ব্যক্তি শেখ কামাল ও কল্পকথার খণ্ডন

১৫ আগস্ট, বাঙালি জাতির ইতিহাসে কলঙ্কময় একটি দিন। পঁচাত্তরের এই দিনে ঘাতক গোষ্ঠী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধুর পবিত্র স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর জ্যেষ্ঠ ছেলে শেখ কামাল স্মরণে কিছু কথা পাঠকদের জন্য নিবেদন করছি।

শেখ কামাল আমাদের এক বছরের সিনিয়র ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে তিনি ছিলেন আমাদের আগের ব্যাচের ছাত্র। কিন্তু সিনিয়র হলেও কামাল ভাই আমাদের সঙ্গে আড্ডা মারতেন চুটিয়ে। রাজনৈতিক মতপার্থক্য তাঁর কাছে কোনো বিষয় ছিল না। সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে ছাত্রলীগের ছিল একচেটিয়া আধিপত্য। কিন্তু আমরা কয়েকজন ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকলেও তাঁর স্নেহ থেকে কখনও বঞ্চিত ছিলাম না।

কামাল ভাই সম্পর্কে আরও বলতে হয় যে, আমাদের সময়কার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে প্রাণবন্ত ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। ‘অলরাউন্ডার’ বলতে যা বোঝায় তিনি ছিলেন তা-ই। গান, নাটকসহ সাংস্কৃতিক নানা বিষয়সহ সব ধরনের খেলাধুলায় তিনি ছিলেন সমভাবে পারদর্শী। সেতারও ছিল তাঁর একটি প্রিয় বাদ্যযন্ত্র। সবসময় হইহুল্লোড় করে আসর মাতিয়ে রাখতেন। আর দলবেঁধে গান গাইতেন। ছোটবড় সবার সঙ্গে ছিল তাঁর বন্ধুত্ব। চালচলন ছিল একেবারে সাদাসিধা। তাঁকে দেখে কখনও মনে হত না যে, তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে।

প্রতি বছর ১৫ আগস্টের কালোরাতের প্রাক্কালে শেখ কামালের স্মৃতি মনে ভেসে ওঠে। তাঁর কথা মনে হলে আরও কষ্ট লাগে এই জন্য যে, পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঘাতকের বুলেটে নিহত হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেও তিনি ছিলেন আমাদের সঙ্গে, হইহুল্লোড় করে আমাদের মাতিয়ে রেখেছিলেন তাঁর স্বভাবসুলভ প্রাণবন্ত আড্ডায়।

১৫ আগস্ট সকালে বঙ্গবন্ধুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে আসার কর্মসূচি ছিল। এই কর্মসূচি নিয়ে ডাকসুর পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসজুড়ে চলছিল প্রস্তুতি। ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) নির্মিত হয়েছিল একটি সুউচ্চ টাওয়ার। আর্টস কলেজের (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ) ছাত্রছাত্রীরা এটি তৈরি করেছিল।

এই টিএসসি মিলনায়তনেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ডাকসু ও হল সংসদগুলোর প্রতিনিধিদের উদ্দেশে দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ দেবার কথা ছিল। ভাষণ দেবার আগে কলা ভবনের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের মিউজিয়াম পরিদর্শনের কর্মসূচিও ছিল। এছাড়া কার্জন হলেও তাঁর অপর একটি অনুষ্ঠানে যাবার কথা ছিল। মহসীন হল ছাত্র সংসদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার জন্য আমন্ত্রণপত্র পেয়েছিলাম আমিও।

অন্যদিকে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হিসেবে আগের দিন অর্থাৎ ১৪ আগস্ট রাতে আমরা ব্যস্ত ছিলাম বিভাগের মিউজিয়াম এবং এর প্রবেশপথের সাজসজ্জার কাজে। শেখ কামাল ওই রাতে আমাদের সঙ্গেই ছিলেন। সাজসজ্জার কাজ তদারক করছিলেন আর তাঁর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে গল্প করে গান গেয়ে সবাইকে মাতিয়ে রেখেছিলেন।

কলা ভবনের নিচতলার সামনের দিকে অবস্থিত আমাদের মিউজিয়ামের প্রবেশপথে খড় দিয়ে একটি কুঁড়েঘর বানানো হয়েছিল। হঠাৎ কামাল ভাইয়ের মাথায় এল যে, কুঁড়েঘরের চালে লাউ গাছ ও লাউ ঝুলিয়ে দিতে পারলে চমৎকার হবে। আমাকে বললেন, ‘‘কী রে হাসান, এখানে একটা সাধের লাউ ঝুলিয়ে দিতে পারবি না? যদি পারিস, তাহলে মনে হবে এটা একটা আসল কুঁড়েঘর।’’

