সহকারি হিসাবে চাকরিতে যোগদান করেন। ১৯৭৪ সনের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রেসিডেন্ট, পিএ কাম রিসিপশনিস্ট ছিলেন। ১৯৭৫ সনের ১৪ই আগস্ট রাত ৮টা থেকে পরের দিন সকাল ৮টা পর্যন্ত তার ডিউটি ছিল।
যথা সময়ে ডিউটিতে এসে পুলিশের ডি.এস.পি. নূরুল ইসলাম খান, ইন্সপেক্টর খোরশেদ আলম, স্পেশাল ব্রাঞ্চের একজন পুলিশ অফিসার, পুলিশের অন্যান্য পদের লোক ও সেনাবাহিনীর কয়েকজন গার্ডকে ডিউটিতে দেখেন তিনি। রাত ১টার সময় টেলিফোন মিস্ত্রী আবদুল মতিন তাকে ধাক্কা দিয়ে ঘুম থেকে উঠিয়ে বলেন ‘রাষ্ট্রপতি আপনাকে টেলিফোনে ডাকছেন’। তখন ভোর সাড়ে ৪টা/৫টা হবে। চারদিক ফর্সা হয়ে গেছে। বাড়ির চারদিকে বৈদ্যুতিক আলোও জ্বলছিল। তাড়াতাড়ি গিয়ে টেলিফোন ধরলে রাষ্ট্রপতি দোতলা থেকে বললেন ‘সেরনিয়াবাতের বাসায় দুস্কৃতিকারীরা আক্রমণ করেছে’ জলদি পুলিশ কন্ট্রোল রুমে টেলিফোন লাগা।
নির্দেশমতো টেলিফোন লাগিয়েও লাইন পাওয়া যাচ্ছিল না। ঠিক তখন রাষ্ট্রপতি দোতলা থেকে এসে বললেন ‘পুলিশ কন্ট্রোলরুমে লাগাতে বললাম লাগালি না? জবাবে বললেন ‘চেষ্টা করছি লাইন পাচ্ছি না’। এই সময় গণভবন এক্সচেঞ্জের লাইন পাওয়া গেলেও কেউ উত্তর দেয় না। রাষ্ট্রপতি তার হাত থেকে টেলিফোন নিয়ে বললেন ‘আমি প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিব বলছি’। ঠিক ওই সময় একঝাক গুলি দক্ষিণ দিকের জানালার কাঁচ ভেঙ্গে অফিসঘরের দেয়ালে লাগে। অন্য ফোনে চিফ সিকিউরিটি অফিসার মহিউদ্দিনের ফোন ধরলে জানালা দিয়ে অনর্গল গুলি আসে এবং ভাঙ্গা কাঁচে তার ডান হাতে কনুই কেটে রক্ত ঝরতে থাকে।
কিছুক্ষণ পর গুলি বন্ধ হলে কাজের ছেলে আবদুল ওরফে সেলিম উপর থেকে পাঞ্জাবী/চশমা এনে দিলে বঙ্গবন্ধু ওই পাঞ্জাবী/চশমা পরে বারান্দায় এসে ‘আর্মি সেন্ট্রি, পুলিশ সেন্ট্রি, এত গুলি হচ্ছে তোমরা কি কর’ এই বলে উপরে চলে যান। তারপর শেখ কামাল উপর থেকে এসে বলেন ‘আর্মি ও পুলিশ ভাই, আপনারা আমার সাথে আসেন’- তখন ৩/৪ জন কালো ও খাকী পোশাকধারী সশস্ত্র আর্মি এসে খাকী পোশাকধারী মেজর হুদা শেখ কামালের পায়ে গুলি করে। শেখ মুজিবের ছেলে শেখ কামাল বলে পরিচয় দিলে সাথে সাথে শেখ কামালকে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে। ওই ফায়ারের গুলি তার হাঁটুতে ও ডি.এস.পি. নূরুল ইসলামের পায়ে লাগে। তারা দুই জন ও আরেকজন অফিসার পেছনের দরজা দিয়ে বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করলে মেজর হুদা তাদের চুল ধরে টেনে তুলে এবং গেটের সামনে লাইনে দাঁড় করায়। ওই লাইনে পুলিশের লোক ও টেলিফোন মিস্ত্রী আবদুল মতিনও ছিল।
