জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার ঘটনাবহুল রাজনৈতিক জীবনে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে নানামুখি কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। তার দূরদর্শী কর্মকাণ্ডের মধ্যে অন্যতম ছিল পরিবেশ সংরক্ষণ। দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে তিনি বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ গড়ার কাজে খুবই অল্প সময় পেয়েছিলেন। কিন্তু এই সামান্য সময়কেও তিনি অসামান্য করে তুলেছিলেন তার সম্মোহনী জাদুতে। দীর্ঘ নয় মাসব্যাপী স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশের বৃক্ষসম্পদের যে ক্ষতি হয়েছিল তা থেকে উত্তরণের জন্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা দেশে বৃক্ষরোপণ অভিযান চালু করেন।
সদ্য স্বাধীন দেশে তিনি সবাইকে বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করার জন্য গণভবন, বঙ্গভবনসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে গাছ লাগিয়েছিলেন। তিনি মহাসড়কের ধারে, বাড়ির আনাচে-কানাচে ও পতিত জমিতে বৃক্ষরোপণের ডাক দিয়েছিলেন।
উপকূলীয় চরাঞ্চলে সফল বনায়নকারী দেশ হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বে অন্যতম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই সূচনা হয় এই উপকূলীয় বনায়নের। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণীর গুরুত্ব উপলব্ধি করে এদের সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য বঙ্গবন্ধু বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করেন ১৯৭৪ সালে।
বঙ্গবন্ধুই সর্বপ্রথম দেশের হাওর, নদী ও অন্যান্য জলাভূমি উন্নয়নের রুপরেখা প্রণয়ন করেন। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৃহীত বহুমুখি কর্মকাণ্ড আজও চিরস্মরনীয় হয়ে আছে।