বঙ্গবন্ধুর যাপিত জীবনের সময়কাল ছিল মাত্র পঞ্চান্ন বছরের, যা সময়ের বিচারে সংক্ষিপ্তই বলা যায়। কিন্তু জীবনের র্দৈঘ্যের চেয়ে তাঁর কর্মের প্রস্থ ছিল অনেক বেশি- অর্থাৎ জীবনের চেয়ে বড়। জীবনে একজন মানুষের কর্মের ব্যাপ্তি ও গভীরতা জীবনধারী মানুষের মেধা-মনন, প্রণোদনা ও উদ্যোগ-উদ্যমের ওপর নির্ভরশীল। এমন মানুষই ছিলেন বঙ্গবন্ধু। কাজেই দৈর্ঘ্য দিয়ে নয়, তাঁর জীবনকে মাপতে হবে তাঁর কর্মের পরিধি ও গভীরতা দিয়ে। সন্দেহ নেই, কেন তিনি বিবিসি জরিপে কুড়িজন শ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায় শ্রেষ্ঠতম হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠতম হওয়ার কারণ ছিল এই যে, তিনি বাঙালির স্বাধীনতা ও রাষ্ট্র নির্মাণের কারিগর ছিলেন। উল্লেখ্য, স্বাধীনতা ও রাষ্ট্র বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এমন মানুষ যে তাঁর যাপিত জীবনের চেয়ে বড় হবেন, তা স্বীকার্য। বঙ্গবন্ধুর যাপিত দিনগুলো থেকে অনেক কিছুই জানার ও শেখার আছে। তাই,আজকের দিনটিতে বাঙালির মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসের পাতা থেকে বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিশেষ কিছু ঘটনা উল্লেখ করা হল,
১০ মে ১৯৪৯:
পূর্ববঙ্গের গোয়েন্দা বিভাগ থেকে এদিন পুলিশ কমিশনারের কাছে ফরিদপুরের গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার শেখ লুৎফর রহমানের পুত্র এবং ১৫০ মোগলটুলী ঢাকার শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে নানা বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন পাঠালেন।
১০ মে ১৯৫১:
ফরিদপুরের গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ সুপারের কাছ থেকে গোপন একটি বার্তা গেল ঢাকার ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে। বার্তায় জানানো হলো, নিরাপত্তা বন্দি শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে মওলানা ভাসানী একটি চিঠি পাঠিয়েছেন, যেখানে সাধারন কথার বাইরেও বাড়তি কিছু আছে।
১০ মে ১৯৬৪:
সিরাজগঞ্জের বিরাট জনসভায় আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক, স্বল্প পরিমাণ জমির মালিকদের ২৫ বছরের কর মওকুফের দাবি জানালেন। যাদের ২৫ বিঘা জমি রয়েছে তাদের জন্য ২৫ বছরের কর মওকুফের দাবি জানালেন।
১০ মে ১৯৭০:
ঢাকার বংশালে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় ব্রিটিশ সরকারের ২০০(দুইশত) বছর এবং পাকিস্তানিদের ২২ বছরের বাঙালি নির্যাতনের ইতিহাস তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু বললেন- পরিপূর্ণ স্বায়ত্তশাসনে বাংলার সম্পদ বাঙালিরাই ভোগ করবে। ভোটের দ্বারা করতে না দেওয়া হলে , সংগ্রামের মাধ্যমেই দাবি আদায় করা হবে।
১০ মে ১৯৭২:
বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের সদস্যপদ লাভ করে।
১০ মে ১৯৭৫:
জাতীয় সংসদ সদস্যদের সম্পদের বিবরণী পেশ করার জন্য মে‘ ৭৫ পর্যন্ত সময় বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিলো বঙ্গবন্ধু সরকার।