হঠাৎ একজন অস্ত্রধারী আর্মি এসে স্পেশাল ব্রাঞ্চের পুলিশ অফিসারকে গুলি করে। গুলিতে তিনি মারা যান। তারপর কয়েকজন আর্মিকে তাদের পাহারায় রেখে বাকিরা ফায়ার করতে করতে দোতলার দিকে উঠে যায়। কিছুক্ষণ পর বঙ্গবন্ধুর উচ্চ কণ্ঠস্বর, তারপর গুলির শব্দ এবং দোতলায় মহিলাদের আহাজারী ও আর্ত চিৎকার শুনতে থাকে। পেছনের রান্নাঘর থেকে কাজের বুয়া, গোয়ালঘর থেকে রাখাল আজিজ, উপর থেকে শেখ নাসেরকে এনে লাইনে দাঁড় করায়। শেখ নাসেরের হাতে তখন গুলির রক্তাক্ত জখম ছিল। শেখ নাসের বললেন, ‘স্যার, আমিতো রাজনীতি করি না- কোন রকম ব্যবসা করে খাই। তখন পাহারারত একজন আর্মি বলল, শেখ মুজিব ইজ বেটার দেন শেখ নাসের।’
যে অস্ত্রধারী আর্মি শেখ নাসেরকে নামিয়ে এনেছিল সে বলল ‘ঠিক আছে আপনাকে কিছু বলব না আপনি ঐ ঘরে গিয়ে বসেন। এই বলে অফিস ঘরসংলগ্ন বাথরুমে নিয়ে শেখ নাসেরকে গুলি করে। শেখ নাসের পানি পানি বলিয়া চিৎকার করতে থাকলে পাহারারত আর্মিদের একজন অন্য একজনকে বলল যা, পানি দিয়ে আয়। সে গিয়ে পানির পরিবর্তে আবারও শেখ নাসেরকে গুলি করে। উপর থেকে কাজের ছেলে আবদুর রহমান ওরফে রমা ও শেখ রাসেলকে আর্মিরা নিয়ে আসে। শেখ রাসেল তাকে জাড়িয়ে ধরে বলে- ‘ভাইয়া আমাকে মারবেনা তো’। শিশু রাসেলকে মারবে না সেই ধারণাতেই তিনি বললেন- না ভাইয়া তোমাকে মারবে না। তারপর একজন আর্মি তার কাছ থেকে রাসেলকে জোর করে ছাড়িয়ে নেয়। তখন রাসেল তার মায়ের কাছে যেতে চাইলে তাকে মায়ের কাছে নেবে বলে দোতলার দিকে নিয়ে যায়। এরপর তিনি গুলির শব্দ শোনেন। তারপর গেটে অবস্থানরত মেজর হুদাকে মেজর ফারুক কি যেন জিজ্ঞাসা করলে মেজর হুদা বলেন ‘all are finished’ তখন তিনি বুঝলেন, রাষ্ট্রপতিসহ তার পরিবারবর্গ ও আত্মীয় স্বজনকে হত্যা করা হয়েছে।
ওই সময় বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সামনে দিয়ে কালো পোশাকধারী আর্মির লোক ট্যাংকে যাতায়াত করে। সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে কর্নেল জামিলের মৃতদেহ তারাই গাড়িতে করে আর্মির লোকেরা বঙ্গবন্ধুর বাড়ির ভেতরে নিয়ে আসে। তখন মেজর ডালিমকে খাকী পোশাকে গেটে অবস্থানরত আর্মিদের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে দেখেন তিনি।
তিনি জানান, ১৯৭৫ সনে ১৫ই আগস্ট ধানমন্ডি ৩২নং রোডের ৬৭৭নং বাসভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বেগম মুজিব, বঙ্গবন্ধুর ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল, শেখ জামালের স্ত্রী রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ নাসের ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের একজন অফিসারকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তিনি মেজর ফারুক, মেজর ডালিম, মেজর নূর, মেজর হুদাকে ঘটনার সময় ও ঘটনার পরে ধানমন্ডি ৩২নং রোডে বঙ্গবন্ধুর ৬৭৭নং বাসভবনে দেখেছেন।
বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহকারী মুহিতুল ইসলাম
