জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতির বিন্দুকণা তৈরি হয়েছিলো মধুমতিপাড়ের গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়। সেটি বিশ্বরাজনীতির গ্রাফ পেপারে পরিণত হয়েছিলো কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে পড়ার সময়। সেই ঐতিহ্যবাহী কলেজ ও বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষ সাক্ষী হয়ে আছে বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্মনায়কের সূর্যদীঘল যাত্রাপথের অহংকারের এক ইতিহাসের।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সেসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিকভাবে একক আকাশ হয়ে উঠার গল্পে জড়িয়ে আছে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার নাম। এই শহরের রাফি আহমেদ কিদওয়ে স্ট্রিটের রাস্তায় বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যরকম আলো নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়া ইসলামিয়া কলেজ বর্তমানে যার নাম মৌলানা আজাদ কলেজ।
এই কলেজ থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক এবং গ্র্যাজুয়েশন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৫ এবং ১৯৪৬ সালে কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন তিনি।
কলেজ থেকে কয়েক কদম দূরে একই পাড়ায় বাংলাদেশের জন্ম কারিগরের আরেক স্মৃতির দরজার নাম বেকার হোস্টেল। এই হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষে থাকতেন শেখ মুজিব। অনেকগুলো সিঁড়ি পেরিয়ে সেই ঘরে পৌঁছাবার আগেই হোস্টেলের চৌকাঠ থেকে শুরু করে সবখানে ছড়িয়ে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর অনন্য উপস্থিতি।
২৪ নম্বর ঘরটির প্রতিটি ইট, কাঠ, বর্গা আর দেয়ালে যেন একটাই উচ্চারণ- এখান থেকেই উত্থানপর্বের শুরু বঙ্গবন্ধুর।
বাংলাদেশের জাতির পিতার প্রতি সম্মান জানিয়ে বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষটিকে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ হিসেবে সংরক্ষণ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।