৯মে: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্থপতি। তাঁর এই বিশেষণটি নিছক বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনকে সংগঠিত করা, নেতৃত্ব দেওয়া এবং একটি রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। মুক্তিযুদ্ধে সারা দেশে পাকিস্তানি বাহিনীর চালানো নৃশংস হত্যাযজ্ঞ ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের পর জনসাধারণের কাছে জরুরি মানবিক সাহায্য পৌছানো, ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামো পুনর্নিমাণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটানোর পাশাপাশি একটি স্বাধীন দেশের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ, আইন প্রণয়ন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজটিও তিনি করেছেন। সারা বিশ্বে বাংলাদেশের স্বীকৃতির সাথে একটি মর্যাদাবান জাতি হিসেবে পরিচিত করার কৃতিত্বটিও তাঁর প্রাপ্য। তাই বাংলাদেশের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর যাপিত জীবনের দিনগুলি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ধরা যায়। আর সেই দিনগুলি থেকে; 
৯ মে ১৯৪৯:
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত শেখ মুজিবের রাজনৈতিক কর্মকান্ডভিত্তিক প্রতিবেদন আইজিপির কাছে পাঠালেন গোয়েন্দা ইন্টেলিজেন্স বিভাগের ডিআইজি। প্রতিবেদনে বলা হলো, খুলনায় বিভিন্ন জেলা থেকে জড়ো হওয়া, ধান কাটতে আসা শ্রমিকদের দাবির সমর্থনে বিক্ষোভে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বাংলোর সামনে বক্তব্য দেন শেখ মুজিব। খাদ্য সংকট, জমিদারি প্রথার বিলোপ, বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষার প্রবর্তন, দেশের প্রতিরক্ষার জন্য সামরিক ও অস্ত্রের যোগান ইত্যাদি বিষয়ে তিনি পূর্ববঙ্গের ছাত্রদের বিক্ষুব্ধ করে তুলেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচরবর্গের দাবির প্রতি ঔদাসীন্য, আরবী হরফে বাংলা লেখার চেষ্টা এবং রাজশাহী কলেজের কয়েকজন ছাত্রকে বহিস্কার ও সরকারের অনিয়মের তীব্র সমালোচনা করেন মুজিব। 
৯ মে ১৯৫০:
ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের সাব ইন্সপেক্টরের উপস্থিতিতে নিরাপত্তা বন্দি শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে দেখা করলেন তাঁর পিতা শেখ লুৎফর রহমান। গোয়েন্দা কর্মকর্তা তার রিপোর্টে লিখলেন- গৃহস্থালি এবং পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা কেন্দ্রিভূত ছিল। আলোচনায় আপত্তিকর কিছু ছিল না। 
৯ মে ১৯৬৪:
পাবনার বিরাট জনসভায় শেখ মুজিব বললেন- জনসাধারণের মতামতকে উপেক্ষা করে পৃথিবীর কোনো শাসকই টিকে থাকতে পারে নাই এবং পাকিস্তানেও সেই একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে। সেদিন বেশী দূরে নয় যখন জনগণের রুদ্ররোষে বর্তমান শাসকবর্গের হাওয়াই মহল ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। 
৯ মে ১৯৬৬:
রাত ২টায় গ্রেফতার করা হলো শেখ মুজিবকে। ৩০(ত্রিশ) মিনিটের মধ্যে তাঁকে নিয়ে আসা হলো জেল গেটে। ধারা ৩২(১) ক। কঠোরতম দেশরক্ষা আইনে। অভিযোগনামায় তাঁর বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে আখ্যায়িত করা হলো। 
৯ মে ১৯৭২:
সারদায় পুলিশ বাহিনীর এক শিক্ষা সমাপনী উৎসবে প্রধান অতিথির ভাষণে বঙ্গবন্ধু জনগণের সেবায় নি:স্বার্থভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ বাহিনীর সকল সদস্য ও কর্মকর্তার প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। 

SUMMARY

2643-1.jpg