ডা. এস এ মালেক
১৯৭০-এর নির্বাচনে পূর্ববাংলায় ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসনে বিজয়ী হয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলার জনগণের একছত্র মুখপাত্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ওই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনি গোটা বিশ্বকে জানিয়ে দেন, পূর্ব বাংলার জনগণ তার পেছনে রয়েছে। তারা তাকে সর্বাত্মকভাবে সমর্থন করে। তাই পাকিস্তানি শাষকরা যখন জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ডেকে তা বাতিল করে তখন অতি স্বাভাবিক কারণেই তিনি পাক সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে পূর্ববাংলা গর্জে ওঠে। শুরু হয় প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ। বঙ্গবন্ধু তখন অত্যন্ত ধীরস্থিরভাবে বাংলার জনগণকে পাকিস্তান সরকারকে অগ্রাহ্য করবার আহ্বান জানান। স্বায়ত্তশাসনের দাবি তিনি যে ২৩ বছর ধরে করে আসছিলেন, নিজেই সেই পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন স্বাধিকার প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি ট্যাক্স খাজনা বন্ধ করবার নির্দেশ দেন। তিনি এমন কিছু নির্দেশনামা জারি করেন যা প্রকৃতপক্ষে প্রশাসনিক নির্দেশ বলে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রচার মাধ্যমের কর্মীদের তিনি নির্দেশ দেন, তার কথাবার্তা যদি প্রচার না করা হয় তাহলে বাঙালি কর্মচারীরা যেন প্রচারকার্যে যোগদান না করে। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে প্রধান বিচারপতির কা
১৯৭০-এর নির্বাচনে পূর্ববাংলায় ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসনে বিজয়ী হয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলার জনগণের একছত্র মুখপাত্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ওই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনি গোটা বিশ্বকে জানিয়ে দেন, পূর্ব বাংলার জনগণ তার পেছনে রয়েছে। তারা তাকে সর্বাত্মকভাবে সমর্থন করে। তাই পাকিস্তানি শাষকরা যখন জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ডেকে তা বাতিল করে তখন অতি স্বাভাবিক কারণেই তিনি পাক সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে পূর্ববাংলা গর্জে ওঠে। শুরু হয় প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ। বঙ্গবন্ধু তখন অত্যন্ত ধীরস্থিরভাবে বাংলার জনগণকে পাকিস্তান সরকারকে অগ্রাহ্য করবার আহ্বান জানান। স্বায়ত্তশাসনের দাবি তিনি যে ২৩ বছর ধরে করে আসছিলেন, নিজেই সেই পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন স্বাধিকার প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি ট্যাক্স খাজনা বন্ধ করবার নির্দেশ দেন। তিনি এমন কিছু নির্দেশনামা জারি করেন যা প্রকৃতপক্ষে প্রশাসনিক নির্দেশ বলে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রচার মাধ্যমের কর্মীদের তিনি নির্দেশ দেন, তার কথাবার্তা যদি প্রচার না করা হয় তাহলে বাঙালি কর্মচারীরা যেন প্রচারকার্যে যোগদান না করে। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে প্রধান বিচারপতির কার্যালয় পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় প্রশাসন স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা, বেসরকারি কর্মকাণ্ড, সব কিছুই তার নির্দেশে পরিচালিত হতে থাকে। একমাত্র ক্যান্টনমেন্ট ছাড়া আর কোথাও পাকিস্তানের পতাকা পরিদৃষ্ট হয় না। যে কারণে পাকিস্তানের একজন নেতা আজগর খান তখন পূর্ব বাংলা সফর করে বলতে বাধ্য হয়েছিলেন, ‘একমাত্র মুজিব ছাড়া আর কারো পক্ষে পাকিস্তান রক্ষা করা সম্ভব নয়।’ বঙ্গবন্ধুর ওই অসহযোগ আন্দোলন ছিল বিশ্বের রাজনৈতিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে এক বিস্ময়কর ঘটনা। একটা দেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বেই জনগণের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করে তিনি জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ফলে বিশ্বব্যাপী এটা প্রতিষ্ঠিত হলো, পূর্ব বাংলা শাসন করার অধিকার পাকিস্তান সরকারের নেই। প্রকৃতপক্ষে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয় ৩ তারিখ থেকে। মাত্র চার দিন পর ৭ মার্চ। তিনি তার ঐতিহাসিক ভাষণে অসহযোগ আন্দোলনের করণীয়, দায়িত্ব ও লক্ষ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ঘোষণা দেন। অনেকেই প্রত্যাশা করেছিল যে, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেবেন। কিন্তু একজন অসাধারণ প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিয়ে, নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান। একই সময় এমন সব নির্দেশনামা ঘোষণা করেন যা একটা গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় শর্ত বলে বিবেচিত হয়।
