- ওবায়দুল হক তুহিন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে এক আনন্দ মুহূর্তে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও শেখ হাসিনা
নাতি সজীব ওয়াজেদ জয় তখন বঙ্গবন্ধুর কোলে, পাশেই দাড়িয়ে ছোট্ট জয়ের মা শেখ হাসিনা।
একান্ত আলাপচারিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে বঙ্গতাজ তাজউদ্দিন আহমদ
২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৩, মাওলানা ভাসানীসহ প্রভাতফেরীতে শেখ মুজিবুর রহমান
১৯৬৬: ‘সর্বদলীয় জাতীয় সংহতি সম্মেলন’-এ শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা দাবি উপস্থাপন করছেন
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর এসেছিল বিজয়। যে বিজয় সেদিনই পূর্ণতা পেয়েছিল যে দিন বাংলার কোলে ফিরে এলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।
লালু, সর্বকনিষ্ঠ বীরপ্রতীক এক কিশোর মুক্তিযোদ্ধা। সে গ্রেনেড নিয়ে থানা আক্রমণ করেছে। ছদ্মবেশে পাকসেনার খবর সংগ্রহ করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের গোপালপুরের থানা দখলের পুরো কৃতিত্বটা তারই। ১৬ ডিসেম্বর দেশ শত্রুমুক্ত হলে ২৪ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী স্কুলে আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তাঁর বাহিনীর সদস্যরা অস্ত্র জমা দেন। লালুও সেদিন অন্যদের সাথে বঙ্গবন্ধুর হাতে জমা দেন অস্ত্র। বঙ্গবন্ধু খুদে মুক্তিযোদ্ধাকে দেখে অবাক হন এবং কোলে তুলে নিয়ে মঞ্চে বসান। সে ছিল এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। রোমাঞ্চকর মুহূর্ত।
ফাদার মারিনো রিগন ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি যুদ্ধপীড়িত সাধারণ মানুষ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় ও সেবা দেওয়ার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন দেশপ্রেমিক বাঙালির মতো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ফাদার মারিনো রিগনের সাক্ষাতের মুহূর্তে তোলা ছবি।
ছবিটি বঙ্গবন্ধুর সাথে সেনা কর্মকর্তাদের কোন এক বৈঠকের মুহূর্তে তোলা। তারা সবাই সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, আহত হয়েছিলেন এমনকি অঙ্গহানিও হয়েছিল। যে মানুষটি’র ডাকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লেন তাঁকে তারা রক্ষা করতে পারেননি। নিজেরাও পরবর্তী’তে কোন্দলে জড়িয়ে পড়েছিলেন, ষড়যন্ত্রের নির্মম শিকারে পরিণত হয়েছিলেন।