- কাজী ইমদাদ
১৯৬৮ সালের জানুয়ারিতে দায়ের করা মামলাটি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হিসেবে পরিচিতি পেলেও মামলার নাম ছিল পাকিস্তান বনাম শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্য।
বঙ্গবন্ধুসহ ৩৫ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতের ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়।
মামলা চলাকালে সে সময়ের সেনানিবাসের সিগন্যাল মেসে বঙ্গবন্ধুকে ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অন্তরীণ রাখা হয়।
বঙ্গবন্ধু যে কক্ষটিতে ছিলেন সেখানে রেপ্লিকা হিসেবে রাখা আছে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত পোশাক, মুজিব কোটসহ নিত্য ব্যবহার্য নানা জিনিস।বঙ্গবন্ধু-আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা-বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন
শুরুতে ছোট খাটটিতে বঙ্গবন্ধু থাকতেন, পরে পাশের বড় খাটে থাকতেন তিনি। পাশেই রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহার করা পাইপ, অবসরে রেকর্ডে চিন্ময় চট্টোপাধ্যয়ের কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত শুনতেন জাতির পিতা।
কক্ষের সামনের খোলা জায়গায় বঙ্গবন্ধু পায়চারি করতেন। এ জাদুঘরেই সংরক্ষিত রয়েছে মামলার গুরুত্বপূর্ণ নথি।বঙ্গবন্ধু-আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা-বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন
বঙ্গবন্ধুর স্বাস্থ্যের খবর জানতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বেগম ফজিলাতুন্নেসার লেখা একটি চিঠিও এখানে সংরক্ষিত আছে। ৪২ পৃষ্ঠার মামলার পুরো ধারা বিবরণী ছাড়াও ২০২ জন সাক্ষীর তথ্যও রয়েছে দু’পাশের দেয়ালে।বঙ্গবন্ধু-আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা-বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন
কামাল উদ্দিন, বি এম ইউসুফ, আবুল হোসেন এবং বঙ্গিম চন্দ্র দত্ত এ চারজন ছিলেন মামলার বৈরি সাক্ষী, যারা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। ১৯৬৮ সালের ১৯ জুন মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।