অসহযোগ আন্দোলনের কথা বলা হলেও হানাদার বাহিনীকে সম্পূর্ণ ক্যান্টনমেন্টে অবরুদ্ধ রেখে ভাতে ও পানিতে মারার নির্দেশ দেয়া হয়। তিনি ওই ভাষণে বলেছিলেন, ‘যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করার কথা। ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার আহ্বান, প্রতিটি মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গঠন। চিরতরে রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ। আমরা যখন মরতে শিখেছি, কেউ আমাদের দাবায়া রাখতে পারবে না। রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দিব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশেআল্লাহ।’ সর্ব শেষ তার এই ঘোষণা ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এরপর আর স্বাধীনতা ঘোষণার কি বাকি ছিল? তবে এ কথা ঠিক বিচ্ছিন্নতাবাদের অভিযোগ পাকিস্তান সরকার যাতে তার বিরুদ্ধে উত্থাপন করতে না পারে তিনি সুকৌশলে তার ভাষণে তা নিশ্চিত করেছিলেন।
আমরা অনেক অহযোগ আন্দোলনের কথা শুনেছি এই উপমাহাদেশে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে এক সময়ে মহাত্মা গান্ধী অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। সে আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল ভারতের স্বাধীনতা। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি একটা জনগোষ্ঠীর মুক্তির লক্ষ্যে যা কিছু প্রয়োজন তিনি তাই ওই অসহযোগ আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট করেছিলেন। এই জন্য বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলন সর্বাত্মক আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়। বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে বাঙালি সামরিক অফিসার, পুলিশ, ইপিআর, আনসার ও জননেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে এই অসহযোগ আন্দোলন জনযুদ্ধে রূপান্তর হয়ে যায়। যারা বলেন, মেজর জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ঘোষণা দেয়ার পরই নাকি যুদ্ধ ঘোষণা শুরু হয়। আসলে ৭ মার্চের ভাষণের পর বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সত্যিকার অর্থে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, অবরোধ ও আন্দোলন শুরু হয়ে যায়। তবুও বঙ্গবন্ধু এক চরম মুহ‚র্ত পর্যন্ত স্বাধীনতার ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ ছিলেন। ২৫ মার্চ রাতে হানদার বাহিনী বাংলার জনগণের বিরুদ্ধে অক্রমণ শুরু করার পরপরই তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। অর্থাৎ ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। অসহযোগ আন্দোলন আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক অধ্যায়। এই আন্দোলনের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধু একটা নিরস্ত জাতিকে সশস্ত্র করে তুলেছিলেন।
যারা যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে এই নির্দেশ পাওয়া মাত্র আমার তখন গোয়ালন্দ রাজবাড়ীতে ৩৭৬টি সিভিল গান একত্রিত করে মোটামুটি একটা অস্ত্রাগার তৈরি করতে সক্ষম হই। শুরু হয় আর্ম ট্রেনিং। তখন মানুষের আর বুঝতে বাকি ছিল না, সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করতে হবে। কিছু সংখ্যক নির্বোধ দালাল চরিত্রের মানুষ যারা তখনো প্রচার চালাচ্ছিল পাকিস্তানের সঙ্গে একটা আপস হয়ে যাবে। কিন্তু সত্যিকারে দেশপ্রেমিক যুবশক্তি বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে দেশে যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছিল। আর যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছিল বলেই ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরিচাঘাট হয়ে পাক আর্মি ফরিদপুরে ঢুকতে পারেনি। তিন তিনবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। কুষ্টিয়ায় যুদ্ধ হয়েছে এবং হানাদার বাহিনী চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে। এরূপ সংঘাত বাংলাদেশের অনেক স্থানে বাঙালি সামরিক অফিসার ও জনগণের সমন্বয়ে সংঘটিত হয়েছে। আর মুজিব নগর সরকার গঠিত হওয়ার পূর্বে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে এ সব যুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকেই আমি গোয়ালন্দ ও কুষ্টিয়ার যুদ্ধের কথা উল্লেখ করলাম।
