- কাজী ইমদাদ
মুঘল সুবেদার ইব্রাহিম খান ঢাকার বর্তমান চকবাজারে একটি দূর্গ নির্মাণ করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে দূর্গটি ছিলো ঢাকার নায়েব নাজিমের আবাসস্থল। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে ১৭৮৮ সালে দূর্গের ভেতরে একটি ক্রিমিনাল ওয়ার্ড নির্মাণ করা হয়। শেষ পর্যন্ত পুরো দূর্গটিই হয় জেলখানা, যা পরে হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার।
পুরনো এ কারাগারে দফায় দফায় দীর্ঘদিন বন্দি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ কারাভোগের মতো ইতিহাস এ অঞ্চলে অন্য কোনো রাজবন্দির ক্ষেত্রে পাওয়া যায় না। তার স্মৃতি রক্ষায় ২০১০ সালের ৮ মে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের দেওয়ানি সেলকে করা হয় বঙ্গবন্ধু কারা স্মৃতি জাদুঘর।
জাদুঘরটিতে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত নামাজের চৌকি, জায়নামাজ, অজু করার পানিপাত্র, বিছানা, টিনের থালা, হাঁড়ি-পাতিল, কিছু পুরনো কাপড়-চোপড়সহ নানা জিনিসপত্র সংরক্ষণ করা হয়েছে। সেলের সামনে খোলা জায়গাটিতে বসানো হয়েছে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তি। জাদুঘর প্রাঙ্গণে ৬টি স্তম্ভে বঙ্গবন্ধু উত্থাপিত ছয় দফা তুলে ধরা হয়েছে। আছে বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে লাগানো একটি কামিনী ফুল গাছ ও একটি সফেদা গাছ। বঙ্গবন্ধুর গোসল করার ঘর ও রান্নাঘরটিও সংরক্ষণ করে জাদুঘরের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
স্কুলজীবন থেকে শুরু করে ৫৫ বছর পর্যন্ত অন্তত ২৩ দফায় ৮ বছর ২ দিন কারাগারে থেকেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।