- সাকার মুস্তাফা
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে আমরা নিত্য হাজার প্রশংসা করি। বিচিত্রগুণের বিবরণ শুনি। তার জীবনাদর্শকে নিজেদের মধ্যে বাস্তবায়নের চেষ্টা করি। বিশেষত তরুণ সমাজ তাঁর গুণমুগ্ধ, অধিকাংশের হৃদয়ের কোটরে, কাজে-কর্মে অবস্থিত এই বাঙালি জীবনের শ্রেষ্ঠ মহানায়ক।
তাঁকে নিয়ে সেসব আলোচনা শেষ হয় না। হয়তো শেষ হবে না অনন্তকাল। কারণ, এমন একজন মহামানব ছিলেন তিনি, যার মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়েছিলো একজন আদর্শ রাজনীতিবিদ আর সৎ-সাহসী-পরিশ্রমী-ত্যাগী-অকুণ্ঠ-আদবি-নিঃস্বার্থ বহুবিচিত্রগুণ সমৃদ্ধ একজন রাষ্ট্রনায়ক। তিনি ছিলেন উৎকৃষ্ট নেতা-পিতা-পুত্র-সহকর্মী-স্বামী-বন্ধু। কিন্তু এর বাইরেও তার আরও একটি অসাধারণ পরিচয় ছিলো। যে দুর্লভ গুণ খুব কম মানুষের মধ্যেই থাকে, বঙ্গবন্ধুর মধ্যে ছিলো। তিনি কঠিন বাস্তবতার মধ্যে নিজেকে নিয়ে রসিকতা করতে পারতেন, গম্ভীর ভারাক্রান্ত পরিবেশকে হালকা করতে পারতেন। তাঁর এই হিউমার সেন্স দেখলে বিভ্রান্ত হতে হয়, এমন একজন ভাবগাম্ভীর্যময় সদা নিবিষ্ট কর্মীকে নিয়ে!
বঙ্গবন্ধুর জীবনের বহুবিচিত্র বিষয় নিয়ে আলোচিত হলেও তার এই বিষয়টি নিয়ে আজও আলোচনা হয়নি। এ নিবন্ধের মধ্যে সেই দিকটির কিছু পরিচয় ও তার তাৎপর্য বিশ্লেষণ করা হবে।
ব্যক্তির মানসগঠনে সময়-সমাজের ঘাত-প্রতিঘাত, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ছাপ থাকে। পরিবারের সংস্কৃতি হয়ে থাকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ঐতিহ্য তাকে উদার-সংস্কৃতিবান করেছে, টুঙ্গিপাড়ার প্রকৃতি ঘেরা জীবন তাকে কবিহৃদয়ের জন্ম দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুতনয়া শেখ হাসিনা তাঁর পিতার যে শৈশবের পরিচয় দিয়েছেন তার মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর এই অন্যমানস গঠন প্রক্রিয়াটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘আমার আব্বার শৈশব কেটেছিল টুঙ্গিপাড়ার নদীর পানিতে ঝাঁপ দিয়ে, মেঠো পথের ধুলোবালি মেখে। বর্ষার কাদা-পানিতে ভিজে। বাবুই পাখি বাসা কেমন করে গড়ে তোলে, মাছরাঙা কিভাবে ডুব দিয়ে মাছ ধরে, কোথায় দোয়েল পাখির বাসা, দোয়েল পাখির সুর আমার আব্বাকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করত।”
তিনি আরও বলেন, “আমার আব্বা ফুটবল খেলতে খুব পছন্দ করতেন। দাদা আমাদের কাছে গল্প করতেন যে, ‘তোমার আব্বা এত রোগা ছিল যে, বলে জোরে লাথি মেরে মাঠে গড়িয়ে পড়তো। আব্বা যদি ধারে কাছে থাকতেন তবে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করতেন। আমরা তখন সত্যিই খুব মজা পেতাম।’’ এমন পারিবারিক আবহ একজন ব্যক্তির মানসগঠনে দারুণ প্রভাব ফেলবে সেটাই স্বাভাবিক।
