- মো. সাখাওয়াত হোসেন
বঙ্গবন্ধুর তেজোদীপ্ত নেতৃত্ব এবং পাহাড়সম দৃঢ়তার জন্য বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই নগন্য। বঙ্গবন্ধুর বিরামহীন ও নিবিষ্ট পরিশ্রমে গড়ে তোলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠিত নেতাদের অনেক সময় বলতে শোনা যায়, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ইতিহাসে কাঁটা ধরার কোন সুযোগ নেই কেবলমাত্র ব্যতিক্রম বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা। বাকশাল প্রতিষ্ঠাকে তারা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের ভুল সিদ্ধান্ত হিসেবে পরিগণিত করে থাকেন। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের ঘটনার ক্রীড়নক হিসেবেও বাকশালকে দায়ী করা হয়। অথচ আমার মনে হয় তাঁরা বঙ্গবন্ধুর বাকশাল গঠনের উদ্দশ্যে ও বাস্তবায়ন সাপেক্ষে ফলাফলের কথা ক্ষুণাক্ষরে চিন্তা না করেই অবচেতন মনে বিবৃতি দিয়ে থাকেন। তৎসাপেক্ষে, গবেষকরা বঙ্গবন্ধুর ৩৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনকে শত বছরের ফ্রেমের চেয়েও অধিক গুরুত্ব বিবেচনায় ব্যাখ্যা বিশ্লেষন করে থাকেন কেবল দূরর্দশিতা ক্ষেপন সাপেক্ষে। তাই বঙ্গবন্ধুর চিন্তনকে গভীর র্অন্তদৃষ্টি দিয়ে উপলব্ধি করলে বাকশালের মর্মার্থ অনুধাবন সম্ভব হবে। কারণ, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের ইতিহাসে র্ব্যথতার বা ভুল সিদ্ধান্তের আশংকা করাটাও বোকামি ব্যতিরেকে অন্য কিছু নয়।
পুরোদুস্তর রাজনীতিবিদ হিসেবে বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই তিনি কাজ করতেন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মূলনীতিকে বিশ্বাস করে। সুতরাং, বাকশাল নিয়ে বঙ্গবন্ধুর দূরর্দশিতা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফিরিস্তির কারণেই বিষয়টির বাস্তবায়ন জরুরী ছিলো।
বঙ্গবন্ধু ছিলেন পরিশীলিত রাজনীতিবিদ এবং আর্দশের জায়গায় অটুট। দলীয় সংর্কীণতা, ব্যক্তি র্স্বাথ, লোভ-লালসার উর্ধ্বে থেকে তিনি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন। তাঁর গৃহীত সিদ্ধান্তের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল বাংলার মানুষের মুক্তি ও উন্নয়ন। বাকশাল গঠনও এর থেকে ব্যতিক্রম ছিল না। বাকশাল ব্যবস্থাকে তিনি পরীক্ষণীয় কর্মসূচি হিসেবে রাখতে চেয়েছিলেন। স্বাধীনতার পরে যখন সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা মুক্তিকামী মানুষের কল্যাণ সাধনে ব্যর্থ হয়েছিল ঠিক তখনি বিকল্প ব্যবস্থাকল্পে বঙ্গবন্ধু বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেন। গবেষক ড. অজিত কুমার দাস বঙ্গবন্ধুর বাকশাল সর্ম্পকিত গঠনের উদ্দশ্যে যুক্তিসহকারে তুলে ধরেন। সে সময়কার উগ্র দলগুলোর সশস্ত্র বিপ্লবের নামে ব্যাংক লুট, থানা লুট, ফাঁড়ি লুট, রাতের অন্ধকারে রাজনৈতিক ডাকাতি চরম আকার ধারণ করলে বঙ্গবন্ধু উপায়ন্তর না দেখে বাকশাল গঠন করেন সামগ্রিক পরিস্থিতির অবলোকনে। বঙ্গবন্ধু বাকশালকে সাময়িক সময়ের জন্য রাখতে চেয়েছিলেন, পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন বেগবান করেই আবার ১৯৮০ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্রের শাসন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও উদ্যমী ছিলেন।কিন্তু ঘাতকের দল বঙ্গবন্ধুকে তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পূর্বেই সপরিবারে হত্যা করেন।
প্রফেসর জিল্লুর রহমান সিদ্দিকীর ভাষায়, সংসদীয় গণতন্ত্র মানুষের মঙ্গল আনয়নে ব্যর্থ হওয়ায় বঙ্গবন্ধু মতার্দশ রাজনৈতিক হিসেবে সমাজতন্ত্রকে গ্রহণ করে বাকশাল কায়েম করেন। আর এ বাকশালের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন পেশা,শ্রেণির মানুষকে একত্রিত করতে চেয়েছিলেন যেন সকলেই দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারেন। বঙ্গবন্ধু চর্তুথ সংশোধনীর উপর ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন “বাংলাদেশ আর্ন্তজাতিক চক্রান্তের লীলাক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। যে রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি সেই রক্ত দিয়েই তা রক্ষা করব। আমাদের রক্ত থাকতে এই স্বাধীনতাকে নস্যাৎ হতে দিবো না। বিদেশ হতে সাহায্য র্অথ এনেছি কিন্ত তারা (দুর্নীতবাজরা) চুরি করে খেয়েছে। যারা এসব করে তাদের উৎখাত করতে হবে।“সুতরাং অবলোকন করা যাচ্ছে, বঙ্গবন্ধু কি উদ্দশ্যে হাসিলের জন্য বাকশাল ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। অথচ সমালোচকরা বিষয়বস্তু না জেনেই উদভ্রান্তের ন্যায় কথা বলেই চলে যা, পাগলের প্রলাপ বৈকি অন্য কিছু নয়।
