বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক কালজয়ী অধ্যায়। এই দেশ ও এই ভূ-খন্ড যতদিন থাকবে, পদ্মা-মেঘনা-যমুনায় যতদিন স্রোতধারা বহমান থাকবে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারিত হবে এর সর্বত্রই। বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এক অবিচ্ছেদ অধ্যায়। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থান চিত্রায়িত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর কারণেই। বিশ্বসভায় বাঙালি জাতির সগর্ব উপস্থিতিই স্মরণ করিয়ে দেয় বঙ্গবন্ধুকে। মানবাধিকারের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অঙ্গীকার ছিল অবিচল। তিনি জীবনের অধিকাংশ দিনগুলো কাটিঁয়েছেন আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে।
১৬ জুন ১৯৪৯ঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় শেখ মুজিব সহ আটক ১২ ছাত্রের আইনগত অবস্থান নিয়ে এদিন ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের ডিআইজির কাছে রিপোর্ট করলেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা। এর প্রেক্ষিতে ডিআইজি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব বরাবর লেখা চিঠিতে জানালেন- শেখ মুজিবকে আটক রাখার ক্ষেত্রে যথাযথ কারণ আমাদের হাতে নেই। এ কারণে মুজিবকে (সাবজেক্ট) বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সময় মুক্তি দেয়া যেতে পারে।
১৬ জুন ১৯৫১ঃ
এদিন নিরাপত্তা বন্দি শেখ মুজিবের মামলা সংক্রান্ত কাগজাদি ফরিদপুর ও খুলনা জেল থেকে সংগ্রহ করে তা এডভোকেট জেনারেলের সহকারির কাছে পৌছে দেয় ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ।
১৬ জুন ১৯৫৪ঃ
কারাগারে বন্দি শেখ মুজিবের সঙ্গে ৩ সন্তানসহ দেখা করতে চেয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করলেন বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থানরত নিরাপত্তা বন্দি শেখ মুজিবুর রহমানকে এদিন যথাযথ প্রহরায় ইবিডি ৩২৬১ প্রিজন ভ্যান যোগে আদালতে নেয়া হয়। আইনজীবী জহিরুদ্দীন আহমেদের সঙ্গে আলোচনা করলেন তিনি। আদালতের কার্যক্রম শেষে ১৮-২০ নাগাদ তাঁকে কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়। মামলার পরবর্তী তারিখ ১৪ জুলাই।
১৬ জুন ১৯৭৩ঃ
বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও পেশা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য আসন সংরক্ষিত থাকবে বলে নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।