তরুণ শিক্ষক হত্যাকাণ্ড তদন্তে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ

উদিসা ইসলাম

অধ্যাপক হুমায়ুন কবিরের মৃত্যুর তদন্তে বিশেষ নির্দেশ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশ অপরাধ বিষয়ক গোয়েন্দা পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্টের কাছে হত্যা মামলার তদন্তের ভার দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। ১৯৭২ সালের ১০ জুনের পূর্বদেশ পত্রিকায় এই নির্দেশ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এর আগে ৬ জুন রাতে আততায়ীর গুলিতে রহস্যজনকভাবে খুন হন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের কনিষ্ঠ লেকচারার হুমায়ুন কবির। সেদিন ছিল মঙ্গলবার। রাত ৯টায় ইন্দিরা রোডের বাড়ি থেকে আততায়ীরা তাকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে নাগরিক সমাজ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

এদিকে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ এক বিবৃতিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন। বিবৃতিতে বলা হয়, বেশ কয়েকটি স্থানে গুপ্তহত্যার উদ্বেগজনক ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার শিকার হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনৈতিক কর্মীসহ অনেকে। তিনি সংগঠনের পক্ষ থেকে এ জাতীয় মর্মান্তিক খুনের তীব্র নিন্দা জানান। জনগণের মধ্যে যে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে তার জন্য গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতাকামী প্রগতিশীল প্রতিটি মানুষ, সংগঠন ও দেশপ্রেমিক নাগরিকসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। আমি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কোনও কালবিলম্ব না করে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীকে সক্রিয় করে তুলুন। গুপ্তহত্যা বন্ধ করুন, জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।’

  
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কোরবান আলীর সাম্প্রতিক ভারত সফরের সময় তাকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করতে দেখা যাচ্ছে বলে ক্যাপশন সম্বলিত একটি ছবি এইদিন প্রকাশ করে দৈনিক পূর্বদেশ।

ভারত-বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের যুক্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক সহযোগিতা কর্মসূচি তৈরির বিষয়ে আলাপ হয়। স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদের ভিত্তিতে অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য একটি কর্মসূচি গঠনের উদ্দেশে ভারত ও বাংলাদেশের পরিকল্পনা কমিশনের পরিকল্পনামন্ত্রীরা বৈঠকে মিলিত হন। একটি সুপরিকল্পিত বৈঠকে মিলিত হয়ে বিস্তৃত আলোচনার মাধ্যমে তারা কাজটি এগিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দেন। বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা কমিশনের পক্ষ থেকে তাজউদ্দীন আহমেদ এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেন। পরিকল্পনা কমিশনের যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় তাতে ভারতীয় পরিকল্পনা কমিশনের পক্ষে বলা হয়, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে যে সহযোগিতা চুক্তি হয় তার ভিত্তিতে এই বৈঠকে তারা বাস্তবায়ন বিষয়ে আলাপটাকেই প্রধান হিসেবে রেখেছেন।

তাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘দুদেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য যে পরিকল্পনা করা হয়েছে তা বাস্তবসম্মত এবং দুই দেশের জনগণ এই সুফল ভোগ করবেন।’

সফরকালে বাংলাদেশের অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং রাজনৈতিক অর্থনৈতিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বলে পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়।

সুত্র: বাংলা ট্রিবিউন, প্রকাশিত : জুন ০৯, ২০২০ 

SUMMARY

2723-2.jpg