পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণ আঁচ করতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু


১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ চালানোর জন্য পাকিস্তানি বাহিনী যে আক্রমণ করবে তা আগেই জেনেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আক্রমণ হলে স্বাধীনতার ঘোষণাসহ যা যা করার প্রয়োজন তার সব কিছুরই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করতে ঢাকায় এসেছিলেন পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া খান। কিন্তু আড়ালে ছিলো ভয়ঙ্কর এক ষড়যন্ত্র। ২৫ মার্চ ১৯৭১… বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর ঢাকার প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে জেনারেল ইয়াহিয়া চলে যান এয়ারপোর্টে। সেখান থেকে সরাসরি করাচি। যাবার আগে নির্দেশ দিয়ে যান নিরস্ত্র বাঙালির ওপর সশস্ত্র হামলার।
 
পাকিস্তানি বাহিনীর নীল নকশার কথা তখনও কোন বাঙালি আন্দাজ করতে না পারলেও ঠিকই তা জেনেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জানতেন পাকিস্তানি বাহিনী যে ষড়যন্ত্র করেছে তাতে করে তিনি গ্রেফতার হবেন। এমনকি এরপর তার জীবনও চলে যাবে। কিন্তু বাঙালিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন যে নেতা সেই নেতা জীবনের মায়া ত্যাগ করে অবস্থান করেন ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে।

নীলনকশা অনুযায়ী মধ্যরাতেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুমন্ত বাঙালির ওপর ঝাপিয়ে পড়ে পাকিস্তানী হানাদারদাররা। রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা ইপিআর সদর দপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ গোটা ঢাকার ওপর ঝাপিয়ে পড়ে পাকিস্তানী বাহিনী। চালায় মধ্যযুগীয় পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ, অগ্নিসংযোগ।

২৫ মার্চ রাতে গ্রেফতার করা হয় বঙ্গবন্ধুকে। তার আগেই ইপআিরএর ওয়্যারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বাংলার অবিসংবাদিত নেতা। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জাতিকে পাকিস্তানী সেনাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ শুরু করার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু।
 
ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টে ট্যাংক ও মর্টার নিয়ে ২ হাজার বাঙালি অফিসার ও সৈনিকদের ওপর হামলা চালায় পাকিস্তানী বেলুচ রেজিমেন্ট। হত্যা করে হাজার হাজার বাঙালিকে। তাদের সেই নৃশংস, বর্বর ও গৃণিত হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রাম শুরু করে বাংলাদেশ।

SUMMARY

258-1.jpg