যে কথা সেই কাজ। দুজন সঙ্গী নিয়ে রাতের আঁধারে চলে গেলাম সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ইন্সটিটিউটে। মেয়েদের হোস্টেলের গাড়ি-বারান্দার ওপর থেকে লাউগাছের ডগা নেওয়ার জন্য ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী গণিকে তার হোস্টেলের রুম থেকে তুলে নিয়ে এলাম। গণি তখন ঘুমাচ্ছিল। আমাদের জন্য তাকে উঠতে হল। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, কাছে গিয়ে দেখলাম, ওগুলো লাউগাছ নয়, চালকুমড়া গাছ। অগত্যা চালকুমড়ার ডগা নিয়েই ফিরতে হল আমাদের।

কামাল ভাই কিন্তু মহাখুশি হয়ে বললেন, ‘‘একই কথা, যেই লাউ সেই কদু। চালকুমড়ার ডগাই চলবে।’’

এরপর বললেন, ‘‘ডগা তো হল, এবার লাউ জোগাড় করতে পারলেই হবে।’’

তাঁকে বললাম, ‘‘এখন লাউয়ের সিজন নয়, ভোরবেলা নিউ মার্কেটের কাঁচাবাজারে গিয়ে চালকুমড়া নিয়ে আসার চেষ্টা করব।’’

এখানে উল্লেখ্য যে, ওই সময়ে তাঁর প্রিয় গানের একটি ছিল, ‘সাধের লাউ বানাইলি মোরে বৈরাগী।’ প্রায়ই দলবেঁধে কামাল ভাই ওই ‘সাধের লাউ’ গানটি গাইতেন। ওই রাতেও গানটি গেয়েছিলেন ক্ষণে ক্ষণে।

এভাবে দেখতে দেখতে রাত দু্টো বেজে গেল। এক পর্যায়ে কামাল ভাই বললেন, “তোরা থাক, আমি একটু বাসায় গিয়ে বিশ্রাম নিয়ে আসি।”

কিন্তু এই বিশ্রাম যে তাঁর সারাজীবনের বিশ্রামে পরিণত হবে তা আমরা কেউ তখন কল্পনাও করতে পারিনি। আমাদের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাসায় ঘাতকরা বুলেটে বুলেটে কামাল ভাইয়ের বুক ঝাঁঝরা করে দিয়েছে। জাতির জনককে হত্যা করেছে সপরিবারে।

ভোরবেলায় এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে আমরা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে আসি। এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর চারদিকে তৈরি হয় এক অসহনীয় পরিবেশ। পাকিস্তানি সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের উপর আবার চেপে বসে সামরিক স্বৈরাচার। প্রায়ই মনে হত, কামাল ভাই যদি রেস্ট নেওয়ার জন্য ওই রাতে ৩২ নম্বরের বাসায় না যেতেন তাহলে হয়তো বেঁচে যেতেন– মুজিবহীন বাংলায় মানুষের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন শোষণহীন বাংলাদেশ কায়েমের জন্য দিতে পারতেন বলিষ্ঠ নেতৃত্ব।

ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী হয়েও কামাল ভাইয়ের কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়ার প্রসঙ্গে আরও একটি ঘটনা উল্লেখ করছি। সম্ভবত ১৯৭৪ সালে ডাকসুর উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সপ্তাহ উদ্‌যাপিত হয়েছিল। ওই সময় ডাকসুর পুরো কমিটি নির্বাচিত হয়েছিল ছাত্র ইউনিয়ন থেকে। ভিপি ছিলেন বর্তমানে সিপিবি নেতা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং জিএস ছিলেন বর্তমানে আইটি খাতের সফল ব্যবসায়ী মাহবুব জামান।

ডাকসুর সদস্য বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব ও সংগঠক ম. হামিদ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সপ্তাহ উদ্‌যাপন পরিষদের আহবায়ক। হামিদ ভাইও ছিলেন মহসীন হলের আবাসিক ছাত্র। আমি তাঁর খুবই স্নেহাস্পদ ছিলাম। আমার ওপরও ছিল হামিদ ভাইয়ের অগাধ আস্থা। তাই হামিদ ভাই আমাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সপ্তাহ উদযাপন কমিটির ক্রীড়া উপ-পরিষদের আহ্বায়ক করেছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সপ্তাহ উপলক্ষে আমরা সব ধরনের ইনডোর গেমের আয়োজন করেছিলাম। আরও আয়োজন করেছিলাম বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বনাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দলের বাস্কেটবল ম্যাচ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠ জিমনেসিয়ামে অনুষ্ঠিত হল এই প্রীতি ম্যাচ।

তবে সেবার সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে গিয়ে পড়লাম মহাবিপাকে। টিএসসির সুইমিংপুলে সাঁতার প্রতিযোগিতা হবে। কিন্তু পুল ছিল পানিশূন্য। বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলীরা পানি সরবরাহ করতে অপারগতা প্রকাশ করলেন এই বলে যে, পানি দিয়ে সুইমিং পুল ভরতে গেলে রোকেয়া হল ও শামসুন্নাহার হলে তীব্র পানিসংকট দেখা দেবে।

