মো. আমানউল্লাহ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
তুমি কোটি বাঙ্গালির হৃদয়ের স্পন্দন,
মিশে থাকা তাজা রক্ত।
তুমি বর্ষার দিনে ঝড়ে যাওয়া বৃষ্টি,
টাপুর টুপুর মৃদু ছন্দ।
তুমি প্রন্তহীন ফসলের মাঠে কৃষকের চোঁখে বুনে যাওয়া,
শত সহস্র সপ্ন।
তুমি দুপুরের ক্লান্তি শেষে দূরন্ত মাঠে ভেসে আসা,
রাখালিয়া বাঁশির সুর ছন্দ।
তুমি কঁচি খোকার খেলার মাঠে বুনে যাওয়া,
পুতুল বিয়ের দৃশ্য।
তুমি পথ হারা যুবকের অগনিত চিৎকার,
হাজার পথের মিত্র।
তুমি কুটিরের ভেতর গর্ভধারিনীর আকুল কন্ঠে,
বুনে যাওয়া নিদারুন প্রেম পণ্য।
তুমি পিতার বক্ষে জাল বুনা চোঁখ ঝাঝানো, পুত্রের কোটি সপ্ন।
তুমি মায়ের আচল তলে মিশে থাকা,
সন্তানের মুক্ত আবাশ বক্ষ।
তুমি বঙ্গবন্ধু অগনিত বাঙ্গালির চিন্হিত মানব,
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ।
তুমি জীবণ বাজি রেখে শত্রুর বিরুদ্ধে,
হায়েনা বেশে,
করেছ দেশ মুক্ত।
তুমি ইয়াহিয়ার মিথ্যা বানিতে,
করনি কখনো মাথা নত।
তুমি অন্যায়ের বিপক্ষে গড়ে তুলা,
রক্তে রঞ্জিত মহা গর্জন।
তুমি সত্যের কাছে মিশে যাওয়া,
বিচক্ষিত ইমানের খুলা দর্পন।
তুমি ৫২র ভাষা সংগ্রামের দৃশ্য পট,
৭১রের শ্রেষ্ঠ অর্জন।
তুমি ৭৫র শহীদ হওয়া বিশ্বনেতা,
পিতা হারানোর ক্রন্দন।
তুমি ভালোবাসার আরেক নাম,
কুটি বাঙালির বক্ষে মিশে থাকা স্বপন।
তুমি আমানের কবিতার প্রতিটি লাইন,
অঙ্কিত করার মহা প্রনয়ন।
আমি আমান জন্মদিনে তোমার,
জানাই হে পিতা হাজারো কোটি সম্ভশন।
যতদিন রবে এ মাটি তোমার,
আসবে যত নব্য মেহমান,
করবে তোমায় স্মরন।
আমি প্রর্থনায় মাথনত করি প্রভুর তরে,
শেষ বিচার হয় যেনোগো বেস্ত নসিব করণ।
(সংক্ষেপিত)
সুত্র: ভোরের কাগজ, প্রকাশিত : মার্চ ১৭, ২০২০