শেখ মুজিব বাকশালকে দ্বিতীয় বিপ্লবি কর্মসূচি হিসেবে অভিহিত করেন। কর্মসূচির মধ্যে ছিল: উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশকে স্বয়ংসর্ম্পূণ করা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা, দুর্নীত, ঘুষ, কালোবাজারী, চোরাচালান প্রভৃতি সমাজবিরোধী কার্যকলাপ বন্ধ করা এবং ঐক্যবদ্ধভাবে দায়িত্ব পালনে ব্রতী হওয়া। এ সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের জন্য বঙ্গবন্ধু একটি একক জাতীয় দল গঠন, জেলা প্রশাসন পুর্নগঠন, গ্রাম সমবায় প্রর্বতনের মাধ্যমে সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা হাতে নিয়েছিলেন। খোলা চোখে হিসেব করলেও দেখা যায়, এখানে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার কোন অপপ্রয়াস বঙ্গবন্ধুর ছিল না। তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল সুষম উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং বাংলাদেশকে একটি স্বাবলম্বী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা। কিন্তু ঘাতকের দল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পূর্বেই সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বাকশালের স্বপ্নকে আলোর মুখ দেখতে দেয়নি।
বাকশালরে কমিটিতে দলের চেয়ারম্যানকে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী করা হয়। দলের সাত স্তর বিশিষ্ট কমিটির মধ্যে র্অন্তভুক্ত ছিল-নির্বাহী কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটি দলীয় কাউন্সিল, জেলা কমিটি জেলা কাউন্সিল, থানা/আঞ্চলকি কমিটি ইউনিয়ন/প্রাথমিক কমিটি সবগুলো কমিটির সমন্বয়ের মাধ্যমে র্কাযত উন্নয়ন করাই ছিল প্রাথমিক লক্ষ্য। ডা. এস এ মালেকের নিবন্ধ মাধ্যমে জানা যায়, সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করবার জন্য একটি জাতীয় দল ও জাতীয় অবকাঠামোর বির্নিমান যার মাধ্যমে গণমুখী উন্নয়ন সম্ভবপর হবে, তার নিমিত্তেই বাকশালের রূপরখো চূড়ান্ত করেন বঙ্গবন্ধু। বাধ্যতামূলক গ্রাম সমবায় গঠনের মাধ্যমে ভূমি ও কৃষি ব্যবস্থার দ্রুত যুগান্তকারী পরিবর্তন আনয়ন, উৎপাদন ব্যবস্থায় ভূমিহীন কৃষকদরে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্যই সমবায়ের বিকল্প ছিল না। বিচার ব্যবস্থাকেও মানুষের নিকটস্থ সীমানায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সে সময়ে তৎকালিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল, পাঁচজন সাংসদকে হত্যাও করা হয়েছিল। ভারতীয় হাইকমিশনারের বাসায়ও হামলা চালানো হয়েছিল। এ রকম আহূত অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য; মানুষরে মধ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বাকশালের কোন বিকল্প ছিল না।
১৯৭৫ সালের ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু বাকশাল সর্ম্পকে বলেন: “একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না, আমাদের দেশে প্রত্যেক বছর ৩০ লক্ষ লোক বাড়ে। আমার দেশের জায়গা হলো মাত্র ৫৫ হাজার বর্গমাইল। যদি আমাদের দেশে প্রত্যেক বছর ৩০ লক্ষ লোক বাড়ে তাহলে ২৫-৩০ বছরে বাংলায় কোন জমি থাকবে না চাষ করার জন্য। বাংলার মানুষ বাংলার মানুষের মাংস খাবে। সেজন্য আজকে আমাদের পপুলেশন কন্ট্রোল, ফ্যামিলি প্ল্যানিং করতে হবে। এটা হলো তিনি নম্বর কাজ। এক নম্বর হলো, দুর্নীতিবাজ খতম করুন, দুই নম্বর হলো কলকারখানায়, ক্ষতে-খামারে প্রোডাকশন বাড়ান, তিনি নম্বর পপুলেশন প্ল্যানিং আর চার নম্বর হলো, জাতীয় ঐক্য। জাতীয় ঐক্য গড়ার জন্য একদল গঠন করা হয়েছে। যাঁরা বাংলাদেশকে ভালবাসেন, এর আর্দশে বিশ্বাস করেন, চারটি রাষ্ট্রীয় (মূল) আদর্শ মানেন, সৎপথে চলেন, তাঁরা সকলেই এই জাতীয় দলের সদস্য হতে পারবেন। যাঁরা বিদেশী এজেণ্ট, যাঁরা বহিঃশত্রুর কাছ থেকে পয়সা নেন, এতে তাদের স্থান নেই। সরকারি কর্মচারিরা ও এই দলের সদস্য হতে পারবেন, কারণ তাঁরাও এই জাতির একটা অংশ। তাঁদেরও অধিকার থাকবে এই দলের সদস্য হওয়ার। এই জন্য সকলে যে যেখানে আছেন একতাবদ্ধ হয়ে কাজে লাগাতে হবে।” বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী মরহুম ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার লেখনীতে এ সব তথ্য উঠে এসেছে।