তাছাড়া তিনি ১৯৭৩ সনে একদিন যশোর থেকে আসছিলেন। ওইদিন মেজর হুদাও কুষ্টিয়া থেকে আসছিলেন। আরিচা ঘাটে তার সঙ্গে পরিচয় হয়। ফেরিতে একই টেবিলে বসে খাবার খায়। পরে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে নিরাপত্তার ডিউটি ফোর্সকে দেখাশুনার জন্য আসতেন, তখনও কথাবার্তা হতো। এইভাবে তাকে চিনতেন। মেজর নূর, জেনারেল ওসমানীরও এডিসি ছিল। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নূর কলকাতায় ১২নং থিয়েটার রোডে ওসমানী সাহেবের অফিসে যেত। সেখানে মেজর নূরের সঙ্গে মুহিতুলের পরিচয় হয়। শেখ কামালের বন্ধু হিসাবেও মেজর নূর বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে আসত।
মুহিতুল জানান: ঘটনার আগে মেজর ডালিম অনেকবার ওই বাড়িতে এসেছিল। সেই সুবাদে তাকে তিনি দেখেছেন ও চিনেছেন। মেজর ফারুকের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা বহু লোকের কাছে শুনেছেন। বিভিন্ন আলোচনাকালে দেশি বিদেশি পত্র-পত্রিকা, ম্যাগাজিন, বই পুস্তক পড়ে জানতে পেরেছেন যে, খন্দকার মোস্তাক, তাহের উদ্দিন ঠাকুর, মেজর রশিদ, মেজর পাশা, মেজর শরিফুল হোসেন, মেজর শাহরিয়ার, মেজর রাশেদ চৌধুরী, মেজর মহিউদ্দিন, ক্যাপ্টেন কিসমত, রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনসহ সাজোয়া, গোলন্দাজ অন্যান্য বাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সৈনিক উচ্চাভিলাষী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারকে ১৯৭৫ সনের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করে।
২ নং সাক্ষী রহমান (রমা)
প্রসিকিউশনের-২ নং সাক্ষী রহমান (রমা) বলেন, ১৯৬৯ সনে কাজের লোক হিসাবে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে আসেন। ঘটনার রাতে তিনি ও সেলিম (আবদুল) দোতলায় বঙ্গবন্ধুর বেড রুমের সামনে বারান্দায় ঘুমিয়েছিলেন। আনুমানিক ভোর ৫টার দিকে হঠাৎ বেগম মুজিব দরজা খুলে বাইরে এসে বলেন, দুস্কৃতিকারীরা সেরনিয়াবাতের বাসা আক্রমণ করেছে। বেগম মুজিবের কথা শুনে তিনি তাড়াতাড়ি লেকের পাড়ে গিয়ে দেখেন কিছু আর্মি গুলি করতে করতে তাদের বাড়ির দিকে আসছে। তখন আবার বাসায় এসে বঙ্গবন্ধুকে পিএ রিসেপশনিস্টের রুমে কথা বলতে দেখেন। দোতলায় এসে বেগম মুজিবকে ছুটাছুটি করতে দেখেন।
তিনি উপরে গিয়ে আর্মিরা বাসা আক্রমণ করেছে বলে শেখ কামালকে উঠান। কামাল তাড়াতাড়ি একটা প্যান্ট ও শার্ট পরে নীচের দিকে যান। তার স্ত্রী সুলতানা দোতলায় আসেন। দোতলায় গিয়ে একইভাবে আর্মিরা বাসা আক্রমণ করেছে বলে শেখ জামালকে উঠান। শেখ জামালও তাড়াতাড়ি প্যান্ট, শার্ট পরে তার মার রুমে যান। সাথে তার স্ত্রীও যান। তখন খুব গোলাগুলি হচ্ছিলো। এই পর্যায়ে শেখ কামালের আর্তচিৎকার শুনতে পান। তার আগে বঙ্গবন্ধু দোতলায় এসে রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। প্রচণ্ড