এরূপ যুদ্ধ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে জনগণ মার্চ মাসেই শুরু করে দিয়েছিল। এমন কিছু স্থান ছিল যেখানে ৯ মাস যুদ্ধ চলাকালে হানাদার বাহিনী গিয়ে প্রতিরোধের মুখে প্রবেশ করতে পারেনি। পরাজিত হয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে। উদাহরণ বোয়ালমারি, ফরিদপুরের ওরাকান্দা ঠাকুরবাড়ি সংগলœ এক বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রায় ৯ মাস ধরে এসব এলাকা স্বাধীন ছিল। যে কারণে দেশ স্বাধীন হওয়ার এক সপ্তাহ পূর্বে গোপালগঞ্জ মহাকুমা স্বাধীন করা সম্ভব হয়েছিল। মুজিবনগর সরকার গঠন করে প্রথম ব্যাচ মুক্তিবাহিনীর ট্রেনিং দিয়ে ভেতরে পাঠাতে বেশ কিছু সময় লেগেছিল। তখন কিন্তু অনেক স্থানে মুক্তিযুদ্ধ চলছিল। কাদেরিয়া বাহিনী, হেমায়েত বাহিনী, ওমর বাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনী কোথাও সামারিক আফিসার, কোথাও পুলিশ, কোথাও সিভিলিয়ানের নেতৃত্বে যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছিল। হানাদার বাহিনীকে ২১ এপ্রিল গোয়ালনন্দে নামতে আড়াই ঘণ্টা সরাসরি সম্মুখযুদ্ধ করতে হয়েছিল। গোয়ালন্দ থেকে মোমেন হাট পর্যন্ত এই তিন কিলোমিটার ব্যাপী তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধারা যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল ২১ এপ্রিল পর্যন্ত তা হানাদার বাহিনী ভাঙতে সক্ষম হয়নি। একইভাবে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুজিব নগর সরকার গঠন হওয়ার পূর্বে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে একাধিক যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল।
যারা বলে থাকেন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি তারা কি ভুলে গেছেন ৭ মার্চের ভাষণের কথা? ২৬ মার্চের ঘোষণা ছিল তো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। অসহযোগ আন্দোলন পর্যায়ে তো বঙ্গবন্ধু হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করার আহ্বান জানিয়েছিল সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ তো তখনই শুরু হয়েছিল। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি রচনায় যেমন ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন ’৬৬-এর ৬ দফা আন্দোলন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ও ’৬৯ গণঅভ্যুত্থান ও ’৭০-এর বিশেষ নির্বাচন অবদান রেখেছিল। একইভাবে মার্চের অসহযোগ আন্দোলন আমাদের মুক্তি সংগ্রামের গতি ও প্রকৃতি এক অমূল পরিবর্র্তন আনে। শুধু ভোটের অধিকার প্রয়োগ করে আমরা যে সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হব না, বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনায় ওই উপলব্ধিতে আমরা পৌঁছে যাই। সে কারণেই ট্রেনিংপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশে ঢুকার পূর্বেই দেশের বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু হয়ে যায়। এটা পরিতাপের বিষয়, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনায় এই সব ঘটনার তথ্যভিত্তিক সঠিক উল্লেখ নেই।
আসলে ভোটের অধিকার বলে একটা স্বাধীন দেশের জন্মের পূর্বেই সে দেশ শাসন কবার কৃতিত্ব বোধহয় একমাত্র বঙ্গবন্ধুরই ছিল। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ প্রমাণ করেছে যে, গণতন্ত্রের আশা-আকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন করতে শুধু গণতান্ত্রিক পদ্ধতি যথেষ্ট নয়। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অনেক সময় সশস্ত্র সংগ্রামের প্রয়োজন পড়ে। বিশেষ করে প্রতিপক্ষ যদি সশস্ত্র সংগ্রাম পরিচালনা করে তাহলে শুধুমাত্র গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তা মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। এই অভিজ্ঞতার অলোকেই বর্তমান সংকট সমাধানের পথ নির্ধারিত করা প্রয়োজন। প্রতিপক্ষ যখন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মাধ্যমে আমাদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে তখন শান্তির মহান বাণী তা কি প্রতিরোধ করতে সক্ষম? বাংলাদেশ আজ যে বাস্তবতার সম্মুখীন তা বিবেচনায় নিয়েই কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করা প্রয়োজন। এমন কিছু লোক আছেন যারা দেশের এই বাস্তবতাকে অগ্রাহ্য করে শুধু মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে চলেছেন। প্রতিপক্ষের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী তৎপরতা সম্পর্কে তারা নীরব কেন? হ
ডা. এস এ মালেক : গবেষক, লেখক।