১৫ জুন; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যিনি না থাকলে আমাদের দেশে স্বাধীনতার সূর্যোদয় কবে, কিভাবে হতো আমরা জানি না। কোনো পূর্বনির্ধারিত দিন-তারিখের নিশ্চয়তায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা আসেনি। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমারসহ আরো অনেক দেশের মতো সুচিন্তিত নকশার জাতীয় পতাকার উত্তোলন আর সামরিক বাহিনীর চৌকস কুচকাওয়াজের আনুষ্ঠানিক পরিবেশে বাংলাদেশে স্বাধীনতার সূর্যোদয় ঘটেনি। আমাদের স্বাধীনতা এসেছিল একটি রক্তগঙ্গা পেরিয়ে অযুত সংগ্রামীর চরম আত্মত্যাগের মাধ্যমে যার নেতৃত্বে দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ অভিন্ন সূত্রে প্রথিত। বঙ্গবন্ধু না জন্মালে বাংলাদেশ নামের কোনো দেশ হতো কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তিনি ছিলেন জাতীয় জাগরণের তুর্যবাদক। জাতিকে উজ্জীবিত ও প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান বলতে গেলে একক। তিনি ভাষাভিত্তিক ও জাতিভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে আমাদের অশেষ ঋণে আবদ্ধ করে গেছেন। তাঁর জীবনের প্রতিটি দিনই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। যেমনটি....
১৫ জুন ১৯৫৮ঃ

 নেত্রকোনায় সোহরাওয়ার্দীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত জনসভায় আওয়ামীলীগের সাফল্য তুলে ধরলেন শেখ মুজিব। মুসলিমলীগ, জামায়াতে ইসলামী, খান আব্দুল কাইয়ুম ও ইস্কান্দার মির্জার সমালোচনা করলেন তিনি। শেখ মুজিব বললেন- পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের আজকের এই দুর্দশার জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার আর প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জা হচ্ছেন মীর জাফরের বংশধর। 

১৫ জুন ১৯৬৪ঃ
কিশোরগঞ্জের এক জনসভায় শেখ মুজিব বললেন- যে সকল কৃষকের ২৫ বিঘার কম জমি রহিয়াছে তাহাদেরকে ২৫ বৎসর কর প্রদান হইতে অব্যাহতি দান করিতে হইবে। তিনি বলেন- বাজেটে যেখানে বড় বড় শিল্পপতিদের ৫ বৎসরের স্থলে ১০ বৎসর পর্যন্ত ট্যাক্স হইতে অব্যাহতি দান করা হইয়াছে, সেখানে ঋণ জর্জরিত গরীব কৃষকদের কর মওকুফ সম্ভব হইবে না কেন? 

১৫ জুন ১৯৭৩ঃ
জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরকালে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বললেন- পাকিস্তান আমলে সামরিক শাসক কর্তৃক অন্যায়ভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়াকেই কোনো সরকারি কর্মচারীর দেশপ্রেমের মাপকাঠি ধরে নেয়া যায় না বা এ দিয়ে তার দেশপ্রেমও যাচাই করা যায় না। বঙ্গবন্ধু বলেন- স্ক্রিনিং বোর্ডের কাছে আবেদনের জন্য সবাইকে সুযোগ দেয়া হয়েছিল। তবে যারা আবেদন করেছেন এবং যাদের ব্যাপারে তদন্ত করে কিছু পাওয়া যায়নি তাদের সরকারের বিভিন্ন বিভাগে পুনর্নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
 
১৫ জুন ১৯৭৪ঃ
৫ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সস্ত্রীক ঢাকা এলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরি। বিমান বন্দরে তাঁদের স্বাগত জানালেন রাষ্ট্রপতি মুহম্মদুল্লাহ এবং প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। রাতে রাষ্ট্রীয় ভোজসভায় ভি ভি গিরি বলেন- ভারতে বঙ্গবন্ধুকে বীরত্বপূর্ণ স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক বলে গণ্য করা হয়। 

SUMMARY

2734-২.jpg