গোলাগুলি এক সময় বন্ধ হলে বঙ্গবন্ধু দরজা খুলে বাইরে এলে আর্মিরা তার বেডরুমের সামনে চারপাশে তাকে ঘিরে ফেলে। আর্মিদের লক্ষ্য করে বঙ্গবন্ধু বলেন ‘তোরা কি চাস, কোথায় নিয়ে যাবি আমাকে’? তারা বঙ্গবন্ধুকে তখন সিঁড়ির দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। সিড়ির ২/৩ ধাপ নামার পর নীচের দিকে থেকে আর্মিরা বঙ্গবন্ধুকে গুলি করে। সাথে সাথে বঙ্গবন্ধু সিঁড়িতে লুটিয়ে পড়েন।
আর্মিরা তাকে জিজ্ঞাসা করে ‘তুমি কি কর, আমি বলি আমি কাজ করি।’ আর্মিরা তখন তাকে ভেতরে যেতে বলে। তিনি বেগম মুজিবের রুমের বাথরুমে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেখানে বেগম মুজিবকে বলেন ‘বঙ্গবন্ধুকে গুলি করেছে’। ওই বাথরুমে শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা, শেখ জামাল ও তার স্ত্রী রোজি, শেখ রাসেল, বেগম মুজিব ও বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসেরও ছিলেন। শেখ নাসের ওই বাথরুমে আসার আগে তার হাতে গুলি লাগে। তার হাত থেকে তখন রক্ত ঝরছিল। বেগম মুজিব শাড়ির আচল ছিঁড়ে তার রক্ত মুছে দেন। এরপর আর্মিরা আবার দোতলায় আসে এবং দরজা পিটাতে থাকলে বেগম মুজিব দরজা খুলতে যাবার সময় বলেন ‘মরলে সবাই এক সাথে মরব’। এই বলে বেগম মুজিব দরজা খুললে আর্মিরা রুমের ভেতর ঢুকে শেখ নাসের, শেখ রাসেল, বেগম মুজিব এবং তাকে নীচের দিকে নিচ্ছিলো। সিঁড়িতে বঙ্গবন্ধুর লাশ দেখে বেগম মুজিব বলেন ‘আমি নামব না আমাকে এখানেই মেরে ফেল। এই কথার পর আর্মিরা তাকে দোতলায় তার রুমের দিকে নিয়ে যায়। একটু পরই রুমে গুলির শব্দসহ মেয়েদের আর্তচিৎকার শুনতে পান। আর্মিরা শেখ নাসের, শেখ রাসেল ও তাকে নীচের তলায় এনে লাইনে দাঁড় করায়। সেখানে সাদা পোশাকের একজন পুলিশের লাশ দেখেন রমা।
নীচে শেখ নাসেরকে আর্মিরা জিজ্ঞেস করে ‘তুমি কে’? তিনি শেখ নাসের বলে পরিচয় দিলে তাকে নীচ তলায় বাথরুমে নিয়ে যায়। একটু পর ওই বাথরুমে গুলির শব্দ এবং মাগো বলে আর্তচিৎকার শুনতে পান। শেখ রাসেল মার কাছে যাবে বলে তখন কান্নাকাটি করছিল এবং মুহিতুল ইসলামকে ধরে বলছিল, ভাই আমাকে মারবে নাতো? ‘তখন একজন আর্মি তাকে বলল’ ‘চল তোমাকে মায়ের কাছে নিয়ে যাই।’ এই বলে তাকে দোতলায় নিয়ে যায়। একটু পরই দোতলায় কয়েকটি গুলির শব্দ ও আর্তচিৎকার শুনতে পান রমা। লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় সেলিমের (আবদুল) হাতে এবং পেটে দুটি গুলির জখম এবং ডিএসপি নুরুল ইসলাম ও পিএ মুহিতুল ইসলামকে আহত দেখেন তিনি। এরপর বাসার সামনে একটা ট্যাংক আসে। ট্যাংক থেকে আর্মিরা নেমে ভেতরে আর্মিদের জিজ্ঞাসা করে ‘ভেতরে কে আছে?’ উত্তরে আর্মিরা বলে ‘all are finished’.
অনুমান ১২টার দিকে তাকে ছেড়ে দিলে প্রাণভয়ে গ্রামের বাড়ি টুঙ্গিপাড়া চলে যান রমা।