এই অবস্থায় আমরা ফায়ার ব্রিগেডের শরণাপন্ন হলাম। তাদের বলা হল, জগন্নাথ হলের পুকুর থেকে পানি এনে সুইমিং পুল ভরে দিতে। কিন্তু তা-ও হল না, জগন্নাথ হল কর্তৃপক্ষ জানাল যে, তাদের পুকুর থেকে পানি আনলে পুকুরের মাছ মরে যাবে।

কী আর করা! এবার আমরা ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পুকুর (বাংলা একাডেমির উল্টোদিকে) থেকে পানি আনার বন্দোবস্ত করলাম। সে জন্য রাতে ফায়ার ব্রিগেডের লোকজন এসে রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করাতে বললেন। কারণ গাড়ি, বিশেষ করে ট্রাক চলাচল করলে তাদের পানি আনার পাইপ ফেটে যাবে।

তখন রাত প্রায় ১০টা বাজে। রাস্তা বন্ধ করতে হলে পুলিশের প্রয়োজন। আর কোনো উপায় না পেয়ে সোজা চলে গেলাম কামাল ভাইয়ের কাছে। ৩২ নম্বরের বাসায় গিয়ে তাঁকে খোঁজ করলাম। কামাল ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি শুনেই মূল ফটকে পাহারারত পুলিশ কনস্টেবল কোনো কিছু জিজ্ঞেস না করে আমাকে ভেতরে নিয়ে গেল, খবর দিল কামাল ভাইকে। তখন বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বরের বাসভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল এমনই।

যাহোক, আমার যাবার কথা জেনে কামাল ভাই নিচতলার বসার ঘরে চলে এলেন। সব কিছু শু তিনি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাস্তা বন্ধ করালেন। এরপর ফায়ার ব্রিগেড পানিতে ভরে দিল টিএসসির সুইমিং পুল। পরদিন আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় ভাইস চ্যান্সেলর আবদুল মতিন চৌধুরী সাঁতার প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করলেন।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সপ্তাহের একক অভিনয়, গান, খেলাধুলা প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ে শেখ কামাল বিজয়ী হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন গেমে যারা চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ হয়েছিলেন, কামাল ভাই তাদের সবাইকে নিউ এলিফ্যান্ট রোডের একটি চাইনিজ রেস্তোরাঁয় দাওয়াত দিয়েছিলেন। ক্রীড়া উপ-পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে আমিও তাঁর দাওয়াত পেলাম। খাওয়া-দাওয়ার পর তিনি সবাইকে তাঁর আবাহনী ক্লাবে যোগদানের আমন্ত্রণ জানালেন।

এখানে উল্লেখ্য যে, আবাহনী ক্রীড়াচক্র প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি বাংলাদেশের ক্রীড়াজগতে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তেমনি স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করে তিনি সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও এক বিরাট অবদান রেখে গেছেন। প্রকৃত অর্থেই শেখ কামাল ছিলেন একজন ক্রীড়া ও সংস্কৃতি-অনুরাগী। কখনও ব্যবসায়িক কার্যকলাপে জড়িত হননি তিনি, ছোটেননি অর্থের পেছনে।

তবে শেখ কামালকে জড়িয়ে একটি বানোয়াট কল্পকাহিনি প্রচার করা হয়েছিল। সেটি হল, তিনি নাকি বাংলাদেশ ব্যাংক লুট করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে আহত হন। ওই সময় সরকারবিরোধীরাই একটি ঘটনায় রং-রস চড়িয়ে প্রচার করেছিল। এখনও আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করতে গিয়ে কেউ কেউ ওই ঘটনার রেফারেন্স দিয়ে থাকেন। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন।

সিরাজ সিকদারের নেতৃত্বাধীন ‘সর্বহারা পার্টি’ নামক একটি চরমপন্থী দল বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। তারা স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে বোমাবাজি করেছিল। শেখ কামাল তাঁর রাজনৈতিক বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে কয়েকজন বন্ধুসহ রাতের বেলায় গাড়িতে করে ঢাকা শহরে ঘুরছিলেন ওই বোমাবাজদের ধরার জন্য। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকটবর্তী নটরডেম কলেজের কাছে পুলিশের টহল দল তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। তারা মনে করেছিল যে, ওই গাড়ীতে চরমপন্থী বোমাবাজরা রয়েছে। এই ঘটনার কথা আমি আমার দুজন সহপাঠীর কাছ থেকে শুনেছি। তারা ওই ঘটনার সময় কামাল ভাইয়ের সঙ্গেই ছিল।

তাজ্জব ব্যাপার হচ্ছে এই যে, ওই সময় ‘গণবাহিনী’ একে বাংলাদেশ ব্যাংক লুট করার কাহিনি বলে চালিয়ে দিতে চাইল। অনেকেই এখনও একে সুযোগ বুঝে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।

SUMMARY

2843-2.jpg