জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে একটি নদীর নাম ভিন্ন ভিন্ন ৭টি নাম ব্যবহার করা হয়েছে।
এক নদীর সাত নাম! বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে অনেকবার উল্লিখিত হয়েছে ‘মধুমতী’। এছাড়া আরও অন্তত চারটি নাম রয়েছে নদীটির। প্রথম থেকে বলি- কুষ্টিয়া অঞ্চলে গঙ্গা থেকে উৎপত্তিকালে এর নাম গড়াই, তারপর বৃহত্তর ফরিদপুরে এর নাম মধুমতী। বাগেরহাটে এর নাম কালীগঙ্গা, আরও ভাটিতে গিয়ে বলেশ্বর, তারও ভাটিতে সুন্দরবন পেরিয়ে মোহনায় এর নাম হরিণঘাটা।
এছাড়া আরও দুটো নাম পেতে পারে নদীটি। প্রথমটি ‘কচা’। পিরোজপুরে প্রবেশের মুখে কালীগঙ্গা নদী বলেশ্বর ও কচা নামে বিভক্ত হয়ে পরে আবার মিলিত হয়ে বলেশ্বর নামেই প্রবাহিত।
দ্বিতীয় নামটির জন্য আমাদের ফিরে যেতে হবে বঙ্গবন্ধুর কাছেই। তাকে নিয়ে লেখা অন্নদাশঙ্কর রায়ের অমর কবিতাটির ‘গৌরী’ আসলে গড়াইয়ের প্রাচীন নাম। প্রসঙ্গত, পূরাণমতে দুর্গা বা পার্বতীর আরেক নাম গৌরী। ‘গঙ্গা’ আবার পার্বতীর বোন। তার মানে, গঙ্গা ও গৌরী দুই বোন। সহোদরা দুই নদীর উপযুক্ত নাম বটে!
অন্নদাশঙ্কর রায়ের কবিতায় বঙ্গবন্ধুর মহিমা কীর্তনে চারটি নদীর উল্লেখ করা হয়েছে। অনেকের উচ্চারণ ও অনেক ক্ষেত্রেই নাম চারটির পরম্পরা মূলানুগ হয় না, আগ-পিছ হয়ে যায়। আগ্রহীরা মিলিয়ে নিতে পারেন কবিতাটির মূল্যভাষ্যের সঙ্গে- ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান/ ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান’।