শ্মশান বাংলাকে আমরা সোনার বাংলা করে গড়ে তুলতে চাই। যে বাংলায় আগামীদিনের মায়েরা হাসবে, শিশুরা খেলবে। আমরা শোষণমুক্ত সমাজ গড়ে তুলব। ক্ষেত-খামার কলকারখানায় দেশ গড়ার আন্দোলন গড়ে তুলুন। কাজের মাধ্যমে দেশকে নতুন করে গড়া যায়। আসুন সকলে মিলে সমবেতভাবে আমরা চেষ্টা করি যাতে সোনার বাংলা আবার হাসে, সোনার বাংলাকে আমরা নতুন করে গড়ে তুলতে পারি। (বঙ্গবন্ধুর বেতার ও টেলিভিশন ভাষণ, ২৬ মার্চ ১৯৭২)
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। অসামান্য নেতৃত্ব, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, মেধা-মমত্ববোধ, সততা এবং দেশপ্রেমের প্রজ্জ্বলিত এক অগ্নিশিখা। যার উত্তাপ এখনো চিরন্তন। মৃত্যুকে পরোয়া না করে তিনি গোটা বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন। এনে দিয়েছিলেন এক নতুন সূর্যোদয়। তিনি ছিলেন এক মহৎ মানবিক প্রাণ, ছিলেন প্রকৃত বীর। যাঁর সরল, দৃঢ়, সাহসী মুখচ্ছবি দেখলেই যেন পুরো বাংলাদেশকে দেখা যায়। তাই তিনি চিরঞ্জীব, অবিনশ্বর। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও তাঁর সংগ্রাম থেকে জানতে পেরেছি যে তিনি ছিলেন সাধারণ মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু। বাঙালির আর্থ-সামাজিক মুক্তির জন্যে তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল জীবন থেকে.....
১৪ জুন ১৯৫২ঃ
লাহোরে সাংবাদিক সম্মেলনে পূর্ব পাকিস্তানের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে গণ্য করার দাবি জানালেন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিব। তিনি বললেন- নিরাপত্তা আইন অনুসারে বিভিন্ন বিরোধী দলের প্রায় এক হাজার নেতা ও কর্মীকে আটক করা হয়েছে। আটক বন্দিদের মুক্তি দিয়ে ব্যক্তি স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার না করলে পূর্ব পাকিস্তানের অবস্থা বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।
১৪ জুন ১৯৭৩ঃ
স্বাধীন বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রথম বাজেট। শিক্ষাখাতে সর্বাধিক বরাদ্দ এবং মোটা কাপড়ের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করে ১৯৭৩-৭৪ অর্থবছরের জন্য ৫২৫ কোটি টাকার উন্নয়ন ও পুনর্গঠন বাজেট ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ।
১৪ জুন ১৯৭৫ঃ
রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় দেশের প্রথম উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু বললেন- আজ থেকে বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর আরও নিকট প্রতিবেশী হওয়ায় গৌরব অর্জন করতে চলেছে। বিপুল হর্ষধ্বনি ও মুহূমুর্হূ করতালির মধ্যে রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু বললেন- এই ভূ-কেন্দ্রের মাধ্যমে জাপান থেকে যুক্তরাজ্য পর্যন্ত বির্স্তীন এলাকার মধ্যে টেলিফোন, টেলিগ্রাফ, ও টেলেক্স বার্তায় সরাসরি আদান প্রদানের বিস্তৃত সুযোগ সৃষ্টি হবে।