প্রতিটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে থাকে অনেক আত্মত্যাগের ইতিহাস। স্বাধীনতার জন্য রক্ত, জীবন, সম্ভ্রম দিতে হয়। তবে তার আগে প্রয়োজন ছিল সঠিক নেতৃত্বদানের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষকে নির্দিষ্ট দাবিতে সংগঠিত করার। আর দেশের মানুষকে সেই নেতৃত্বই দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর জীবনী পাঠ করলে জানা যায়, তিনি জন্মই নিয়েছিলেন জীবনটা মানুষের তরে বিলিয়ে দেওয়ার জন্য। সারাটা জীবন পথ হাঁটলেন সাধারণ মানুষের চলার পথ মসৃণ করতে। কী পরম মমতায় মানুষকে বুকে টেনে নিতেন, তা ভাষায় প্রকাশ করা দুঃসাধ্য।জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান জানতেন আন্দোলন কীভাবে করতে হয়। ১৯৬৬ সাল থেকে ৭০, তারপর একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ সবই তাঁর পরিকল্পনার ফসল। তাঁর তীক্ষ্ণ রাজনৈতিক মেধা ও অসাধারণ, অপ্রতিরোধ্য, প্রগতিশীল নেতৃত্বে বাঙালী স্বাধীনতা অর্জন করে, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। সেই বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের কিছু ঘটনা-
১০ জুন ১৯৬৬ঃ
কারাগারে বসে শেখ মুজিব লিখছেন- পাকিস্তান কায়েম হওয়ার পরেই ১৯৪৮-এ যখন আমাকে বাংলা ভাষা আন্দোলনের সময় গ্রেপ্তার করল, আবার ১৯৪৯ সালে গ্রেপ্তার করে ১৯৫২ সালে ছাড়ল, তখন আমার মা আমাকে জিজ্ঞাসা করল,- বাবা, তুইতো পাকিস্তান পাকিস্তান করে চিৎকার করেছিস, কত টাকা নিয়ে খরচ করেছিস -এদেশের মানুষতো তোর কাছ থেকেই পাকিস্তানের নাম শুনেছিল, আজ তোকেই সেই পাকিস্তানের জেলে কেন নেয়? বলতে পারেন আমার এই গ্রাম্য মা র কথার কি জবাব দিব?
১০ জুন ১৯৭৩ঃ
ভুয়া ব্যবসায়ী, ভুয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ভুয়া শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাণিজ্য দফতরের প্রতি পৃথক পৃথক নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১০ জুন ১৯৭৪ঃ
বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগে স্বস্তি পরিষদে বাংলাদেশে জাতিসংঘভুক্তির সর্বসম্মত সুপারিশ। সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর ও পল্লী প্রকল্পের জন্য ২৫ হাজার টাকা দান করেন বঙ্গবন্ধু। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক তহবিল থেকে- এ অর্থ প্রদান করা হয়।
১০ জুন ১৯৭৫ঃ
জাতীয় ছাত্রলীগের কমিটির উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু বলেন- দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানই হবে প্রথম কাজ। ঐক্য ও শৃঙ্খলার সাথে জাতির সেবা করার আহবান।