আঠারো বছর বয়সে, ১৯৩৮ সালে প্রথমবারের মতো জেলে যান তিনি। এরপর জীবনের অধিকাংশ সময় জেলে কাটিয়েছেন অথবা জেলে যেতে হবে এই প্রতীক্ষায় থাকতেন। কারণ পালানোর রাজনীতি তিনি ঘৃণা করতেন। বিভিন্ন সময়ে এ ঘৃণার কথা নানাভাবে ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু জীবনে একটিবার এর ব্যত্যয় ঘটেছে। সেদিন শাহবাগ থেকে টিএসসি যাওয়ার পথে পুলিশ শোভাযাত্রায় টিয়ারশেল, গুলি নিক্ষেপ করে। বঙ্গবন্ধু পায়ে গুরুতর আঘাত পান। কর্মীরা তাঁকে মোগলটুলীতে পার্টি অফিসে নিয়ে যান। প্রচণ্ড যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। ডাক্তার ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেন। রাত দুটোয় পুলিশ গ্রেফতার করার জন্য অফিস ঘেরাও করে। তিনি প্রস্তুত। কিন্তু একজন কর্মী জানালেন, ভাসানী তাকে ধরা না পড়ার জন্য বলেছেন। তিনি নেতার নির্দেশে সেই অসুস্থ পা নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলেন। “তিনতলা থেকে দোতলায় লাফিয়ে পড়তে হবে। দুই দালানের ভিতর ফারাকও আছে। নিচে পড়লে শেষ হয়ে যাব। তবুও লাফ দিয়ে পড়লাম।”।
এ নিয়ে তিনি ভাসানীকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলেন, তাঁকে পালাতে বলার জন্য। জীবনের শুরুতেই সে স্বাক্ষর তিনি রেখেছিলেন। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে এসেছে, বয়স তখন মাত্র আঠারো। পুলিশ তাকে বললেন, “মিয়া ভাই, পাশের বাসায় একটু সরে যাও না।’ বললাম, ‘যাব না, আমি পালাব না। লোকে বলবে আমি ভয় পেয়েছি।”
জীবন সম্পর্কে তাঁর কোনো মোহ ছিলো না, তাই তো তিনি জীবনকে নিয়ে ইচ্ছে মতো খেলতে পারতেন। মাটি-মানুষের জন্য জীবনদানে সদা প্রস্তুত থাকতেন।
আর শোষক-শাসক শ্রেণীকে যেহেতু তিনি হাড়ে-হাড়ে চিনতেন, তাই ফালতু টেনশন না করে নিজেই সদা প্রস্তুত থাকতেন, জেলে যাবার জন্য। বড় কোনো অর্জন, মানে দেশকে দেশের মানুষকে মুক্তি-স্বাধীনতা এনে দেয়ার জন্য যে ‘বাপের কালের’ সামান্য জীবনটুকুকে উৎসর্গ করতে হবে তা তিনি জানতেন। এই জানার কারণেই জীবনকে সহজভাবে নিয়েছিলেন। এই বিশিষ্ট জীবনদর্শনই তাকে মাঝে মাঝে রসিক করে তুলতো বলেই আমাদের ধারণা। তিনি শাসকের নির্লজ্জ বেহায়াপনাকে জানতেন, আবার অধিকাংশ সময় তার বিরুদ্ধে ডিরেক্ট অ্যাকশনে যেতে পারছেন না, অথচ তাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো দরকার তখন তিনি কঠিন বিদ্রুপের বাণে বিদ্ধ করতেন শাসকদেরকে, তার চ্যালাদেরকে, সুযোগসন্ধানীদের।
সাহিত্যের পরিভাষায় এই ব্যঙ্গবিদ্রুপাত্মক পরিহাসের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, যা উন্মুক্ত করে নির্মম বাস্তব সত্যকে। বঙ্গবন্ধুর ভাবগাম্ভীর্যময়-ভাবুক-কর্মচঞ্চল-দুর্বহ জীবনের মাঝে ক্ষণিকের রসিকতার তাই বিরাট গুরুত্ব রয়েছে, যা বঙ্গবন্ধুর এক সম্পূর্ণরূপে আলাদা জীবনের সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেয়, যার মধ্য দিয়ে তিনি বাণবিদ্ধ করে যান সময়-সমাজ-শাসকের ভণ্ডামিকে, মানুষের ছলনাকে, কখনো বা তার মধ্যে লুকিয়ে থাকে দেশের জন্য, দেশের অসহায়-পরাধীন মানুষের জন্য পরম মমতাময় বেদনা। জীবনের এই বিশাল-বিস্তৃত-বহুবর্ণিল ক্যানভাসেই গড়ে উঠেছিল তার কৌতুকপ্রবণ মন। হাস্য পরিহাস করতে তিনি ভালোবাসতেন। বাক্যের রসে মুগ্ধ করার ক্ষমতা তাঁর ছিলো।