বাকশালের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধু একটি নতুন সমাজ গড়তে চেয়েছিলেন যার মাধ্যমে শোষণমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, স্বাবলম্বী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা পাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়। কিন্তু তাঁর চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করার পূর্বেই দেশি বিদেশী চক্র স্বাধীনতার পরাজয়কে সামনে এনে বঙ্গবন্ধুকে র্পূব পরিকল্পনায় সপরিবারে হত্যা করেন। ষড়যন্ত্র হোতারা বুঝতে পেরেছছিলেন বাকশালের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কোনভাবেই রদ করা যাবে না। তাই তারা সুকৌশল জেলাওয়ারী গভর্ণররা দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন র্পূবে বিশ্বের ইতিহাসে র্দুদমনীয় হত্যাকান্ডটি সংঘটিত করে থাকেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর থেকে সংসদে বাকশাল বা বঙ্গবন্ধুর চেতনার প্রতিনিধিত্ব আসার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়নি র্দীঘদিন। র্বতমানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত দল ক্ষমতায় রয়েছে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মুক্তচিন্তার কতটুকু বাস্তবায়িত হচ্ছে তা প্রশ্ন সাপেক্ষ বিষয়। কারণ, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন চলছে অপরাজনীতির খেলা। রাজনীতিতে টাকার প্রত্যক্ষ প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেক ক্রিমিনালকে রাজনীতিতে দেখা যাচ্ছে প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিবিদদের যোগসাজসে। বাংলাদেশকে র্দীঘমেয়াদী প্রকল্পের যে প্রস্তাবনী শেখ মুজিব এনেছছিলেন তার বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশে এখন উন্নয়নের শিখরে অবস্থান করতো। বিশিষজ্ঞরা অনেকেই বঙ্গবন্ধুর বাকশালের বিরোধিতা করেন অবশ্য ভিন্ন আঙ্গিকে।বিশিষ্ট কলামিষ্ট বাকশাল গঠনের প্রাকমূর্হুতে সম্পাদকীয় কলামে লিকেছিলেন “ক্লান্তি আমায় ক্ষমা কর প্রভু।” এর পর তিনি লন্ডনে ফিরে যান। তিনি যুক্তি দেখিয়েছিলেন: বঙ্গবন্ধুর উচিত ছিল স্বাধীনতার অব্যহতি পরেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা। কেননা, ১৯৭৫ সাল অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে কারণ, ততদিন স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশি বিদেশী চক্রে নিজেদের একত্রিত করেছিল দেশবিরোধী চক্রান্তে।
বঙ্গবন্ধু যদি স্বাধীনতার পরপরই বাকশাল করতেন সমাজতন্ত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে তাহলে দেশের ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি হাজার হাজার আওয়ামীলীগ নেতা হত্যাকান্ড ঘটত না, জাসদের সৃষ্টি হতো না নিঃসন্দহে। রাজনীতিতে মেরেকরণের সুযোগ থাকত না, যুদ্ধের পরে অনেকেই চাওয়া পাওয়ার হিসাবে মেলাতে না পেরে আন্ডারওর্য়াল্ডে চলে যায়। দেশব্যাপী অরাজকতা সৃষ্টির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বকে প্রশ্নের সামনে নিয়ে আসে এ গ্রুপগুলো। ১৯৭৪ সালের দেশব্যাপী সংকটের জন্য দেশ বিরোধীরা জড়িত ছিল, পাশাপাশি আন্ডারওর্য়াল্ডে চলে যাওয়া দলগুলোও এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছিল।বিদেশী শত্রু বিশেষ করে আমেরিকান এজেন্টরা কৃত্রিম পদ্ধতিতে সংকট তৈরি করেছিলেন। মনুষ্য কর্তৃক সৃষ্ট দুর্ভক্ষে বিদেশী চক্রান্তকারীরা প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছিলো। সার্বিক দৃষ্টিকোণ বিবেচনায় বলা যায়, বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত বাকশাল ছিল দেশের জন্য, দেশের মানুষের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য। বাকশাল সম্বন্ধে নতেবিাচক ধারণা পোষণ করাই অমূলক কেননা এ বিশেষ প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন হওয়ার পূর্বেই স্বপ্নদ্রষ্টাকে পৃথিবীর বুক থেকে ঘাতক দল নির্মমভাবে হত্যা করে সরিয়ে দেয়।