বঙ্গবন্ধুর জীবনে হাস্যপরিহাসের প্রকাশ ঘটেছে দুভাবে- ব্যবহৃত ভাষার মধ্য দিয়ে এবং বিভিন্ন কাজের মধ্য দিয়ে। তিনি যে ভাষার যাদুকর ছিলেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তার প্রতিটি উচ্চারিত শব্দ ছিলো সত্য কবিতা, জীবনের জন্য দিক নির্দেশনা। তিনি যে চরম দুঃসাহসী ছিলেন, কোনো অন্যায়কেই মেনে নিতেন না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে এই বেপরোয়া মনোভাবই তাঁকে এমন জীবনছন্দের জাদুকর করেছিলো ।
১. ছাত্রপ্রতিনিধিদের ধারণা, আমি গ্রেফতার হলে আন্দোলন চলবে, কারণ আন্দোলন ঝিমিয়ে আসছিলো। একে চাঙ্গা করতে হলে, আমার গ্রেফতার হওয়া দরকার। আমি তাদের কথা মেনে নিলাম।
২. দুই জন গোয়েন্দা বিভাগের কর্মচারী সাদা পোশাক পরে ভিতরে আসছেন। আমি যে ঘরে থাকি, সেই ঘরে এসে দরজায় টোকা মারলেন। আমি বললাম, ভিতরে আসুন। তারা ভিতরে আসলে বললাম, ‘কয়েকদিন পর্যন্ত আপনাদের অপেক্ষায় আছি।’
৩. যা হবার পূর্ববাংলায় হোক, পূর্ব বাংলার জেলে ভাত পাওয়া যাবে, পাঞ্জাবের রুটি খেলে আমি বাঁচতে পারব না।
৪. ট্যাক্সিতে করে বঙ্গবন্ধুকে জেলের উদ্দেশে নেওয়া হচ্ছে। মানুষ দেখার জন্যে ভিড় করছে। সেপাইরা দ্রুত ট্যাক্সি চালাতে বললেন। বঙ্গবন্ধু চালককে বললেন, “বেশি জোরে চালাবেন না, কারণ বাবার কালের জীবনটা যেন রাস্তায় না যায়।”
৫. সদ্য যুক্তফ্রন্ট সরকারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শোনামাত্রই সরকারি গাড়ি ত্যাগ করেন। রিকসা নিয়ে বাড়িতে আসলেন। তার বাড়ির চারপাশে পুলিশের সতর্ক পাহারা, যেন না পালাতে না পারেন বঙ্গবন্ধু। মজার ব্যাপার হলো, পুলিশ বুঝতে পারলেন না, তিনি বাসায় ঢুকেছেন। কারণ তারা ভাবতেই পারেনি মন্ত্রী রিকসায় আসতে পারে। বঙ্গবন্ধু গ্রেফতারের জন্য রেডি হলেন। তারপর ‘‘জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এহিয়া খান সাহেবকে ফোন করে বললাম, ‘আমার বাড়িতে পুলিশ এসেছিল, বোধহয়, আমাকে গ্রেফতার করার জন্য। আমি এখন ঘরেই আছি গাড়ি পাঠিয়ে দেন।”
৬. তাঁকে ফরিদপুর জেলে নেওয়া হচ্ছে। সেকালের রাস্তা বলতে প্রধানত নদীপথ। তিন নদীর মোহনায় একটা ডাকবাংলো ছিলো, সেখানে রাত যাপনের সিদ্ধান্ত নিলেন সেপাইরা। অনেক রাত পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু বারান্দায় ইজি চেয়ারে বসে নদী-আকাশ-প্রকৃতি দেখছেন। সেপাইরা পাহারা দিচ্ছে। তাদের ঘুম নাই। তিনি তাদের বললেন, “আমার জন্য চিন্তা করবেন না, ঘুমিয়ে থাকেন। আমাকে গলা ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দিলেও যাব না।”
এভাবে জেল জীবনকে রসে হাস্যে পরিহাসে ভরিয়ে রাখতেন। কষ্ট চেপে রাখতেন নিজের মধ্যে। কর্মী-নেতাদের বুঝতে দিতেন না।
একবার রাতে নৌকায় মধুমতী নদী দিয়ে রওনা হয়েছেন। পথে ডাকাতের কবলে পড়লেন। তিনি তখন নৌকার মধ্যে ঘুমাচ্ছেন। কাজী মোজাফফর সাহেব বসে আছেন। মাঝি নৌকা চালাচ্ছেন। “আমাদের নৌকার কাছে এসে (ডাকাতরা) জিজ্ঞাসা করল, ‘নৌকা যাবে কোথায়?’ মাঝি বলল, টুঙ্গিপাড়া আমার গ্রামের নাম। ‘নৌকায় কে?’ মাঝি আমার নাম বলল। ডাকাতরা মাঝিকে ভীষণভাবে এক আঘাত করে বলল, ‘শালা আগে বলতে পারো নাই শেখ সাহেব নৌকায়।’ এই কথা বলে নৌকা ছেড়ে দিয়ে চলে গেল।” বঙ্গবন্ধু ঘুম থেকে জাগলেন। “কাজী সাহেব ও মাঝি আমাকে এই গল্প করল। কাজী সাহেব বললেন, ‘ডাকাতরা আপনাকে শ্রদ্ধা করে, আপনার নাম করেই বেঁচে গেলাম, না হলে উপায় ছিল না।’ আমি বললাম, ‘বোধহয়, ডাকাতরা আমাকে ওদের দলের একজন বলে ধরে নিয়েছে।”
পাকিস্তান থেকে একবার ফিরছেন। অনেকদিন পরিবার বিচ্ছিন্ন। মন টেনেছে টুঙ্গিপাড়া। যেকোনো ভাবেই হোক পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাড়ি যাবেন। সেখানে একনজর সবাইকে দেখলে আর দুঃখ থাকবে না। খুলনায় ট্রেন থেকে নামলেন। চারদিকে পুলিশের চোখ। তিনি নিলেন কুলির বেশ। “লুঙ্গি পরা ছিল, লুঙ্গিটা একটু উপরে উঠিয়ে বেঁধে নিলাম। বিছানা ঘাড়ে আর সুটকেস হাতে নিয়ে নেমে পড়লাম। কুলিদের মতো ছুটতে লাগলাম, জাহাজঘাটের দিকে। গোয়েন্দা বিভাগের লোক তো আছেই। চিনতে পারল না।”
জেলজীবনের এমন অসংখ্য রসময়-বেদনার ঘটনা ছড়িয়ে আছে তার লেখা, ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে’। শামসুল হক সাহেব মাত্র দেড়মাস আগে বিয়ে করেছেন। এখন তিনি জেলে। তার মনে চরম দুঃখ। তিনি জেলের মধ্যে অল্পে সবার ওপরে রেগে যেতেন, বকাবকি করতেন। “আমাকে বেশি কিছু বললে আমি তাঁকে ‘বউ পাগলা’ বলতাম। তিনি ক্ষেপে আমাকে অনেক কিছু বলতেন। মওলানা সাহেব হাসতেন, তাতে তিনি আরও রাগ করতেন এবং মওলানা সাহেবকে কড়া কড়া কথা বলতেন।”
এভাবেই কেটেছে তার সংগ্রামময় জীবনের দিনগুলো। বঙ্গবন্ধুর চাচাতো ভাই শেখ কবির হোসেন জানাচ্ছেন, “যখন টুঙ্গিপাড়াতে আসতেন তখন হৈ চৈ পড়ে যেত। তিনি এলে এখানে লাঠি খেলা হত। তিনি এ খেলাটি খুব উপভোগ করতেন।’’
একদিকে নিজে যেমন ভাষায়-জ্ঞানে-সংগ্রামে-শক্তিতে অন্যদের মাতিয়ে রাখতেন তিনি, তেমন অন্যরাও বঙ্গবন্ধুকে কাছে পেলে মেতে উঠতেন খুশির জোয়ারে আর বিশ্বাসের ফোয়ারায়।
অাততায়ীর গুলিতে লিয়াকত আলীর মৃত্যুতে তার স্বভাবতই খুশি হওয়ার কথা, কারণ তিনিই তাঁকে বিনা বিচারে, বিনা কারণে জেলে রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু বলেন, “যদিও তাঁরই হুকুমে এবং নূরুল আমিন সাহেবের মেহেরবানিতে আমরা জেলে আছি, তবুও তাঁর মৃত্যুতে আমরা দুঃখ পেয়েছিলাম। কারণ ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করি না।”
এই ‘মেহেরবানি’ শব্দের মধ্য দিয়েও খোঁচা দিলেন শোষকদেরকে। এবং নিজের মধ্যে যে রসবোধ রয়েছে তার প্রকাশ ঘটালেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রতিটি ঘটনায় রয়েছে আমাদের জন্য শিক্ষা। সে কারণে তার হাস্যরস শুধু মজার জন্যে ছিলো না। বরং তা ছিলো জীবন প্রকাশের আরেকটি বিশেষমাত্রা। এ নিয়ে আরও গবেষণা হলে হয়তো আমরা সংগ্রামময় জীবনের পাশাপাশি আরেক হাস্যরসপ্রিয়, হাস্যোজ্বল বঙ্গবন্ধুকে আবিষ্কার করতে পারবো।
সহায়ক গ্রন্থ:
শেখ মুজিবুর রহমান (২০০৫),অসমাপ্ত আত্মজীবনী।